০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ভেনেজুয়েলার তেলের বিপুল ভান্ডার থাকলেও বাস্তব উৎপাদন থেকে যাবে কাগজে-কলমেই রঙে রঙে নির্বাসন ও স্বীকৃতি: কাতারে এম এফ হুসেইনের নিজের জাদুঘর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত ধরে বাইবেলের বৈশ্বিক যাত্রা, লক্ষ্য দুই হাজার তেত্রিশ ক্যানসারের পথ ধরেই আলঝেইমারের নতুন চিকিৎসা দিগন্ত নাইরোবির শহরের পাশে বুনো আফ্রিকা: এক দিনে সাফারির অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা যশোরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত ঝালকাঠিতে হাদির গ্রামের বাড়িতে লুটপাট ‘হাদির ওপর হামলাকারী শিবিরের লোক’—রিজভীর বক্তব্য ভিত্তিহীন: ডিএমপি কমিশনার ইসরায়েলমুখী বিশাল ইভানজেলিকাল মিশন: ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা হাদির ওপর হামলা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ: মির্জা আব্বাস

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মাছ আমদানি কমে গেছে, মাছের দাম বাড়তে পারে

গত দুই সপ্তাহে ভারতের সাথে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মাছ আমদানির পরিমাণ হঠাৎ করেই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। আমদানিকারকদের মতেসীমান্তে প্রশাসনিক জটিলতাপরিবহন বিলম্ব এবং শুল্ক প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে দেশীয় বাজারে আমদানিনির্ভর মাছের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

মাছ আমদানির সংকটের কারণ

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রধানত রুইকাতলাইলিশতেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি কাগজপত্র যাচাইয়ের দীর্ঘসূত্রতাঅতিরিক্ত ফি আদায় এবং পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে আটকে থাকার কারণে এই সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দর এলাকায় ঠান্ডা সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত নষ্ট হওয়া মাছের ক্ষতি হচ্ছেযা ব্যবসায়ীদের আর্থিক ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

দেশীয় বাজারে সরবরাহের প্রভাব

বাংলাদেশের দেশীয় উৎপাদন মাছের চাহিদার বড় অংশ মেটালেওকিছু প্রজাতি যেমন ভারতীয় রুইকাতলা এবং কিছু সামুদ্রিক মাছ আমদানির উপর নির্ভরশীল। সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে ইতিমধ্যেই এসব মাছের দাম ১০২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। খুচরা বাজারে এই বৃদ্ধির হার আরও বেশি হতে পারেকারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যের চাপ সরাসরি ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।

রান্নাঘরের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা

যদি এই আমদানি সংকট অব্যাহত থাকেতাহলে শহর ও শহরতলির বাজারে জনপ্রিয় মাছের দাম দ্রুত বাড়বে। উদাহরণস্বরূপযে রুই মাছ সম্প্রতি প্রতি কেজি ৩০০৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলতা ৩৫০৩৮০ টাকায় পৌঁছাতে পারে। কাতলার দামও ৫০৭০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

যদি সীমান্তের এই জটিলতা দীর্ঘ সময় ধরে চলেতাহলে মাছের বাজারের সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়তে পারে এবং মৌসুমী চাহিদার সময় দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। এতে আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়বেনভোক্তারা ভোগান্তিতে পড়বেন এবং বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে। স্থানীয় উৎপাদকরা হয়তো এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেনযা সামগ্রিকভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের এই আমদানি সংকট কেবল ব্যবসায়ীদের নয়সরাসরি ভোক্তাদের রান্নাঘরের ব্যয়েও প্রভাব ফেলবে। তাই দ্রুত প্রশাসনিক জটিলতার সমাধানবন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং ঠান্ডা সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি অপরিহার্যযাতে বাজারে মাছের দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেনেজুয়েলার তেলের বিপুল ভান্ডার থাকলেও বাস্তব উৎপাদন থেকে যাবে কাগজে-কলমেই

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মাছ আমদানি কমে গেছে, মাছের দাম বাড়তে পারে

০৫:২১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

গত দুই সপ্তাহে ভারতের সাথে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মাছ আমদানির পরিমাণ হঠাৎ করেই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। আমদানিকারকদের মতেসীমান্তে প্রশাসনিক জটিলতাপরিবহন বিলম্ব এবং শুল্ক প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে দেশীয় বাজারে আমদানিনির্ভর মাছের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

মাছ আমদানির সংকটের কারণ

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রধানত রুইকাতলাইলিশতেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি কাগজপত্র যাচাইয়ের দীর্ঘসূত্রতাঅতিরিক্ত ফি আদায় এবং পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে আটকে থাকার কারণে এই সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দর এলাকায় ঠান্ডা সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দ্রুত নষ্ট হওয়া মাছের ক্ষতি হচ্ছেযা ব্যবসায়ীদের আর্থিক ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

দেশীয় বাজারে সরবরাহের প্রভাব

বাংলাদেশের দেশীয় উৎপাদন মাছের চাহিদার বড় অংশ মেটালেওকিছু প্রজাতি যেমন ভারতীয় রুইকাতলা এবং কিছু সামুদ্রিক মাছ আমদানির উপর নির্ভরশীল। সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে ইতিমধ্যেই এসব মাছের দাম ১০২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। খুচরা বাজারে এই বৃদ্ধির হার আরও বেশি হতে পারেকারণ খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যের চাপ সরাসরি ভোক্তার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।

রান্নাঘরের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা

যদি এই আমদানি সংকট অব্যাহত থাকেতাহলে শহর ও শহরতলির বাজারে জনপ্রিয় মাছের দাম দ্রুত বাড়বে। উদাহরণস্বরূপযে রুই মাছ সম্প্রতি প্রতি কেজি ৩০০৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলতা ৩৫০৩৮০ টাকায় পৌঁছাতে পারে। কাতলার দামও ৫০৭০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

যদি সীমান্তের এই জটিলতা দীর্ঘ সময় ধরে চলেতাহলে মাছের বাজারের সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়তে পারে এবং মৌসুমী চাহিদার সময় দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। এতে আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়বেনভোক্তারা ভোগান্তিতে পড়বেন এবং বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে। স্থানীয় উৎপাদকরা হয়তো এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেনযা সামগ্রিকভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের এই আমদানি সংকট কেবল ব্যবসায়ীদের নয়সরাসরি ভোক্তাদের রান্নাঘরের ব্যয়েও প্রভাব ফেলবে। তাই দ্রুত প্রশাসনিক জটিলতার সমাধানবন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং ঠান্ডা সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি অপরিহার্যযাতে বাজারে মাছের দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।