০৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৬) এআই দিয়ে রাজনৈতিক প্রচারণার ভিডিও বানাচ্ছে কারা, শঙ্কা কোথায়? ২০২৫ সালে ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নবগঙ্গা নদী: ইতিহাস, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও বর্তমান সংকট কঙ্কালসার হেমন্ত ‘ইন্ডিয়া আউট’ থেকে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’, ভারত-মালদ্বীপের সম্পর্কের সমীকরণ কি বদলাচ্ছে? গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে করিডোর খুলছে ইসরায়েল সহকারীর চাকরি হারিয়ে ছেলের সংগ্রাম, বাবার অসুস্থতা ও বাজারের আগুনে দগ্ধ এক পরিবার মোবাইল ও ইন্টারনেট বদলে দিচ্ছে টাকা লেনদেনের পদ্ধতি ভেপিং কি সত্যিই ফুসফুসের অপ্রতিকারযোগ্য রোগ সৃষ্টি করে? বিজ্ঞান যা বলছে, তা জানুন

২০২৫ সালে ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে মালয়েশিয়া ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে।

শুধু ২২ থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যেই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (KLIA) থেকে ৩২১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • ২৪ জুলাই, ১৯৮ জন বিদেশির মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশিকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়—হোটেল বুকিং না থাকা, আর্থিক অপ্রতুলতা, অস্পষ্ট ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং সন্দেহভাজন মানব পাচার সিন্ডিকেটের সাথে সংশ্লিষ্টতা।
  • ২৫ জুলাই, আরও ৮০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয় একটি বিশেষ অভিবাসন অভিযানের অংশ হিসেবে, যেখানে তাদের কাগজপত্র ও আর্থিক সক্ষমতার ঘাটতি ধরা পড়ে।

এর আগে জুলাইয়ের মাঝামাঝি৯৬ জন বাংলাদেশিকে একইভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে, ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আবার অনেককে “নট-টু-ল্যান্ড” তালিকায় রাখা হয়েছে।

জুন ও জুলাইয়ে, মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ Gerakan Militan Radikal Bangladesh (GMRB) নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করে। এ সংগঠন allegedly সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে আইএস-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং কর্মী নিয়োগে যুক্ত ছিল।

Malaysia Airports May Be Privatised Before GIP Stake Sale: Edge - Bloomberg

এসব ঘটনার পর বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও প্রবাসী নীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

মালয়েশিয়া যখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করছে, তখন বাংলাদেশ এক কঠিন অবস্থায় পড়েছে—নাগরিকদের চলাফেরার অধিকার রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিশ্বাস পুনর্গঠনের চাপ সামলানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতি অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিয়ে একটি ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েনের দিকেই ইঙ্গিত করছে, বিশেষ করে এমন একটি অঞ্চলে যা ইতিমধ্যে ভূরাজনৈতিকভাবে অস্থির।

 

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৮৬)

২০২৫ সালে ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

০৭:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে মালয়েশিয়া ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে তাদের দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে।

শুধু ২২ থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যেই কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (KLIA) থেকে ৩২১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • ২৪ জুলাই, ১৯৮ জন বিদেশির মধ্যে ১২৩ জন বাংলাদেশিকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়—হোটেল বুকিং না থাকা, আর্থিক অপ্রতুলতা, অস্পষ্ট ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং সন্দেহভাজন মানব পাচার সিন্ডিকেটের সাথে সংশ্লিষ্টতা।
  • ২৫ জুলাই, আরও ৮০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয় একটি বিশেষ অভিবাসন অভিযানের অংশ হিসেবে, যেখানে তাদের কাগজপত্র ও আর্থিক সক্ষমতার ঘাটতি ধরা পড়ে।

এর আগে জুলাইয়ের মাঝামাঝি৯৬ জন বাংলাদেশিকে একইভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে, ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের অনেকে তাৎক্ষণিকভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আবার অনেককে “নট-টু-ল্যান্ড” তালিকায় রাখা হয়েছে।

জুন ও জুলাইয়ে, মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ Gerakan Militan Radikal Bangladesh (GMRB) নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে গ্রেফতার করে। এ সংগঠন allegedly সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে আইএস-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং কর্মী নিয়োগে যুক্ত ছিল।

Malaysia Airports May Be Privatised Before GIP Stake Sale: Edge - Bloomberg

এসব ঘটনার পর বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের অতিরিক্ত জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও প্রবাসী নীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

মালয়েশিয়া যখন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করছে, তখন বাংলাদেশ এক কঠিন অবস্থায় পড়েছে—নাগরিকদের চলাফেরার অধিকার রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিশ্বাস পুনর্গঠনের চাপ সামলানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতি অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিয়ে একটি ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েনের দিকেই ইঙ্গিত করছে, বিশেষ করে এমন একটি অঞ্চলে যা ইতিমধ্যে ভূরাজনৈতিকভাবে অস্থির।