০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

খায়রুল হকের জামিন প্রশ্নে প্রধান বিচারপতির কাছে জেড আই খান পান্নার খোলা চিঠি

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় জামিন না-মেলা নিয়ে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ।

চিঠির মূল বক্তব্য

দুজন আইনবিদ লিখেছেন, বিচারপতি খায়রুল হকের দেওয়া রায়গুলো বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইনে নতুন দিগন্ত খুলেছে। তাই সহকর্মীদের সহায়তায় ন্যায্য রায় ঘোষণার কারণে কিংবা খণ্ডিত তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার মানবাধিকার এবং বিচারিক রীতিনীতির পরিপন্থী।

বিচার বিভাগ নিয়ে উদ্বেগ

চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, “জুলাই আন্দোলন”–সংক্রান্ত একটি কাল্পনিক হত্যা মামলা সহ একাধিক অবিশ্বাস্য ফৌজদারি অভিযোগ এনে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে—যা সংবিধানের মূল চেতনা ও বিচারকদের সুরক্ষা বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। লেখকদের আশঙ্কা, এই নজির অটুট থাকলে ভবিষ্যতে বিচারপতিরা নিরাপদ বোধ করবেন না; এতে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা নষ্ট হবে এবং আইনি গবেষণায় স্থায়ী ক্ষত তৈরি হবে।

প্রধান বিচারপতির প্রতি আবেদন

আইনি ভ্রাতৃত্ব এবং নাগরিক দায়িত্ব থেকে তাঁরা প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান জানিয়েছেন—

  • জামিনের পথে থাকা অদৃশ্য বাধাগুলো দূর করতে।
  • বিচারপতি খায়রুল হকের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নিশ্চিত করতে।
  • নির্বাহী বিভাগের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের স্বাধীন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে।

সম্ভাব্য ফল

চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ আইনের সমগ্র কাঠামোর ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিপরীতে, অবিলম্বে সুবিচার নিশ্চিত করা গেলে আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

খায়রুল হকের জামিন প্রশ্নে প্রধান বিচারপতির কাছে জেড আই খান পান্নার খোলা চিঠি

১১:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় জামিন না-মেলা নিয়ে বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ।

চিঠির মূল বক্তব্য

দুজন আইনবিদ লিখেছেন, বিচারপতি খায়রুল হকের দেওয়া রায়গুলো বাংলাদেশের সাংবিধানিক আইনে নতুন দিগন্ত খুলেছে। তাই সহকর্মীদের সহায়তায় ন্যায্য রায় ঘোষণার কারণে কিংবা খণ্ডিত তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার মানবাধিকার এবং বিচারিক রীতিনীতির পরিপন্থী।

বিচার বিভাগ নিয়ে উদ্বেগ

চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, “জুলাই আন্দোলন”–সংক্রান্ত একটি কাল্পনিক হত্যা মামলা সহ একাধিক অবিশ্বাস্য ফৌজদারি অভিযোগ এনে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে—যা সংবিধানের মূল চেতনা ও বিচারকদের সুরক্ষা বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। লেখকদের আশঙ্কা, এই নজির অটুট থাকলে ভবিষ্যতে বিচারপতিরা নিরাপদ বোধ করবেন না; এতে ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা নষ্ট হবে এবং আইনি গবেষণায় স্থায়ী ক্ষত তৈরি হবে।

প্রধান বিচারপতির প্রতি আবেদন

আইনি ভ্রাতৃত্ব এবং নাগরিক দায়িত্ব থেকে তাঁরা প্রধান বিচারপতিকে আহ্বান জানিয়েছেন—

  • জামিনের পথে থাকা অদৃশ্য বাধাগুলো দূর করতে।
  • বিচারপতি খায়রুল হকের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নিশ্চিত করতে।
  • নির্বাহী বিভাগের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের স্বাধীন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে।

সম্ভাব্য ফল

চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ আইনের সমগ্র কাঠামোর ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিপরীতে, অবিলম্বে সুবিচার নিশ্চিত করা গেলে আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।