সমকালের একটি শিরোনাম “সাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন নির্যাতনও বাড়ছে”
বিপদগ্রস্ত শিশুদের সাহায্য করতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের চালু করা চাইল্ড হেল্পলাইনে গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে সহায়তা চেয়ে ফোনকল এসেছে ২৬ হাজার ১০০টি। গত বছরের একই সময়ে হেল্পলাইনে ফোন এসেছিল ১৯ হাজার ২৬৫টি। গত বছরের তুলনায় এ বছর শিশু নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনায় সহায়তা চাওয়ার ঘটনা বেড়েছে প্রায় সাত হাজার।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার চিত্র দেখা গেছে। তাদের তথ্যমতে, গত সাত মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৬৪০ শিশু। গত বছরের একই সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ৪৬৩ শিশু। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩০৬ শিশু। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭৫। তার আগের বছর (২০২৩) একই সময়ে সহিংসতার ঘটনা ছিল ৬১৮ এবং ধর্ষণের শিকার হয় ১৯৪ শিশু।
গত সাত মাসে অবশ্য শিশুহত্যার ঘটনা আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমেছে। এই সময়ে ২৫৯ শিশুকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। মা, বাবা, সৎমা, আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং দুর্বৃত্তের হাতে প্রাণ গেছে তাদের। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জনকে। শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের। নিখোঁজ থাকার পর লাশ উদ্ধার করা হয় ৩৫ শিশুর। গত বছরের একই সময়ে (সাত মাস) হত্যার শিকার হয় ৩২৫ শিশু। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত শিশুরা এই পরিসংখ্যানে নেই। এর আগে ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসে খুন হয়েছে ২৯২ জন এবং ২০২২ সালে একই সময় খুনের সংখ্যা ২৯৩।
সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮-এ কল আসার চিত্রও উর্ধ্বমুখী। ২০২৪ সালে শিশু নির্যাতন ও সহিংসতা সংক্রান্ত কল ছিল ২০২৩ সালের চেয়ে প্রায় চার হাজার বেশি। ২০২৩ সালে কল এসেছিল ১৫ হাজার ৭৮৫টি, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২২ সালে নম্বরটিতে এ ধরনের অভিযোগ জানিয়ে কল এসেছে ৮ হাজার ২১টি।
শিশুর সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত এ হেল্পলাইনে নির্যাতন, আইনি সহায়তা, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা, স্কুল-সম্পর্কিত বিষয়সহ নানা কারণে কল করে সাহায্য চায় শিশু নিজে বা তার মা-বাবা বা অভিভাবক বা অন্য কেউ।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ফ্লাইট এক্সপার্ট: গ্রামবাসীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়েছেন এমডি”
উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে। এর পরিমাণ কোটি টাকার বেশি। ভুক্তভোগীরা এখন টাকার জন্য ঘুরছেন, তবে পাচ্ছেন না কাউকে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইমের গ্রামে গিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে সাইমদের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
সাইমের বাবা এম এ রশিদ শাহ ও তাঁর চাচা ইয়াছিন ব্যাপারীর বসতভিটা থাকলেও কোনো ঘর নেই। প্রতিবেশী এক নারী বলেন, রশিদ শাহ্ ও তাঁর ভাই ইয়াছিন ১৫ বছর আগে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যান। সর্বশেষ তিন বছর আগে রশিদ শাহ এসে তাঁদের বসতঘর দুটি বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের দুটি বসতঘরের ভিটা খালি পড়ে আছে।
কাদলা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. জহির মুন্সি বলেন, ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট নামের কোম্পানির এমডি সাইম ও তাঁর বাবা রশিদ শাহ্ অফিস থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরপর টেলিভিশনেও সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর এলাকার লোকজন ঘটনাটি জানতে পারে। সাইমদের ফ্লাইট এক্সপার্ট থেকে কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন টিকিট ক্রয় ও বুকিং দিয়েছেন। তাঁরা সবাই টাকার জন্য গিয়ে অফিস বন্ধ পেয়েছেন। যত দূর জেনেছি, রশিদ শাহ্ ও ইয়াছিনের ট্রাভেল এজেন্সি অফিস খোলা রয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “হলে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঢাবির হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে প্রথম মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শুরু করে। পরে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও মিছিলে অংশ নেন। মধ্যরাতের পর রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা হল ফটকের তালা ভেঙে বিক্ষোভে যোগ দেন।
মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’, ‘হলে হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান তেন।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জুলাই সনদে শ্রমিকদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই”
অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত জুলাই সনদে শ্রমিকদের আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি। এমনকি ঐকমত্য কমিশনের শ্রম ও নারীবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কমিশনের সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে শ্রমিকের আকাঙ্ক্ষা, জীবন-জীবিকা ও জবানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর, শ্রমিক আকাঙ্ক্ষা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময়ে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন সভাপ্রধান ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তাসলিমা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দীনা সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান আশরাফ, নাট্যকর্মী ঋতু সাত্তার, দৃশ্যমাধ্যম সমাজের সংগঠক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আকরাম খান, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব, শ্রম বিকাশ কেন্দ্রের পরিচালক সীমা দাস সিমু, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভুইয়া ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ফকির, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শ্রমিক তফাজ্জল হোসেন, গ্রীন বাংলা গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা, শ্রমিক নেতা রাজু আহমেদ, শামীম ইমাম প্রমুখ।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















