০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
মার্কিন ধনী বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত: ব্যক্তিগত শেয়ার ব্যবসায় প্রবেশ করল চার্লস শোয়াব চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে ৪৮ রানে দাপুটে জয় ভারতের দক্ষিণ লেবাননে নতুন বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল কর্ণাটকের ‘পিরিয়ড লিভ’ নীতি: প্রগতিশীল পদক্ষেপ নাকি শুধুই প্রতীকী উদ্যোগ? আফগানিস্তানে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের রাজধানীর ৬০ নটিক্যাল মাইল এলাকাজুড়ে বিমান চলাচলে জিপিএস বিভ্রাট, পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের উদ্বেগ ভারতের কেরালা সাবরিমালা স্বর্ণ আত্মসাত মামলা: আরও এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার আরব আমিরাতে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে বিপ্লব উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় উদ্যোক্তা ও নেতাদের অসাধারণ অবদান মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে নতুন অধ্যায় গড়ছে জিই অ্যারোস্পেস

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৫)

‘এই সময়ে তিনজন অর্হৎ সম্পূর্ণ সমাধিস্থ অবস্থায় একটা পর্বতগুহায় আছেন।

এই সংবাদ পেরে হিউ এনচাঙ তুরফান যাওয়ার সংকল্প ত্যাগ করলেন। চীন থেকে পশ্চিম এশিয়া পর্যন্ত যে দুইটা ‘রেশমের বড় সড়ক’ ৩০ আজও আছে তার মধ্যে উত্তরের সড়কটা দিয়ে হিউ এনচাঙ ভারতবর্ষে এসেছিলেন। এখন দক্ষিণের পথটা ধরে অর্থাৎ কাশগর থেকে তকূলমকান্ মরুভূমির পশ্চিম ও দক্ষিণ পথ ধরে খোটান্ লবণরের পথে প্রত্যাগমন করাই স্থির করলেন।

এতএব উত্তরে সামারখণ্ডের দিকে না গিয়ে তিনি এখান থেকেই পূবদিকে গিয়ে পর্বতমালার ভিতরে প্রবেশ করলেন। একদল বণিক এখান থেকে তাঁর সঙ্গী হলেন। তুষারের জন্যে পথ বন্ধ থাকায় বাদাক্শানে তাঁরা একমাসের বেশি ছিলেন- তার পর পামিরের পূর্ব পাশে বন্ধু আর সীতা নদীর (আধুনিক নাম ইয়ারকাও নদী) বিভাজিকায় ওয়াখান্ বা টাশকুরগানে এলেন।

‘এই স্থানের বাট মাইল দক্ষিণ-পূর্বে একটি খাড়া দেওয়ালের মতন পর্বতে দুইটি গুহা। এর প্রত্যেকটিতে এক-একজন অর্থং সমাধিস্থ হয়ে নিশ্চলভাবে উপবিষ্ট। যদিও এরা সাত শ বছর যাবৎ এইভাবে আছেন তবু এদের শরীর খুব শীর্ণ হলেও ধ্বংস হয় নি।’

দস্যুরা চলে গেলে ধর্মগুরু এদেশে দিনকুড়ি থেকে আবার ‘মুস্তাঘ আটা’র উঁচু পর্বতের পশ্চিম পাশ দিয়ে উত্তর দিকে চললেন। এই সময় আবার এক দুর্ঘটনা ঘটল। পথে তাঁরা একদল দস্যুর সাক্ষাৎ পেলেন। সঙ্গী বণিকরা দস্যুদের দেখে ভয়ে পর্বতের দিকে পালিয়ে গেল আর সঙ্গে হাতীগুলো এদিক ওদিক ছুটে গিয়ে জলে ডুবে মারা গেল। তাঁরা আবার অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ কাশগড়ে এবং সেখান থেকে দক্ষিণ-পূবে ইয়ারকাণ্ড এসে পৌঁছলেন।

