১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচনপ্রত্যাশীদের জন্য অনলাইনে কর রিটার্ন দাখিলে বিশেষ ব্যবস্থা এনবিআরের মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তারেক রহমান

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৫১)

অচল সিকি

কথা বলতে বলতে বুড়োর গলা ধরে এলো। পাতলা ছানি পড়া চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলো।

আট বছরের মেয়ে, তার বিয়ে, স্বামীর ঘর, বারো বছরে বিধবা হওয়া, বারো বছরের বিধবার স্বামীর স্মৃতিকে আগলে বেড়ানো, এসব যেন এক উদ্ভট রূপকথা। মৃত স্বামীর প্রতি প্রেম, না বিবাহিত জীবনের প্রতি আতঙ্ক, কোন্টা? এনামুলের স্বভাব এই রকম, সবকিছু যাচাই করে নিতে ভালোবাসে। যাচাই করাটা তার পুরনো অভ্যাসের একটি। সে জেবুন্নেসার কানের পাশে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললে, ‘চা খাবে?’

‘তুমি?’

‘তুমি খেলে আমিও খাই!’

কেৎলিতে পানি চাপালো বুড়ো। কাঠের চুলোয় ফুঁ দিতেই একরাশ ধোঁয়া গলগলিয়ে কুগুলি পাকালো চতুর্দিকে।

এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’

‘একদম বাজে।’

‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’

জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘

‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’

‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।

লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৫১)

১২:০০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

অচল সিকি

কথা বলতে বলতে বুড়োর গলা ধরে এলো। পাতলা ছানি পড়া চোখে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলো।

আট বছরের মেয়ে, তার বিয়ে, স্বামীর ঘর, বারো বছরে বিধবা হওয়া, বারো বছরের বিধবার স্বামীর স্মৃতিকে আগলে বেড়ানো, এসব যেন এক উদ্ভট রূপকথা। মৃত স্বামীর প্রতি প্রেম, না বিবাহিত জীবনের প্রতি আতঙ্ক, কোন্টা? এনামুলের স্বভাব এই রকম, সবকিছু যাচাই করে নিতে ভালোবাসে। যাচাই করাটা তার পুরনো অভ্যাসের একটি। সে জেবুন্নেসার কানের পাশে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললে, ‘চা খাবে?’

‘তুমি?’

‘তুমি খেলে আমিও খাই!’

কেৎলিতে পানি চাপালো বুড়ো। কাঠের চুলোয় ফুঁ দিতেই একরাশ ধোঁয়া গলগলিয়ে কুগুলি পাকালো চতুর্দিকে।

এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’

‘একদম বাজে।’

‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’

জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘

‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’

‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।

লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