অচল সিকি
‘এটা মনগড়া কথা! বিয়ে করার কোনো দরকারই আমার হতো না। তুমি তো জানোই, বন্ধুমহলে চালাক বলে আমার কিছুটা সুনাম ছিলো। তোমার গলায় তক্তি হয়ে এখন তাতে জং ধরেছে। হৈচৈ করে দেশসুদ্ধ লোককে জানিয়ে তুমি ব্যাপারটাকে যেভাবে ঘোলাটে করে তুলেছিলে তাতে বিয়ে করা ছাড়া অন্য কিছুতে ভরাডুবি থেকে তোমাকে রক্ষা করা যেতো না-‘
জেবুন্নেসা রুক্ষকণ্ঠে ঝাঁঝিয়ে উঠলো, ‘তার মানে আমি তোমাকে বাধ্য করেছি বলতে চাও?’
‘তা বলিনি, তবে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করেছো, কোনো সন্দেহ
‘তুমি আস্ত ছোটোলোক, তোমার মুখের কোনো ট্যাক্স নেই।’
‘সারাদেশের লোক ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে, আমিতো কোন ছার।’
‘বলো বরাতের জোরে অমিাকে পেয়েছিলে। নইলে রাস্তার শিয়াল-কুকুরে তোমার দুঃখে কাঁদতো।’
‘তুমি যেমন কেঁদেছিলে-
‘আলবৎ ছিট হয়েছে তোমার মাথায়।’
‘খুব স্বাভাবিক। বিয়ের পর দিন দিন যেভাবে ফুলতে শুরু করেছো তাতে আমার দশা কোথায় গিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠেকবে স্বয়ং মালেকুল মউতই জানে!’
‘আজকাল স্লিম জিনিসের দিকে তোমার নজর পড়েছে, বোঝা যাচ্ছে-‘
‘অবশ্যই, তা যদি জিনিসের মতো জিনিস হয়!’
‘তুমি তো কম ছ্যাবলা নও!’
‘ছ্যাবলামির কি দেখলে এতে। অল্প-স্বল্প একটু মেদের টাচ থাকলে মন্দ হয় না, গাবুস-গুবুস ধরনের জব্বোর মুটকি কারই বা পছন্দের!’
‘আমি কি তাই?’ চোখ পাকিয়ে জেবুন্নেসা বললে, ‘আমি মুটকি?’
‘হতে কতক্ষণ?
‘তুমি একটা আস্ত ভ্যাদামাছ!’
‘তুমি এঁটেকচু!’
‘তুমি রাঙামুলো!’
‘তুমি চিটেগুড়!’
‘তুমি পিঁপড়ে!’
‘তুমি তাড়কারাক্ষসী-‘
এনামুলের হাত কামড়ে দিলো জেবুন্নেসা। বললে, ‘কেমন?’
‘উপযুক্ত!’
‘তবু যদি নিজের মাস্টারির টাকা সবটুকু সংসারের পেছনে না ঢালতাম।