০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
খাবার ফুরিয়ে আসছে, নেই ইন্টারনেট; ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ১৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ইয়াশ রোহান: নীরবতার ভেতরে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্মের তারকা তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি, চিকিৎসা সঠিকভাবে চলছে: ডা. জাহিদ মনউন্মোচনকারী উপন্যাস ‘লাইটব্রেকার্স’ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তালেবান ইস্যুতে বাড়ছে আফগান-পাকিস্তান উত্তেজনা জলব্যায়ামে প্রেম, আর শেষ পর্যন্ত পুলেই বিয়ে টেক্সাসে মুসলিম অধিকার সংস্থা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণার জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া খরা কি উন্নত সিন্ধু সভ্যতার অবসান ঘটিয়েছিল? ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: শীতের কাঁপুনিতে শুরু হলো ডিসেম্বর

হলিউডে এআইয়ের সবচেয়ে বড় সূচনা? লাস ভেগাস স্ফিয়ারে ‘উইজার্ড অব অজ’

লাস ভেগাসে নতুন অভিজ্ঞতা
লাস ভেগাস স্ফিয়ারে আগামী ২৮ আগস্ট শুরু হতে যাচ্ছে ‘উইজার্ড অব অজ অ্যাট স্ফিয়ার’। ১৯৩৯ সালের ক্লাসিক এই সিনেমাকে এবার দেখা যাবে সম্পূর্ণ নতুন রূপে। প্রায় ১৮ হাজার দর্শক বসবেন এমন এক পরিবেশে যেখানে মনে হবে তাঁরা ডরোথির খামারবাড়িসহ টর্নেডোর ভেতরে ঢুকে গেছেন। ১ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুটের এলইডি দেয়ালে ভিজ্যুয়াল ছড়িয়ে পড়বে, যা তিনটি ফুটবল মাঠের সমান এবং ২২ তলা উঁচু। সঙ্গে থাকবে ৭৫০ হর্সপাওয়ারের বিশাল ফ্যান, যা ঝড়ের হাওয়া ও ধ্বংসাবশেষের বাস্তব অনুভূতি তৈরি করবে।

ব্যয়বহুল হলেও ভিন্ন অভিজ্ঞতা
প্রতি টিকিটের দাম ১০৪ ডলার বা তার বেশি। তবে এই প্রকল্প শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, বরং হলিউডে এআই প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতীক। স্টুডিও ও প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে এটিই অন্যতম বড় অংশীদারিত্ব যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পুরোনো সিনেমাকে নতুন করে জীবিত করা হয়েছে।

এআই-মানব সহযোগিতার মাইলফলক
প্রকল্পে জড়িত নয়জন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকের মতে এটি হলিউডে এআই ব্যবহারের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। সিএএ–এর কর্মকর্তা থাও নুগুয়েন বলেছেন, “এটি এআই ও মানব সৃজনশীলতার সহযোগিতায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আমরা কিভাবে পুনর্নির্মাণ করব তার উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি।”

দুই বছরের প্রস্তুতি ও বিশাল টিমওয়ার্ক
ডরোথি ও উইকেড উইচকে স্ফিয়ারের বিশাল পর্দায় জীবন্ত করতে দুই বছর লেগেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি, গুগলের ডিপমাইন্ড গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট শিল্পীসহ মোট দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। যদিও এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার কারণে শুরুতে কিছু ভিএফএক্স কোম্পানি কাজ করতে অস্বীকার করে।

মূল নির্দেশনা ও কপিরাইট সুরক্ষা
ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি সিইও ডেভিড জাসলাভের অনুমতি ও আইনজীবীদের নির্ধারিত নীতিমালার মধ্যেই এগোয় কাজ। আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত সেট ডিজাইন, শুটিং নোট, প্রচারমূলক ছবি এবং প্রায় ৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ কাজে লাগানো হয়। এর ফলে সিনেমাটির ভিজ্যুয়াল মান আগের তুলনায় দশগুণ উন্নত হয়।

