দেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না—এ প্রশ্নটি এখন কার্যত অনিশ্চয়তার ঘেরায় পড়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য, বিদেশিভাৰতের মঞ্চে নাহিদ ইসলামের সংশয় এবং বিভিন্ন ইসলামি দলের পিআর বাস্তবায়নের দাবিসহ বহুমুখী রাজনৈতিক গতিবেগ মিলিয়ে এই ভোটের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন যে, পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন সংস্কার না করে তড়িঘড়ি নির্বাচন আয়োজন করা বৈধতা ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে নির্বাচন প্রক্রিয়া, নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও আস্থার পুনর্নির্মাণ জরুরি।
মালয়েশিয়ায় দেওয়া বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন। এই ধরনের পর্যালোচনা রাজনৈতিক পরিবেশে সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা আরও বাড়াচ্ছে।

কয়েকটি ইসলামি দল পরিষ্কার জানিয়েছেন—যদি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা না থাকে, তারা নির্বাচন নয়। তাদের দাবির সঙ্গে সম্পর্কিত চাপ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ও কমিশনের ওপর নতুন রাজনৈতিক মাত্রা যোগ করেছেঃ পিআর ছাড়া নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হবে না বলে তারা মনে করেন।
ইউনুসের সতর্কতা, বিরোধী নেতাদের সংশয় ও ধর্মীয় দলগুলোর পিআর দাবি—এসব মিলিয়ে জনগণের ভোটপ্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা কমছে। यदि রাজনৈতিক প্লেয়ারদের মধ্যে সম্মতি না তৈরি হয়, তবে ভোট পিছিয়ে যাওয়া বা পুনর্বিবেচনার সম্ভাবনা থাকে; অন্যদিকে দ্রুত নির্বাচন করলে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টির আশঙ্কা রয়ে যায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















