টানা দ্বিতীয় দিনে বাজারে পতন
দেশের দুই শেয়ারবাজার—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতনের মুখে পড়েছে। লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় কমে গেছে।
ডিএসই সূচকে উল্লেখযোগ্য পতন
ডিএসই-তে মূল সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৪১ পয়েন্ট কমে গেছে।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস (DSES) সূচক ১০ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস৩০ (DS30) সূচক ১৪ পয়েন্ট হারিয়েছে।
বাজারে লেনদেনকৃত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে। মোট ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে—
- ২৭৭ কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়েছে,
- ৫৬টির কমেছে,
- আর ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
সব ক্যাটাগরির শেয়ারেই নিম্নমুখী প্রবণতা
এ, বি এবং জেড—সব ক্যাটাগরির শেয়ারেই দরপতন দেখা গেছে।
বিশেষ করে এ-ক্যাটাগরির কোম্পানি, যেগুলো সাধারণত উচ্চ লভ্যাংশ প্রদান করে, তাদের মধ্যেও বড় পতন দেখা যায়।
এই ক্যাটাগরিতে—
- ১৬৭ কোম্পানির শেয়ারমূল্য কমেছে,
- ২৫টির বেড়েছে,
- ২৬টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে ১৪ কোটি টাকায়
ব্লক মার্কেটে ২২টি কোম্পানির মোট ১৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
এর মধ্যে খান ব্রাদার্স পিপি উভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সর্বোচ্চ লেনদেন করেছে, প্রায় ৮ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে শীর্ষে অবস্থান করেছে।
ডিএসই-তে টার্নওভার কমেছে
মঙ্গলবার ডিএসই-তে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি টাকার, যা আগের দিনের ৫১৮ কোটি টাকার তুলনায় কম।
সবচেয়ে বেশি দামে বেড়েছে মনো সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, যার শেয়ারমূল্য ৯ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়।
সিএসই-তেও একই ধারা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই রকম নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যায়।
সিএসপি আই (CASPI) সূচক ৯১ পয়েন্ট কমে যায়।
মোট ১৯১টি কোম্পানির মধ্যে—
- ১১৪টির শেয়ারমূল্য কমেছে,
- ৫০টির বেড়েছে,
- আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
সিএসই-তে লেনদেনও কমেছে
সিএসই-তে লেনদেনের পরিমাণও কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের ২৪ কোটি টাকা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
বাজারে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে,
আর শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ৯ শতাংশের বেশি দরপতনে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি হয়েছে।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই বিনিয়োগকারীদের আস্থা কিছুটা কমে গেছে। টানা দরপতন ও কম লেনদেন বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্ত এখন মূলত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ মুনাফার প্রত্যাশার ওপর নির্ভর করছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















