০৯:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৬) মূত্রথলির আকার এক হলেও নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করে? রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৪) করতোয়া নদী: ইতিহাস, ব্যবসা, দখলদারিত্ব ও বর্তমান সংকট বাংলাদেশের  মিষ্টি  : স্বাদের ঐতিহ্যভ্রমণ উত্তম কুমার: মহারাজা থেকে মহানায়ক – জীবনের কিছু অজানা গল্প পোশাক নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার, নির্দেশনার উদ্দেশ্য কী ছিল ইন্দোনেশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি: একটি নতুন বাণিজ্য অধ্যায়ের সূচনা ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে হরিয়ানায় আটক করে অস্থায়ী শিবিরে রাখা হচ্ছে ভারতীয় বাঙালিদের শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংস্কারে ইতিবাচক অগ্রগতি: আইএমএফ

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আটক

সমকালের একটি শিরোনাম “সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আটক”

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তার হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যেকোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এ বি এম খায়রুল হক। ২০১১ সালে ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বিচারপতি খায়রুল হক। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে। অবসর গ্রহণের কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেন। এছাড়াও রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সরকারের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা দলগুলোর”

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় এক বছর হতে চললেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের পর বিভিন্ন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভঙ্গুর চিত্র আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও মতবিনিময় করলেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছে দলগুলো। বৈঠকসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনা এবং এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সচিবালয় ও মাইলস্টোন স্কুলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরিসহ নিকট অতীতে আরও কিছু ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে মতবিনিময়ে ডাকতে হয় দলগুলোকে। গত দুই দিনে ১৭টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময়ে প্রথম দিন গত মঙ্গলবার ডাকা হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলনকে। আর গতকাল বুধবার ডাকা হয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ১২ দলীয় জোট, বাসদ, সিপিবি ও গণফোরামকে। এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া।

বৈঠক সূত্র বলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে ফ্যাসিবাদী শক্তি যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে, এ বিষয়টি সবাইকে সতর্ক থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার পাশাপাশি তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। আইনশৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থার জন্য সমালোচনার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দলগুলোর পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয় সরকারকে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সরকারের ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে”

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বলেছেন, এখন সরকারের নিরপেক্ষতার প্রশ্নটা, বিশেষ করে দলীয় নিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। কারণ, এখন মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছে যে, আমরা সরকার বলতে যাদের দেখি আনুষ্ঠানিকভাবে, আসলে তার ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে। এটা এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়।

গতকাল দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এখানে খুবই পরিষ্কার, জনগণ আর কোনো বিষয় নয়। দেশ কোনদিকে যাবে, কীভাবে পরিচালনা হবে, জনগণ কোনো বিষয় নয়। জনগণের নামেই সবকিছু হচ্ছে, তাদের কথা বলেই সবকিছু হচ্ছে, কিন্তু জনগণকে আমরা গণনার বাইরে ফেলে দিয়েছি। আলোচনায় বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বৈষম্যবিরোধী চেতনায় আমরা নতুন সরকার আনলাম। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে তারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রতিফলন করতে পারলো না। সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করা নেই। সর্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক বিকাশকে চিন্তা করছে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর পক্ষে দাঁড়াবে, সেই দুর্বল জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য পদক্ষেপের ভেতরে গেল না এখন পর্যন্ত। সেহেতু সংস্কারের যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, সংস্কারের সেই সম্ভাবনাটুকু গরিব মানুষ তো পরের কথা, এমনকি উৎপাদনশীল উদ্যোক্তা শ্রেণিও তার ভেতর এলো না।

