হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন যদি যথেষ্ট পরিমাণে চুম্বক সরবরাহ না করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে। সোমবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “তাদের আমাদের চুম্বক দিতে হবে। যদি না দেয়, তাহলে আমাদের ২০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে বা এরকম কিছু করতে হবে।” তবে তিনি আরও যোগ করেন যে সরবরাহ নিয়ে বড় কোনো সমস্যা হবে বলে তিনি মনে করছেন না।
বিরল খনিজ ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা
বিরল খনিজ উপকরণ, বিশেষ করে ইলেকট্রিক গাড়ি ও উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য অপরিহার্য চুম্বক, এ বছর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিং রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে, যা দুই দেশের মধ্যে শুল্কবিরতি বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।
২০২৫ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিরল খনিজ চুম্বক রপ্তানি ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
চুম্বক একচেটিয়ায় চীনের প্রভাব
ট্রাম্প বলেন, চীন “বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে” চুম্বকের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ গড়ে তুলেছে। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে যুক্তরাষ্ট্র এক বছরের মধ্যে যথেষ্ট সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে। এমনকি তার মতে, “আমাদের কাছে এত চুম্বক থাকবে যে আমরা বুঝতে পারব না, এগুলো নিয়ে কী করব।”
তিনি স্বীকার করেন, চীনের চুম্বক সরবরাহ নিয়ে কিছুটা প্রভাব আছে, কিন্তু একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেন যে ওয়াশিংটনের কাছে আরও শক্তিশালী অস্ত্র আছে—শুল্ক।
ট্রাম্প বলেন, “যদি আমরা ১০০ বা ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে চাই, তাহলে চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যই হবে না। আর এটাও গ্রহণযোগ্য হবে।”

চীনের নরম প্রতিক্রিয়া
বেইজিংয়ে দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গু জিয়াকুন নতুন হুমকির বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে যান। তিনি শুধু বলেন, চীন বারবার শুল্ক বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
সম্পর্ক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ
যদিও ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তিনি আবারও উল্লেখ করেছেন যে চীনের সঙ্গে সামগ্রিক সম্পর্ক ইতিবাচক। তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি সম্ভাব্য চীন সফরের ইঙ্গিত দেন, যা এ বছর বা আগামী সময়ে হতে পারে।
এ বিষয়ে গু জিয়াকুন মন্তব্য করেন, “শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য অপরিবর্তনীয় দিকনির্দেশক ভূমিকা পালন করে।” তিনি আরও জানান, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও বিনিময় বজায় রেখেছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















