প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আশাবাদ
কয়েক মাস ধরে হোয়াইট হাউসের ভেতরে এমন ধারণা ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করার মতো প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই একটি সমঝোতা তৈরি হয়ে ছিল। ভারতীয় কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করছিলেন, শুধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদন পেলেই চুক্তি চূড়ান্ত হবে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে নিজেও ট্রাম্প বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গেও সম্ভাবনা রয়েছে।

হঠাৎ দৃষ্টি পরিবর্তন ও আলোচনার স্থবিরতা
তবে এরপর ট্রাম্পের মনোযোগ দ্রুত ইইউ-এর দিকে সরে যায় এবং ভারতের সঙ্গে আলোচনা কার্যত থমকে যায়। প্রশাসনের এক কর্মকর্তার মতে, বিশ্বের অন্যতম উচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ হিসেবে ভারত অনেক বাণিজ্য বাধা কমাতে রাজি হলেও সবগুলো সরাতে রাজি হয়নি। বিপরীতে ইন্দোনেশিয়ার মতো কিছু দেশ শুল্কহার প্রায় শূন্যে নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ফলে তুলনামূলকভাবে ভারতের প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে অপ্রতুল মনে হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি
প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ আরেক সূত্র জানায়, ট্রাম্প ইতোমধ্যেই একাধিক দেশকে শূন্য বা শূন্যের কাছাকাছি শুল্কে রাজি করিয়েছেন। তাই ভারতের প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে দলটি বুঝতে পারে, তা প্রয়োজনীয় মান পূরণ করছে না।

মোদি-ট্রাম্প সরাসরি আলোচনার অভাব
ভারতের পক্ষ থেকে বিশ্বাস করা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি সাক্ষাৎ বা ফোনালাপে কথা বললে চুক্তি সম্ভব হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিরোধী রাজনৈতিক চাপের কারণে মোদি এমন অবস্থায় যেতে চাননি যেখানে ট্রাম্পের প্রকাশ্য ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হবে।
শক্তিশালী নেতৃত্বের ভাবমূর্তি রক্ষা
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ব্যবসা পরিষদের প্রেসিডেন্ট মুখেশ আঘি বলেন, মোদি নিজেকে শক্তিশালী নেতা হিসেবে তুলে ধরেছেন। এমন অবস্থায় অন্য দেশের নেতার প্রকাশ্য সমালোচনা তার ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই তিনি এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিরত থেকেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নেতাদের সরাসরি ফোনালাপ ছাড়াই চুক্তি করেছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