তিনি বলেন, দু’টি মৌলিক প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। একটি হলো অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থাৎ তার শুরুও আছে এবং একটা সুনির্দিষ্ট সীমিত সময়ের পরে তার শেষ আছে। এই জিনিসটাকে সামনে নিয়ে আসার এখন সময় হয়েছে যে, এটা একটা অনন্তকালীন সরকার নয়, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি হয়, তাহলে প্রথমে এখন যে দু’টি প্রশ্ন সবাইকে বিচলিত করছে, অন্তত আমাকে করে, এক নম্বর প্রশ্ন হলো- সরকারের নিরপেক্ষতা। একটা সরকারের নিরপেক্ষতা বললে তার মৌল আদর্শগত নিরপেক্ষতার কথা বলা হয় না। কারণ, সে পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে থাকবে এবং এটার একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যেহেতু দুর্বল জনগোষ্ঠীরা আরও বেশি দুর্বল বোধ করছে, অনেক বেশি বিপন্ন বোধ করছে। একটা স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যে রকমভাবে তাদের প্রতি অত্যাচার বা তাদের প্রান্তিকীকরণ হয়েছে, ঠিক একই রকমভাবে নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, জাতিগত সংখ্যালঘু…। লিঙ্গ বৈচিত্র্যের কথা তো বলাই যাচ্ছে না। এটা আরেক সমস্যা হয়ে গেছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সময় পাওয়ার অপেক্ষা”

রফতানি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কে ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ সরকার। এক্ষেত্রে দেশটি থেকে গম, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। তাছাড়া এলএনজি কেনার চুক্তিও করা হয়েছে, প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ কেনার। পাশাপাশি শুল্ক ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের কাছে সময় চেয়েছে ঢাকা। যদিও এখন পর্যন্ত আলোচনার তারিখ জানানো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সে ঘাটতি পূরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যে ১ আগস্ট থেকে বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৮ জুলাই এ ঘোষণার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে দুই দফায় আলোচনাও করা হয়েছে। এসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাসহ বেশকিছু বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা-সংক্রান্ত শর্ত দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সব শর্ত মানা সম্ভব না হলেও দেশটি থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া সামনে তৃতীয় দফায় আলোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেটি তুলে ধরার বিষয়ও রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার মার্কিন বাজার থেকে গম, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রয়োগের আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। এর মধ্যে দরকষাকষির আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি কী? সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। আমরা আশা করছি শুল্ক হয়তো কিছুটা কমাবে। কারণ আমাদের ঘাটতি তো খুবই কম। ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো।’

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে দ্রুত করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোসিয়েশন তো দূরের কথা। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।

 

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৬)

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আটক

০৯:০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আটক”

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তার হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জে তিনটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যেকোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এ বি এম খায়রুল হক। ২০১১ সালে ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময় খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন বিচারপতি খায়রুল হক। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে। অবসর গ্রহণের কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেন। এছাড়াও রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “সরকারের ব্যর্থতার কড়া সমালোচনা দলগুলোর”

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় এক বছর হতে চললেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের পর বিভিন্ন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভঙ্গুর চিত্র আরেকবার প্রকাশ পেয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও মতবিনিময় করলেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছে দলগুলো। বৈঠকসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনা এবং এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সচিবালয় ও মাইলস্টোন স্কুলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরিসহ নিকট অতীতে আরও কিছু ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে মতবিনিময়ে ডাকতে হয় দলগুলোকে। গত দুই দিনে ১৭টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময়ে প্রথম দিন গত মঙ্গলবার ডাকা হয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলনকে। আর গতকাল বুধবার ডাকা হয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ১২ দলীয় জোট, বাসদ, সিপিবি ও গণফোরামকে। এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া।

বৈঠক সূত্র বলছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগে ফ্যাসিবাদী শক্তি যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তারা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে, এ বিষয়টি সবাইকে সতর্ক থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার পাশাপাশি তাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। আইনশৃঙ্খলাসহ সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থার জন্য সমালোচনার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দলগুলোর পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয় সরকারকে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সরকারের ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে”

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বলেছেন, এখন সরকারের নিরপেক্ষতার প্রশ্নটা, বিশেষ করে দলীয় নিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। কারণ, এখন মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছে যে, আমরা সরকার বলতে যাদের দেখি আনুষ্ঠানিকভাবে, আসলে তার ভেতরেও আরেকটা সরকার আছে। এটা এখন আর কোনো গোপন বিষয় নয়।

গতকাল দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এখানে খুবই পরিষ্কার, জনগণ আর কোনো বিষয় নয়। দেশ কোনদিকে যাবে, কীভাবে পরিচালনা হবে, জনগণ কোনো বিষয় নয়। জনগণের নামেই সবকিছু হচ্ছে, তাদের কথা বলেই সবকিছু হচ্ছে, কিন্তু জনগণকে আমরা গণনার বাইরে ফেলে দিয়েছি। আলোচনায় বিশিষ্টজনরা অংশ নেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বৈষম্যবিরোধী চেতনায় আমরা নতুন সরকার আনলাম। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে তারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রতিফলন করতে পারলো না। সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করা নেই। সর্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক বিকাশকে চিন্তা করছে এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর পক্ষে দাঁড়াবে, সেই দুর্বল জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য পদক্ষেপের ভেতরে গেল না এখন পর্যন্ত। সেহেতু সংস্কারের যেটুকু সম্ভাবনা ছিল, সংস্কারের সেই সম্ভাবনাটুকু গরিব মানুষ তো পরের কথা, এমনকি উৎপাদনশীল উদ্যোক্তা শ্রেণিও তার ভেতর এলো না।

তিনি বলেন, দু’টি মৌলিক প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। একটি হলো অন্তর্বর্তী সরকার। অর্থাৎ তার শুরুও আছে এবং একটা সুনির্দিষ্ট সীমিত সময়ের পরে তার শেষ আছে। এই জিনিসটাকে সামনে নিয়ে আসার এখন সময় হয়েছে যে, এটা একটা অনন্তকালীন সরকার নয়, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি হয়, তাহলে প্রথমে এখন যে দু’টি প্রশ্ন সবাইকে বিচলিত করছে, অন্তত আমাকে করে, এক নম্বর প্রশ্ন হলো- সরকারের নিরপেক্ষতা। একটা সরকারের নিরপেক্ষতা বললে তার মৌল আদর্শগত নিরপেক্ষতার কথা বলা হয় না। কারণ, সে পিছিয়ে পড়া মানুষের পক্ষে থাকবে এবং এটার একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যেহেতু দুর্বল জনগোষ্ঠীরা আরও বেশি দুর্বল বোধ করছে, অনেক বেশি বিপন্ন বোধ করছে। একটা স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যে রকমভাবে তাদের প্রতি অত্যাচার বা তাদের প্রান্তিকীকরণ হয়েছে, ঠিক একই রকমভাবে নারী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, জাতিগত সংখ্যালঘু…। লিঙ্গ বৈচিত্র্যের কথা তো বলাই যাচ্ছে না। এটা আরেক সমস্যা হয়ে গেছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সময় পাওয়ার অপেক্ষা”

রফতানি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কে ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ সরকার। এক্ষেত্রে দেশটি থেকে গম, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। তাছাড়া এলএনজি কেনার চুক্তিও করা হয়েছে, প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ কেনার। পাশাপাশি শুল্ক ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের কাছে সময় চেয়েছে ঢাকা। যদিও এখন পর্যন্ত আলোচনার তারিখ জানানো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সে ঘাটতি পূরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যে ১ আগস্ট থেকে বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৮ জুলাই এ ঘোষণার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ। এরই মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে দুই দফায় আলোচনাও করা হয়েছে। এসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাসহ বেশকিছু বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা-সংক্রান্ত শর্ত দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে সব শর্ত মানা সম্ভব না হলেও দেশটি থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া সামনে তৃতীয় দফায় আলোচনার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেটি তুলে ধরার বিষয়ও রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার মার্কিন বাজার থেকে গম, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রয়োগের আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। এর মধ্যে দরকষাকষির আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি কী? সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। আমরা আশা করছি শুল্ক হয়তো কিছুটা কমাবে। কারণ আমাদের ঘাটতি তো খুবই কম। ৬ বিলিয়ন ডলারের মতো।’

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে দ্রুত করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোসিয়েশন তো দূরের কথা। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।