১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কেন গ্রামীণ স্কুল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ঢাকার শিক্ষার্থীদের তুলনায় ইংরেজি ও গণিতে দুর্বল

শিক্ষা অবকাঠামোর পার্থক্য

গ্রামের স্কুলগুলোর অবকাঠামো ঢাকার স্কুলের মতো শক্তিশালী নয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, মানসম্মত পাঠ্যবই, কম্পিউটার কিংবা ল্যাবরেটরি সুবিধা থাকে না। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক ও আধুনিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করার সুযোগ কম পায়।

শিক্ষকের দক্ষতার ঘাটতি

শহরের স্কুলগুলোতে সাধারণত প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পাওয়া যায়। অন্যদিকে গ্রামীণ বিদ্যালয়ে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক সংকট স্পষ্ট। অনেক সময় একজন শিক্ষককে একাধিক বিষয় পড়াতে হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হয়।

Roar বাংলা - শ্যাডো এডুকেশন আর আজকের কোচিং দুনিয়া: আদর্শ বনাম বাস্তবতা

পরিবার ও সামাজিক প্রেক্ষাপট

ঢাকার শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই কোচিং, টিউশন ও সহায়ক পড়াশোনার সুযোগ বেশি পায়। গ্রামে সাধারণত পরিবারগুলো অর্থনৈতিক কারণে এ সুযোগ দিতে পারে না। এছাড়া ইংরেজি শেখার পরিবেশও শহরে তুলনামূলকভাবে সমৃদ্ধ; গণমাধ্যম, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে শিশুরা ইংরেজির সঙ্গে পরিচিত হয়।

প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রবাহের সীমাবদ্ধতা

শহরে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, স্মার্টফোন ইত্যাদির সহজলভ্যতা থাকলেও গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা অনেক কম পায়। ফলে ইংরেজি শব্দভাণ্ডার চর্চা, অনলাইন গণিত শিক্ষা বা ভিডিও লেকচার পাওয়ার সুযোগ তাদের সীমিত থাকে।

Education | If you want to know the subject, then you should study mathematics - Anandabazar

প্রতিযোগিতা ও অনুপ্রেরণা

ঢাকার শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়। ভর্তি পরীক্ষা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, টেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে তারা নিজেদের দক্ষতা বাড়ায়। গ্রামে এ ধরনের প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম হয়, ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় চাপ বা অনুপ্রেরণা ততটা অনুভব করে না।

সার্বিকভাবে দেখা যায়, গ্রামীণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্বল হয় মূলত শিক্ষা অবকাঠামো, শিক্ষক সংকট, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও প্রযুক্তিগত সুযোগের অভাবে। এ সমস্যা দূর করতে হলে গ্রামে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, পরিবার ও বিদ্যালয়ের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া জরুরি।

কেন গ্রামীণ স্কুল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ঢাকার শিক্ষার্থীদের তুলনায় ইংরেজি ও গণিতে দুর্বল

০৬:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

শিক্ষা অবকাঠামোর পার্থক্য

গ্রামের স্কুলগুলোর অবকাঠামো ঢাকার স্কুলের মতো শক্তিশালী নয়। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, মানসম্মত পাঠ্যবই, কম্পিউটার কিংবা ল্যাবরেটরি সুবিধা থাকে না। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক ও আধুনিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করার সুযোগ কম পায়।

শিক্ষকের দক্ষতার ঘাটতি

শহরের স্কুলগুলোতে সাধারণত প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পাওয়া যায়। অন্যদিকে গ্রামীণ বিদ্যালয়ে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক সংকট স্পষ্ট। অনেক সময় একজন শিক্ষককে একাধিক বিষয় পড়াতে হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হয়।

Roar বাংলা - শ্যাডো এডুকেশন আর আজকের কোচিং দুনিয়া: আদর্শ বনাম বাস্তবতা

পরিবার ও সামাজিক প্রেক্ষাপট

ঢাকার শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই কোচিং, টিউশন ও সহায়ক পড়াশোনার সুযোগ বেশি পায়। গ্রামে সাধারণত পরিবারগুলো অর্থনৈতিক কারণে এ সুযোগ দিতে পারে না। এছাড়া ইংরেজি শেখার পরিবেশও শহরে তুলনামূলকভাবে সমৃদ্ধ; গণমাধ্যম, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে শিশুরা ইংরেজির সঙ্গে পরিচিত হয়।

প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রবাহের সীমাবদ্ধতা

শহরে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, স্মার্টফোন ইত্যাদির সহজলভ্যতা থাকলেও গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা অনেক কম পায়। ফলে ইংরেজি শব্দভাণ্ডার চর্চা, অনলাইন গণিত শিক্ষা বা ভিডিও লেকচার পাওয়ার সুযোগ তাদের সীমিত থাকে।

Education | If you want to know the subject, then you should study mathematics - Anandabazar

প্রতিযোগিতা ও অনুপ্রেরণা

ঢাকার শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়। ভর্তি পরীক্ষা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, টেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে তারা নিজেদের দক্ষতা বাড়ায়। গ্রামে এ ধরনের প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম হয়, ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় চাপ বা অনুপ্রেরণা ততটা অনুভব করে না।

সার্বিকভাবে দেখা যায়, গ্রামীণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুর্বল হয় মূলত শিক্ষা অবকাঠামো, শিক্ষক সংকট, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও প্রযুক্তিগত সুযোগের অভাবে। এ সমস্যা দূর করতে হলে গ্রামে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, পরিবার ও বিদ্যালয়ের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া জরুরি।