হিউ এনচাঙ বলেন যে, ইয়ারকাণ্ডের দক্ষিণে একটা খুব উঁচু পর্বতে কতকগুলি গুহা আছে। ভারতের অনেক লোক বোধিপ্রাপ্ত হয়ে শান্তিতে থাকবার জন্যে তাঁদের আলৌকিক শক্তি-বলে এখানে এসে অবস্থান করেন আর তাঁদের মধ্যে অনেকে নির্বাণপ্রাপ্ত হয়েছেন।- ‘এই সময়ে তিনজন অর্হৎ সম্পূর্ণ সমাধিস্থ অবস্থায় একটা পর্বতগুহায় আছেন। তাঁদের চুল দাড়ি ক্রমশঃ বড় হয়ে যায় বলে ভিক্ষুরা মধ্যে মধ্যে গিয়ে ঐগুলি কেটে দিয়ে আসেন।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন ধনী বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত: ব্যক্তিগত শেয়ার ব্যবসায় প্রবেশ করল চার্লস শোয়াব

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৫)

০৯:০০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

‘এই সময়ে তিনজন অর্হৎ সম্পূর্ণ সমাধিস্থ অবস্থায় একটা পর্বতগুহায় আছেন।

এই সংবাদ পেরে হিউ এনচাঙ তুরফান যাওয়ার সংকল্প ত্যাগ করলেন। চীন থেকে পশ্চিম এশিয়া পর্যন্ত যে দুইটা ‘রেশমের বড় সড়ক’ ৩০ আজও আছে তার মধ্যে উত্তরের সড়কটা দিয়ে হিউ এনচাঙ ভারতবর্ষে এসেছিলেন। এখন দক্ষিণের পথটা ধরে অর্থাৎ কাশগর থেকে তকূলমকান্ মরুভূমির পশ্চিম ও দক্ষিণ পথ ধরে খোটান্ লবণরের পথে প্রত্যাগমন করাই স্থির করলেন।

এতএব উত্তরে সামারখণ্ডের দিকে না গিয়ে তিনি এখান থেকেই পূবদিকে গিয়ে পর্বতমালার ভিতরে প্রবেশ করলেন। একদল বণিক এখান থেকে তাঁর সঙ্গী হলেন। তুষারের জন্যে পথ বন্ধ থাকায় বাদাক্শানে তাঁরা একমাসের বেশি ছিলেন- তার পর পামিরের পূর্ব পাশে বন্ধু আর সীতা নদীর (আধুনিক নাম ইয়ারকাও নদী) বিভাজিকায় ওয়াখান্ বা টাশকুরগানে এলেন।

‘এই স্থানের বাট মাইল দক্ষিণ-পূর্বে একটি খাড়া দেওয়ালের মতন পর্বতে দুইটি গুহা। এর প্রত্যেকটিতে এক-একজন অর্থং সমাধিস্থ হয়ে নিশ্চলভাবে উপবিষ্ট। যদিও এরা সাত শ বছর যাবৎ এইভাবে আছেন তবু এদের শরীর খুব শীর্ণ হলেও ধ্বংস হয় নি।’

দস্যুরা চলে গেলে ধর্মগুরু এদেশে দিনকুড়ি থেকে আবার ‘মুস্তাঘ আটা’র উঁচু পর্বতের পশ্চিম পাশ দিয়ে উত্তর দিকে চললেন। এই সময় আবার এক দুর্ঘটনা ঘটল। পথে তাঁরা একদল দস্যুর সাক্ষাৎ পেলেন। সঙ্গী বণিকরা দস্যুদের দেখে ভয়ে পর্বতের দিকে পালিয়ে গেল আর সঙ্গে হাতীগুলো এদিক ওদিক ছুটে গিয়ে জলে ডুবে মারা গেল। তাঁরা আবার অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ কাশগড়ে এবং সেখান থেকে দক্ষিণ-পূবে ইয়ারকাণ্ড এসে পৌঁছলেন।

হিউ এনচাঙ বলেন যে, ইয়ারকাণ্ডের দক্ষিণে একটা খুব উঁচু পর্বতে কতকগুলি গুহা আছে। ভারতের অনেক লোক বোধিপ্রাপ্ত হয়ে শান্তিতে থাকবার জন্যে তাঁদের আলৌকিক শক্তি-বলে এখানে এসে অবস্থান করেন আর তাঁদের মধ্যে অনেকে নির্বাণপ্রাপ্ত হয়েছেন।- ‘এই সময়ে তিনজন অর্হৎ সম্পূর্ণ সমাধিস্থ অবস্থায় একটা পর্বতগুহায় আছেন। তাঁদের চুল দাড়ি ক্রমশঃ বড় হয়ে যায় বলে ভিক্ষুরা মধ্যে মধ্যে গিয়ে ঐগুলি কেটে দিয়ে আসেন।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৫৪)