বুলু ও চড়ুই
‘বুলুমণি, বুলুপা, আপামণি-
বোঝা যায় উঠে আসছে। বুলু বিব্রত বোধ করে। হুড়মুড় করে ঘরে ঢোকে আনু, ‘দেখে যাও, দেখে যাও!’
শেষে টানা হ্যাঁচড়া শুরু করে।
অগত্যা উঠতে হয় বুলুকে।
‘এই দ্যাখো মেঝের ওপর পড়ে থাকা খড়কুটো আর চড়ুইপাখির একটি শাবকের দিকে সে আঙুল দেখায়।
বুলুর মাথায় কিছু ঢোকে না, কি এমন একটা ব্যাপার যার জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হবে।
‘বাসা থেকে বাচ্চাটি পড়ে গিয়েছিলো, কি জানি কি করে। যতোবার তুলে দিই ততোবারই ওরা ঠুকরে ঠুকরে ওকে নিচে ফেলে দিচ্ছে, অবাক কাণ্ড না?’
বুলু বললে, ‘ওরা তো তোদের মতো মানুষ নয়।’
‘তার মানে? তোর কথার কোনো মাথামুণ্ডু বুঝিনা-‘
‘মানুষ বড় ভালো,’ বুলু বললে, তার চোখ তখন ভেজা ভেজা। বললে,
‘মানুষ বড় সুন্দর!’
‘বোঝো এখন!’ আনু ভড়কে গিয়ে বললে, ‘তুইনা-নাহ্, তুই একটা কুট-কচালে টাইপের ছেমড়ি! স্রেফ জিলিপির প্যাঁচ মারা তোর বদহ্যাবিট; মাঝে মাঝে এমন সব কথা বলিস যার কোনো মাথামুণ্ডু নেই, দুৎ!
মাহমুদুল হক 



















