সমকালের একটি শিরোনাম “ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে চাইবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি: বাণিজ্য উপদেষ্টা”
স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, ‘চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধু ভারত থেকে নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চাইবে সেখান থেকেই অনুমতি দেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য পেঁয়াজের দাম কমানো, সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে দাম কম পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
সম্প্রতি ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিলো। তবে আমদানির দিনক্ষণ ও পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “দেশ গঠনে ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চায় বাংলাদেশ, মালয়েশিয়ার প্রতিশ্রুতি”
তুন করে দেশ গঠনের কার্যক্রমে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মালয়েশিয়া। পাশাপাশি মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশের প্রতি সমর্থন জোরদার করার ঘোষণাও দিয়েছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা ও সংবাদমাধ্যম ডেইলি সানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের প্রতি মালয়েশিয়ার গভীর সম্মান এবং সহযোগিতার প্রতিফলন হিসেবে এসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওপর শরণার্থী সংকটের অতিরিক্ত চাপ থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া এবং আঞ্চলিক অংশীদাররা এই সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আনোয়ার ইব্রাহিম আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের সময় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শরণার্থী এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্তদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান আমাদের অতি জরুরি দায়িত্ব। পাশাপাশি মিয়ানমার সংকটের স্থায়ী সমাধান আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।’
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের প্রতিনিধিদের একটি দল অচিরেই মিয়ানমারে পাঠানো হবে, যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হয়রানি বন্ধ করা যায়।’ তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের তরফ থেকে বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে নেওয়া একাধিক উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ নিউইয়র্ক, কাতার ও মালয়েশিয়ায় এ সংকট নিয়ে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছি এবং আগামী ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ করে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন। মালয়েশিয়া আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া আমাদের সমর্থনে সব সময় এগিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার সমাধানে মালয়েশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আসিয়ান চেয়ারম্যান হিসেবে মালয়েশিয়ার এই ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং আমরা এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশা করি।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির বহুমুখী সম্পর্কের কথাও তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকেরা মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। এ জন্য মালয়েশিয়া তাদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার ব্যবস্থা করেছে, যাতে তারা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপদে থাকতে পারেন।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়তে জেড আই খান পান্নার আবেদন, ট্রাইব্যুনালের ‘না’’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে আইনজীবী হতে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। মঙ্গলবার তার পক্ষে আইনজীবী নাজনীন নাহার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদনটি দাখিল করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে এসে তার এমন আবেদনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই।’
আইনজীবী জেড আই খান পান্নার আবেদনের পর ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোনো আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “সরকারি প্রতিষ্ঠানের ২২০০ কোটি টাকা আমানত ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ”
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পদ্মা ব্যাংকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় অংকের অর্থ আমানত রাখা হয়েছিল। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। নজিরবিহীন ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে পদ্মা ব্যাংক। যত দিন যাচ্ছে ব্যাংকটির অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি নিয়ে পদ্মা ব্যাংক বর্তমানে দেউলিয়া হওয়ার পথে। এ অবস্থায় ব্যাংকটির কাছে গচ্ছিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের অর্থ ফেরতের জন্য করণীয় নির্ধারণে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ব্যাংকটিকে আমানতের অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও অনিয়মে বিপর্যস্ত পদ্মা ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের অর্থ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান পদ্মা ব্যাংকে আমানত রেখেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টেরই রয়েছে ৮৯৯ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংকটিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), জীবন বীমা করপোরেশন, সাধারণ বীমা করপোরেশন, তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসহ সরকারি আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের আমানতের অর্থ আটকে আছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকে ৪৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
পদ্মা ব্যাংকে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার আটকে থাকা আমানতের অর্থ আদায়ের জন্য করণীয় নির্ধারণে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়েছে যে আমানতের অর্থের পরিমাণ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও পদ্মা ব্যাংকের মধ্যে যে মতপার্থক্য ছিল সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে মিটমাট করে দেয়া হয়েছে। এতে বর্তমানে পদ্মা ব্যাংকে ৪৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কীভাবে এ আমানতের অর্থ পরিশোধ করা হবে সে বিষয়ে এরই মধ্যে পদ্মা ব্যাংক একটি রোডম্যাপ দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। তবে রোডম্যাপটি পূর্ণাঙ্গ নয়। তাই পরবর্তী সভায় পদ্মা ব্যাংককে বিস্তারিত পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ দিতে বলা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পদ্মা ব্যাংকের বর্তমানে যে অবস্থা তাতে সরকারের পক্ষ থেকে মূলধন সহায়তা দেয়া না হলে ব্যাংকটির পক্ষে আমানতের অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব হবে না। তাছাড়া শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এখানে সাধারণ মানুষেরও আমানতের অর্থ আটকে রয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের অর্থ আদায় করা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে জনগণের অর্থও গচ্ছা যাবে। আবার সরকার যদি ব্যাংকটিকে মূলধন সহায়তা দেয় তাহলে সেটিও জনগণের অর্থ থেকেই দিতে হবে। তাই ব্যাংকটির কাছে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ চাওয়া হয়েছে। রোডম্যাপ পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।