সমকালের একটি শিরোনাম “সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে শেষ দিনের শুনানি চলছে”
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চতুর্থ ও শেষ দিনের শুনানি চলছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন মিলনায়তনে এই শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঞ্চালনায় শুনানিতে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত রয়েছেন।
শেষ দিনে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর অঞ্চলের দাবি আপত্তির শুনানি হচ্ছে। সকালে পঞ্চগড়-১,২; রংপুর-১; কুড়িগ্রাম-৪; সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬ এবং পাবনা-১ আসনের শুনানি শুরু হয়েছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২; কিশোরগঞ্জ-১: সিলেট-১; ফরিদপুর-১ ও ৪, মাদারীপুর-২ ও ৩ এবং শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
শুনানি শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
এই চারদিনে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানি গ্রহণের পর পর্যালোচনা করে ৩০০ আসনের গেজেট প্রকাশ করা হবে।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “ডাকসু নির্বাচন: মুক্ত পরিবেশে ভোটের লড়াই শুরু”
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ডাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এখন উৎসবের আমেজ।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার কার্যক্রম। নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনেই পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে ঢাবি ক্যাম্পাস। হল থেকে একাডেমিক ভবন, টিএসসি থেকে লাইব্রেরি—লিফলেট হাতে সবখানেই চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। থেমে থেমে কানে ভেসে আসছে স্লোগানের আওয়াজ, নির্বাচনী স্লোগান।
প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থকেরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন, আবার শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন প্রশ্নে তাঁদের ঘিরে ধরছেন। কেউ বলছেন শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা। আবার কেউ দিচ্ছেন আবাসনের সংকট নিরসন ও গণপরিবহনের সুবিধা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু, এজিএস প্রার্থী মো. জাবির আহমেদ জুবেলসহ অন্য প্রার্থীরা। শহীদ মিনার থেকে তাঁরা কার্জন হল এলাকায় জনসংযোগ করেন।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কিনশাসা গেলেন ১৮০ পুলিশ”
বাংলাদেশ পুলিশের একটি ফর্মড পুলিশ ইউনিট ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদানের উদ্দেশে গতকাল বেলা পৌনে ১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ৭০ নারী পুলিশ সদস্যসহ ১৮০ সদস্যের কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সুপার জান্নাত আফরোজ।
বিমানবন্দরে অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. রেজাউল করিম ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ইউএন অপারেশন্স উইংয়ের কর্মকর্তারা মিশনগামী শান্তিরক্ষীদের বিদায় জানান।
বাংলাদেশ পুলিশের ফর্মড পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) ২০০৫ সাল ও নারী কন্টিনজেন্ট ২০১১ সাল থেকে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পদযাত্রা সূচিত হয় ১৯৮৯ সালে, নামিবিয়া মিশনে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ২১৫ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে এফপিইউ মিশনে ১৭৮ জন এবং ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) ৩৭ জন। বাংলাদেশ পুলিশের ৭৫ নারী পুলিশ সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে এফপিইউ মিশনে ৬৮ ও ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) পদে সাতজন।
মানবজমিনের একটি শিরোন “নিবিড় নজরদারি: পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের পালাবদল, ভারতের জন্য উদ্বেগের”
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর ইসলামাবাদ-ঢাকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নাটকীয় পরিবর্তনের সর্বশেষ পদক্ষেপ। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের স্রোত উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে গেছে। ভারতের প্রভাবশালী দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত ‘ওয়াচ ক্লোজলি: এডিটরিয়াল অন দ্য শিফট ইন বাইল্যাটারেল রিলেশন্স বিটুইন পাকিস্তান অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ইসহাক দার ঢাকায় তার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে ভারতের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো- মি. দারের বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি এবং ছাত্রনেতাদের একটি সংগঠনও ছিল, যারা শেখ হাসিনাকে হটানোর আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল। বাংলাদেশে ২০২৬ সালের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক ‘অ্যাক্টরদের’ সঙ্গে প্রকাশ্যে যোগাযোগ ভারতীয় কূটনীতির জন্য যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি বাংলাদেশের জন্যও তা ভাবনার বিষয়। শেখ হাসিনার বিরোধীরা বহু বছর ধরে তাকে ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখেন। তার বিরুদ্ধে ১৫ বছরের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দমননীতির অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি তার ভারতঘেঁষা নীতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ তৈরি হয়, যা একসময় প্রবল ভারতবিরোধী মনোভাবে রূপ নেয়।
এখন প্রশ্ন হলো, নির্বাচনের আগে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকার রাজনৈতিক মহলের সখ্য ভোটপ্রক্রিয়াকে কীভাবে প্রভাবিত করবে? এতে আরও বলা হয়, বিশেষত জামায়াতে ইসলামী এখনও পর্যন্ত ১৯৭১ সালের গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেয়নি। বাংলাদেশের জনগণের বড় অংশই স্বাধীনতার পর জন্মালেও জাতিকে সেই রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার প্রয়াসের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার আড়ালে যেন মুক্তিযুদ্ধের বেদনাদায়ক অধ্যায়কে ধুয়েমুছে ফেলার চেষ্টা না হয়।
অন্যদিকে, ভারতকেও নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। ঢাকায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে দিল্লির অবিশ্বাসের ইতিহাস থাকলেও বাস্তববাদী রাজনীতি ভারতকে নতুন কৌশল নিতে বাধ্য করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বারবার বাস্তববাদী ভূরাজনীতির ওপর জোর দিয়েছেন- এই মুহূর্তে বাংলাদেশ নিয়ে সেই বাস্তববাদই ভারতের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। কারণ, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভারতের জন্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি তৈরি করছে, আর তা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