এআইয়ের সৃজনশীল ব্যবহার
ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট সুপারভাইজার বেন গ্রসম্যান বলেন, “আমাদের আবারও সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং সব কিছুকে নতুনভাবে কল্পনা করতে হয়েছে, তবে অভিজ্ঞতাটা যেন অপরিবর্তিত থাকে।” এআই ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র সিনেমার আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে, চাকরি কমানোর জন্য নয়।

কেন বেছে নেওয়া হলো এই সিনেমা
স্ফিয়ার স্টুডিও প্রধান ক্যারোলিন ব্ল্যাকউড জানান, ‘উইজার্ড অব অজ’ বেছে নেওয়া হয় কারণ এটি সবার পরিচিত ও প্রিয় একটি গল্প, যা নতুন প্রজন্মকে এক ভিন্ন ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা সম্ভব। ১৯৩৯ সালে টেকনিকালারের মাধ্যমে সাদাকালো থেকে রঙিন পর্দায় প্রবেশ ছিল এক বড় মাইলফলক, তাই প্রতীকীভাবেও এই সিনেমা নির্বাচিত হয়।

এআই ব্যবহারের সীমা
ওয়ার্নার ব্রাদার্স গুগলকে অনুমতি দিয়েছে প্রতিটি প্রধান চরিত্রের অভিনয় পুনর্নির্মাণে এআই ব্যবহার করতে। তবে সব তথ্য ও ডেটা স্টুডিওর সম্পত্তি থাকবে এবং গুগলের পাবলিক এআই মডেলে ব্যবহার করা যাবে না। একে বলা হচ্ছে একটি ‘কোয়ারেন্টাইন জোন’, যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হলেও মূল সিনেমার মৌলিকতা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে।

প্রযুক্তিগত অর্জন
এআই ব্যবহার করে ১৯৩৯ সালের ক্ষুদ্র সেলুলয়েড ফ্রেমগুলোকে আল্ট্রা-এইচডি মানে উন্নীত করা হয়েছে। ডরোথির মুখে ফ্রিকলস কিংবা স্কেয়ারক্রোর মুখে বস্তার টেক্সচার—এমন সূক্ষ্ম বিষয়ও ফুটে উঠেছে। এছাড়া ফ্রেমের ফাঁকা অংশ পূরণ করা হয়েছে, যেমন টিন ম্যান কুঠার দিয়ে দরজা কাটার দৃশ্যকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া।

সংগীত ও শব্দপ্রযুক্তি
সংগীতশিল্পীরা মূল সাউন্ড স্টেজে বসে আবারও সিনেমার পুরো সঙ্গীত রেকর্ড করেছেন। স্ফিয়ারের ১ লাখ ৬৭ হাজার স্পিকারের মাধ্যমে দর্শকরা ভিন্ন মাত্রায় এই সাউন্ড উপভোগ করবেন। তবে জুডি গারল্যান্ডসহ অভিনেতাদের কণ্ঠস্বর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
যদিও এই প্রকল্পকে ঘিরে কিছু সমালোচনা উঠেছে। সমালোচক জোশুয়া রিভেরা একে বলেছেন “শিল্প ও প্রকৃতির প্রতি অবমাননা।” তবে প্রযোজক জেন রোজেনথাল বলেন, “সমালোচকরা আসলেই সিনেমাটি দেখেননি কিংবা বুঝতে পারছেন না আমরা কী করতে চাই।”

নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন ‘অজ’
একটি ব্যক্তিগত প্রদর্শনীতে দেখা গেছে কিছু পরিবর্তন সূক্ষ্ম, আবার কিছু নাটকীয়। যেমন আঙ্কেল হেনরিকে পর্দায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা মূল ছবিতে সীমিত ছিল। আবার এমেরাল্ড সিংহাসন কক্ষে উইজার্ডকে এবার দর্শকরা ২০০ ফুট উঁচু সবুজ মাথা হিসেবে দেখতে পাবেন, যা আগের ধোঁয়ার ওপর প্রজেক্ট করা ছবির চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী।

