যুক্তরাষ্ট্র দুই ব্যক্তি ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাঁরা পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি করে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে হুথিদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে এবং ব্যক্তিগতভাবে কোটি কোটি ডলার লাভ করেছে। এই কার্যক্রম ইরান-সমর্থিত হুথিদের এমন সক্ষমতা জুগিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথগুলোকে হুমকিতে ফেলতে পারে।
নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য: অবৈধ আয় ও অর্থ জোগান বন্ধ
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, হুথিদের অবৈধ অর্থ আয়ের পথ রুদ্ধ করতে এবং তাদের আর্থিক জোগানদাতাদের ওপর চাপ বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা হুথিদের অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহের পথ বন্ধে নেওয়া ধারাবাহিক ব্যবস্থার অংশ। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার এবং নৌপথের স্বাধীন চলাচল রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
আগের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট
৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ‘ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনালিটি আইন’-এর ২১৯ ধারা অনুযায়ী আনসারাল্লাহকে (হুথিদের রাজনৈতিক সংগঠন) আবারও ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। আজকের নিষেধাজ্ঞাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।
আইনি ভিত্তি ও প্রয়োগকারী সংস্থা
এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসবাদবিরোধী ক্ষমতা প্রদানকারী কার্যনির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ (সংশোধিত) অনুসারে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিদেশি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের আগের বহু পদক্ষেপও, যা হুথি নেতৃত্ব, তাদের অবৈধ আয়, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী ও সরবরাহকারীদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে।