০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোয় শিল্প স্থাপনায় আগুন ইন্দোনেশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সমঝোতা চূড়ান্তের পথে, জানুয়ারিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা শিকাগোতে সেনা মোতায়েন আটকাল সুপ্রিম কোর্ট, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা প্রশ্নের মুখে কুয়েত-চীনের চারশ কোটি ডলারের চুক্তিতে বদলে যাচ্ছে বন্দর ভবিষ্যৎ, জোরালো হবে বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বোমা আর বাস্তুচ্যুতির মাঝখানে গাজা, ফের ঘরছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অবরুদ্ধ মানুষ উত্তর সীমান্তে আকাশজুড়ে আলোর স্তম্ভ বিস্ময়ে মুগ্ধ বাসিন্দারা, বিরল শীতের ইঙ্গিত বিশ্ব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়াদ: সংঘাত নিরসনে সৌদি আরবের সংজ্ঞায়িত বছর ইয়েমেনে বন্দিবিনিময়ে বড় অগ্রগতি, দুই হাজার নয়শ’ জনের মুক্তিতে সমঝোতা অর্থনীতি টিকে থাকলেও জীবনের চাপে ক্লান্ত আমেরিকা, দুশ্চিন্তায় নতুন বছর

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৫)

কেরোসিনের টান সহ ও লাকুড় ইত্যাদি সহ নদীর দক্ষিণ নৌকাযোগে উপস্থিত হইলেন।

কিন্তু যে রকম বাত্যার জোর দেখিতেছি নবাবের ছাতে নামা যাইবে কি না সন্দেহ, বাস্তবিক সে সময় ধূ ধূ শব্দে অত্যন্ত বেগে দক্ষিণ প্রভঞ্জন বহিতেছিল। আর ঐ যুব ইউরুপীয়ান বলিয়াছিল যে, আমি ও আমার মা বেলুনে উড়িতে অভ্যস্ত, কিন্তু আমার ভগিনী পরিপক্ব নহে। কখনও কখনও সে উড়িয়াছে বটে, কিন্তু পরিপক্ব হয় নাই। কিন্তু সে নবাবের পারিতোষিকের আশায় উড়িবার সংকল্প করিয়াছে।

আমি ও আমার মা তাহাকে বুঝাইয়া আমরা দুইজন হইতে একজন উড়িবার চেষ্টা করিতেছি, দেখা যাউক কী হয়। নবাব সাহেব ১০,০০০ দশ হাজার টাকার চুক্তিতে ইংলন্ড হইতে আমাদিগকে একবার মাত্র উড়াইবার জন্য আনাইয়াছেন কিন্তু এখন তিনি বলিতেছেন যে, তোমরা নদীর ঐপার হইতে উড়িয়া আসিয়া আমার ছাতে নামিতে হইবে।

সেকালের পত্রিকায় প্রকাশিত জিনেটের মৃত্যুর খবর 

আমার মেয়েছেলেরা দেখিতে চায়, আমরা বলিলাম যেরকম বাত্যার জোর দেখা যাইতেছে, আপনার ছাতে নামিতে পারিব বলিয়া গ্রান্টি দিতে পারি না। তিনি বলিলেন ঐরূপ করিতে পারিলে তোমাদিগকে আরও পুরস্কৃত করিব। আমরা বলিলাম কত টাকা? তিনি বলিলেন ৪৫০০ সাড়ে চারি হাজার টাকা আরও দিব। ইতিমধ্যে আমার ভগ্নি বলিয়া উঠিল আরও ৫০০০, পাঁচ হাজার টাকা দেন, ছাতে নামিতে পারি কি না, আছি উড়িয়া ছাতে নামার চেষ্টা করিব।

এইমাত্র কথা হইয়াছে তখন জনশ্রুতি মধ্যে মুখে ২ এই কথাসমূহ প্রচার হইয়া যাওয়ায় নৌকা করিয়া বহু লোক দক্ষিণ পারে যাইতে আরম্ভ করিল। বের কেহবা নৌকা করিয়া নদীতে নৌকা রাখিয়া তামাসা দেখিবার চেষ্টা পাইতে লাগিল। আমরাও এক নৌকা করিয়া নদীর মধ্যভাগে যাইয়া রহিলাম। ইতিমধ্যে বেলুন পরিচালক ইউরুপীয়ানত্রয় কতিপয় লোকসহ ও বেলুনসহ অন্যান্য আসবাবপত্রাদি লইয়া নদীর দক্ষিন পাড়ে বহুতর কেরোসিনের টান সহ ও লাকুড় ইত্যাদি সহ নদীর দক্ষিণ নৌকাযোগে উপস্থিত হইলেন।

ও বেলুনের চতুঃপার্শ্বস্থ রশি খুট্যসকল বেলুন হইতে একটু দূরে সরাইয়া দুটীসকল মৃত্তিকায় গাড়িতে লাগিল, ও বেলুনটি যেমন ঠিক তাঁবুর মতো দেখা যাইতে লাগিল। তাহার ভিতরে লাকুড়ি, কয়লা ইত্যাদি ঘুম হওয়ার সামগ্রী নিয়া কেরাসিন তৈল ঢালিতে লাগিল, ও অগ্নি প্রজ্জলিত করিল।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৪)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৪)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৫)

০৭:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

কেরোসিনের টান সহ ও লাকুড় ইত্যাদি সহ নদীর দক্ষিণ নৌকাযোগে উপস্থিত হইলেন।

কিন্তু যে রকম বাত্যার জোর দেখিতেছি নবাবের ছাতে নামা যাইবে কি না সন্দেহ, বাস্তবিক সে সময় ধূ ধূ শব্দে অত্যন্ত বেগে দক্ষিণ প্রভঞ্জন বহিতেছিল। আর ঐ যুব ইউরুপীয়ান বলিয়াছিল যে, আমি ও আমার মা বেলুনে উড়িতে অভ্যস্ত, কিন্তু আমার ভগিনী পরিপক্ব নহে। কখনও কখনও সে উড়িয়াছে বটে, কিন্তু পরিপক্ব হয় নাই। কিন্তু সে নবাবের পারিতোষিকের আশায় উড়িবার সংকল্প করিয়াছে।

আমি ও আমার মা তাহাকে বুঝাইয়া আমরা দুইজন হইতে একজন উড়িবার চেষ্টা করিতেছি, দেখা যাউক কী হয়। নবাব সাহেব ১০,০০০ দশ হাজার টাকার চুক্তিতে ইংলন্ড হইতে আমাদিগকে একবার মাত্র উড়াইবার জন্য আনাইয়াছেন কিন্তু এখন তিনি বলিতেছেন যে, তোমরা নদীর ঐপার হইতে উড়িয়া আসিয়া আমার ছাতে নামিতে হইবে।

সেকালের পত্রিকায় প্রকাশিত জিনেটের মৃত্যুর খবর 

আমার মেয়েছেলেরা দেখিতে চায়, আমরা বলিলাম যেরকম বাত্যার জোর দেখা যাইতেছে, আপনার ছাতে নামিতে পারিব বলিয়া গ্রান্টি দিতে পারি না। তিনি বলিলেন ঐরূপ করিতে পারিলে তোমাদিগকে আরও পুরস্কৃত করিব। আমরা বলিলাম কত টাকা? তিনি বলিলেন ৪৫০০ সাড়ে চারি হাজার টাকা আরও দিব। ইতিমধ্যে আমার ভগ্নি বলিয়া উঠিল আরও ৫০০০, পাঁচ হাজার টাকা দেন, ছাতে নামিতে পারি কি না, আছি উড়িয়া ছাতে নামার চেষ্টা করিব।

এইমাত্র কথা হইয়াছে তখন জনশ্রুতি মধ্যে মুখে ২ এই কথাসমূহ প্রচার হইয়া যাওয়ায় নৌকা করিয়া বহু লোক দক্ষিণ পারে যাইতে আরম্ভ করিল। বের কেহবা নৌকা করিয়া নদীতে নৌকা রাখিয়া তামাসা দেখিবার চেষ্টা পাইতে লাগিল। আমরাও এক নৌকা করিয়া নদীর মধ্যভাগে যাইয়া রহিলাম। ইতিমধ্যে বেলুন পরিচালক ইউরুপীয়ানত্রয় কতিপয় লোকসহ ও বেলুনসহ অন্যান্য আসবাবপত্রাদি লইয়া নদীর দক্ষিন পাড়ে বহুতর কেরোসিনের টান সহ ও লাকুড় ইত্যাদি সহ নদীর দক্ষিণ নৌকাযোগে উপস্থিত হইলেন।

ও বেলুনের চতুঃপার্শ্বস্থ রশি খুট্যসকল বেলুন হইতে একটু দূরে সরাইয়া দুটীসকল মৃত্তিকায় গাড়িতে লাগিল, ও বেলুনটি যেমন ঠিক তাঁবুর মতো দেখা যাইতে লাগিল। তাহার ভিতরে লাকুড়ি, কয়লা ইত্যাদি ঘুম হওয়ার সামগ্রী নিয়া কেরাসিন তৈল ঢালিতে লাগিল, ও অগ্নি প্রজ্জলিত করিল।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৪)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৪৪)