এইভাবে ‘উইজার্ড অব অজ’ শুধু পুরোনো একটি সিনেমা পুনঃপ্রকাশ নয়, বরং হলিউডে এআই–মানব সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

খাবার ফুরিয়ে আসছে, নেই ইন্টারনেট; ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ১৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

হলিউডে এআইয়ের সবচেয়ে বড় সূচনা? লাস ভেগাস স্ফিয়ারে ‘উইজার্ড অব অজ’

০১:১৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

লাস ভেগাসে নতুন অভিজ্ঞতা
লাস ভেগাস স্ফিয়ারে আগামী ২৮ আগস্ট শুরু হতে যাচ্ছে ‘উইজার্ড অব অজ অ্যাট স্ফিয়ার’। ১৯৩৯ সালের ক্লাসিক এই সিনেমাকে এবার দেখা যাবে সম্পূর্ণ নতুন রূপে। প্রায় ১৮ হাজার দর্শক বসবেন এমন এক পরিবেশে যেখানে মনে হবে তাঁরা ডরোথির খামারবাড়িসহ টর্নেডোর ভেতরে ঢুকে গেছেন। ১ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুটের এলইডি দেয়ালে ভিজ্যুয়াল ছড়িয়ে পড়বে, যা তিনটি ফুটবল মাঠের সমান এবং ২২ তলা উঁচু। সঙ্গে থাকবে ৭৫০ হর্সপাওয়ারের বিশাল ফ্যান, যা ঝড়ের হাওয়া ও ধ্বংসাবশেষের বাস্তব অনুভূতি তৈরি করবে।

ব্যয়বহুল হলেও ভিন্ন অভিজ্ঞতা
প্রতি টিকিটের দাম ১০৪ ডলার বা তার বেশি। তবে এই প্রকল্প শুধু দৃষ্টিনন্দনই নয়, বরং হলিউডে এআই প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতীক। স্টুডিও ও প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে এটিই অন্যতম বড় অংশীদারিত্ব যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে পুরোনো সিনেমাকে নতুন করে জীবিত করা হয়েছে।

এআই-মানব সহযোগিতার মাইলফলক
প্রকল্পে জড়িত নয়জন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকের মতে এটি হলিউডে এআই ব্যবহারের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। সিএএ–এর কর্মকর্তা থাও নুগুয়েন বলেছেন, “এটি এআই ও মানব সৃজনশীলতার সহযোগিতায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আমরা কিভাবে পুনর্নির্মাণ করব তার উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি।”

দুই বছরের প্রস্তুতি ও বিশাল টিমওয়ার্ক
ডরোথি ও উইকেড উইচকে স্ফিয়ারের বিশাল পর্দায় জীবন্ত করতে দুই বছর লেগেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি, গুগলের ডিপমাইন্ড গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট শিল্পীসহ মোট দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। যদিও এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার কারণে শুরুতে কিছু ভিএফএক্স কোম্পানি কাজ করতে অস্বীকার করে।

মূল নির্দেশনা ও কপিরাইট সুরক্ষা
ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি সিইও ডেভিড জাসলাভের অনুমতি ও আইনজীবীদের নির্ধারিত নীতিমালার মধ্যেই এগোয় কাজ। আর্কাইভ থেকে সংগৃহীত সেট ডিজাইন, শুটিং নোট, প্রচারমূলক ছবি এবং প্রায় ৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ কাজে লাগানো হয়। এর ফলে সিনেমাটির ভিজ্যুয়াল মান আগের তুলনায় দশগুণ উন্নত হয়।

এআইয়ের সৃজনশীল ব্যবহার
ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট সুপারভাইজার বেন গ্রসম্যান বলেন, “আমাদের আবারও সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং সব কিছুকে নতুনভাবে কল্পনা করতে হয়েছে, তবে অভিজ্ঞতাটা যেন অপরিবর্তিত থাকে।” এআই ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র সিনেমার আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে, চাকরি কমানোর জন্য নয়।

