সোমবার, ২৮ জুলাই: ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
সোমবার ঢাকায় আকাশ সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং দিনভর বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৮৫ শতাংশের বেশি, যার ফলে গুমোট ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া অনুভূত হবে। ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হতে পারে, যেখানে ৫০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের পর মেঘের ঘনত্ব ও বাতাসের গতিও বাড়তে পারে, যা জনজীবনে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই: হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি
মঙ্গলবার ঢাকায় সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তাপমাত্রা কিছুটা কমে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের দিকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামবে। সারাদেশে মূলত পূর্বাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির প্রবণতা বেশি থাকবে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তুলনামূলকভাবে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। সড়কপথে জলাবদ্ধতার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বুধবার, ৩০ জুলাই: আকাশ মেঘলা, থেমে থেমে বৃষ্টি
বুধবার দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৮০ শতাংশের আশপাশে, ফলে শরীরে ঘাম ও অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। নদ-নদীর আশপাশের এলাকায় পানির উচ্চতা বাড়তে পারে, তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা আপাতত নেই।
সারাদেশে জলবায়ুর সার্বিক পরিস্থিতি
বর্তমানে বাংলাদেশে বর্ষাকাল মধ্যম পর্যায়ে রয়েছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান এই মৌসুমে মেঘের আচ্ছাদন, আর্দ্রতা, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও মাঝেমধ্যে ঝোড়ো হাওয়া একত্রে আবহাওয়ার ওপর প্রভাব ফেলে। এই সময় শহর ও গ্রামে সমানভাবে পরিবহন, কৃষিকাজ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে। অধিক বৃষ্টির কারণে নিচু এলাকায় পানি জমে সড়কপথ ও রেলপথে যাতায়াতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক শহরে জলাবদ্ধতা ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার আশঙ্কাও থাকে।
পরামর্শ ও সতর্কতা
- বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখা উচিত।
- যেসব এলাকায় বিদ্যুতের তার নিচে দিয়ে পানি জমে থাকে,সেখানে চলাচলে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
- যাদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা রয়েছে,তাদের ঘন মেঘলা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় মাস্ক ব্যবহার এবং সম্ভব হলে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
- বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত শুকনো পোশাক পরিধান এবং মাথা শুকিয়ে নেওয়া ভালো।
- শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডা,জ্বর এবং ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তাদের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
পরবর্তী তিন দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে। তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করবে এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮০ শতাংশের বেশি থাকবে। এর প্রভাবে পরিবহন, ব্যবসা ও কৃষি খাতে নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সচেতনতা নিয়ে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।