নতুন করে চার ধরনের পাটপণ্য নিষিদ্ধ
ভারত আবারও বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আমদানি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চার ধরনের পাটপণ্য এখন থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। শুধুমাত্র মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব পণ্য আনা যাবে। সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
যেসব পণ্যের ওপর বিধি-নিষেধ
নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় পড়েছে—
- পাট ও পাটজাতীয় কাপড়
- পাটের দড়ি বা রশি
- পাটজাতীয় উপাদানে তৈরি দড়ি বা রশি
- পাটের বস্তা বা ব্যাগ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

রপ্তানিতে বড় ধাক্কা
বাংলাদেশ থেকে এই চার ধরনের পাটপণ্যের প্রায় ৯৯ শতাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে স্থলবন্দর দিয়ে। সমুদ্রপথে রপ্তানির হার মাত্র ১ শতাংশের কাছাকাছি। ফলে এই বিধি-নিষেধ কার্যত প্রধান রপ্তানি পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
আগের বিধি-নিষেধের ধারাবাহিকতা
এর আগে ২৭ জুন ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা এবং বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। নতুন সিদ্ধান্তে আরও চারটি পণ্য সেই তালিকায় যুক্ত হলো।
একের পর এক অশুল্ক বাধা
গত কয়েক মাসে ভারত একাধিকবার অশুল্ক বাধা তৈরি করেছে বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে।
- ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় ইত্যাদি আমদানি বন্ধ করে।
- ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়।
ফলে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য ভারতীয় বাজারে প্রবেশ ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