কেন বেছে নেওয়া হলো এই সিনেমা
স্ফিয়ার স্টুডিও প্রধান ক্যারোলিন ব্ল্যাকউড জানান, ‘উইজার্ড অব অজ’ বেছে নেওয়া হয় কারণ এটি সবার পরিচিত ও প্রিয় একটি গল্প, যা নতুন প্রজন্মকে এক ভিন্ন ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা সম্ভব। ১৯৩৯ সালে টেকনিকালারের মাধ্যমে সাদাকালো থেকে রঙিন পর্দায় প্রবেশ ছিল এক বড় মাইলফলক, তাই প্রতীকীভাবেও এই সিনেমা নির্বাচিত হয়।

এআই ব্যবহারের সীমা
ওয়ার্নার ব্রাদার্স গুগলকে অনুমতি দিয়েছে প্রতিটি প্রধান চরিত্রের অভিনয় পুনর্নির্মাণে এআই ব্যবহার করতে। তবে সব তথ্য ও ডেটা স্টুডিওর সম্পত্তি থাকবে এবং গুগলের পাবলিক এআই মডেলে ব্যবহার করা যাবে না। একে বলা হচ্ছে একটি ‘কোয়ারেন্টাইন জোন’, যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হলেও মূল সিনেমার মৌলিকতা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে।

প্রযুক্তিগত অর্জন
এআই ব্যবহার করে ১৯৩৯ সালের ক্ষুদ্র সেলুলয়েড ফ্রেমগুলোকে আল্ট্রা-এইচডি মানে উন্নীত করা হয়েছে। ডরোথির মুখে ফ্রিকলস কিংবা স্কেয়ারক্রোর মুখে বস্তার টেক্সচার—এমন সূক্ষ্ম বিষয়ও ফুটে উঠেছে। এছাড়া ফ্রেমের ফাঁকা অংশ পূরণ করা হয়েছে, যেমন টিন ম্যান কুঠার দিয়ে দরজা কাটার দৃশ্যকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া।

সংগীত ও শব্দপ্রযুক্তি
সংগীতশিল্পীরা মূল সাউন্ড স্টেজে বসে আবারও সিনেমার পুরো সঙ্গীত রেকর্ড করেছেন। স্ফিয়ারের ১ লাখ ৬৭ হাজার স্পিকারের মাধ্যমে দর্শকরা ভিন্ন মাত্রায় এই সাউন্ড উপভোগ করবেন। তবে জুডি গারল্যান্ডসহ অভিনেতাদের কণ্ঠস্বর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
যদিও এই প্রকল্পকে ঘিরে কিছু সমালোচনা উঠেছে। সমালোচক জোশুয়া রিভেরা একে বলেছেন “শিল্প ও প্রকৃতির প্রতি অবমাননা।” তবে প্রযোজক জেন রোজেনথাল বলেন, “সমালোচকরা আসলেই সিনেমাটি দেখেননি কিংবা বুঝতে পারছেন না আমরা কী করতে চাই।”

নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন ‘অজ’
একটি ব্যক্তিগত প্রদর্শনীতে দেখা গেছে কিছু পরিবর্তন সূক্ষ্ম, আবার কিছু নাটকীয়। যেমন আঙ্কেল হেনরিকে পর্দায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা মূল ছবিতে সীমিত ছিল। আবার এমেরাল্ড সিংহাসন কক্ষে উইজার্ডকে এবার দর্শকরা ২০০ ফুট উঁচু সবুজ মাথা হিসেবে দেখতে পাবেন, যা আগের ধোঁয়ার ওপর প্রজেক্ট করা ছবির চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী।

এইভাবে ‘উইজার্ড অব অজ’ শুধু পুরোনো একটি সিনেমা পুনঃপ্রকাশ নয়, বরং হলিউডে এআই–মানব সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।