১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড মার্থা ওয়াশিংটন থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের পোশাকে ইতিহাস, রাজনীতি ও শক্তির প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় কী জানা যাচ্ছে; দলগুলো কেন ক্যাডার রাখে? ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮২)

অধিকাংশ দুর্যোগ সম্পর্কে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি, যা পাওয়া গেছে ১৮৮৮ সালের প্রবল টর্নেডো ও ১৮৯৭সালের ভূমিকম্প নিয়ে।

জলরংয়ের সব মাধুর্য পাওয়া যাবে জেবেকের ছবিতে, ওয়াশের কারিকুরি নেই বটে কিন্তু জলরংয়ের আমেজাট বর্তমান। দৃঢ় রেখায় নমনীয় রংঙের তিনি প্রত্নসম্পদের সঙ্গে যুক্ত নষ্টালজিয়া ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। পিকচারেস্কের কিছু রেখা থাকলেও ইম্প্রেসেনিজমের প্রভাবটি বেশি।

বিন্যাসে নাটকীয়তা আনতে চেয়েছেন আগের প্রতিফলন দেখিয়ে। নিজামি আমাদের ফটকেটি ফ্ল্যাট হয়ে যেন যদি না কিছু ফিগারের স্থান থাকত। বিন্যাসে বৈচিত্র্য এনেছেন ফিগার প্রতিস্থাপনে। ইতিহাসের দিক থেকে এই জলরংটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফেবেকের অন্যান্য জলরংয়ের। বৈশিষ্ট্যগুলি এতে বিদ্যমান।

পূর্ববঙ্গ নিয়ে বেশি জলরং পাই মোলসওয়ার্থের যার প্রতিচিত্রগুলি শামীমের বইতে ছাপা হয়েছে। ১৪টি জলরং। এর মধ্যে ঢাকা ও তার আশেপাশের দৃশ্য নিয়ে আছে ১১টি জলরং।

এখানে উল্লিখিত বিভিন্ন শিল্পীর জলরংয়ের। ছবিগুলি ছাপা হয়েছে অখণ্ড সংস্করণে।

ঢাকার ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্প

ঢাকায় এ পর্যন্ত যত ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পটিই ছিল প্রবল। এত প্রবল ছিল যে তা নিয়ে কয়েক বছর আলোচনা চলছিল। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভারতেরও কয়েকটি অঞ্চলে তাও হয়েছিল যা ‘দি গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থ কোয়েক’ নামে পরিচিত।

ঢাকার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিল না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে হতো না তা নয়, তবে তার পৌনঃপুনিকতা ছিল কম। এর চেয়ে ঘনঘন হতো, প্রায় প্রতিবছরই, কলেরা আর বসন্তের মহামারি। শহর ছেড়ে তখন অনেকে পালিয়ে যেত গ্রামে। ঐসব প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহকে আমরা জানি কম কারণ তাসাধ অভাব। উনিশ শতকের শেষার্থে পত্র-পত্রিকার আবির্ভাবের কারণে কিছু তথ্য পাই। কারণ, তখ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল একটি ঘটনা ও পত্র-পত্রিকার বিষয়বস্তু। সরকারি রিপোর্ট এবং পাত্র-পত্রিকায় কিছু বিধরণও পাই। তবে, পূর্ববঙ্গ ঢাকা যেতে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকার হদিস এখন পাওয়া যায় না। তবে যা কিছু আছে তাই সেসব দুর্যোগ সম্পর্তে জানার আমাদের একমাত্র উপায়।

ঢাকায় আঠারো ও উনিশ শতকে টর্নেডো ও ভূমিকম্প হয়েছে। তবে, অধিকাংশ দুর্যোগ সম্পর্কে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি, যা পাওয়া গেছে ১৮৮৮ সালের প্রবল টর্নেডো ও ১৮৯৭সালের ভূমিকম্প নিয়ে। টর্নেডোর যেরকম ক্ষতি হয়েছিল ভূমিকম্পে তেমন নয়। সেজন্য ১৮৮৮ সালের টর্নেডো নিয়ে কিছু হলেও জানতে পারি, ভূমিকম্প সম্পর্কে সামান্য।

আঠারো ও উনিশ শতকে ঢাকায় ১৩টি ভূমিকম্পের খবর পাই। ভূমিকম্পের বছরগুলি হলো-১৭৩১ (১১৩৮), ১৭৬১ (১১৬৮), ১৭৭৪ (১১৮১), ১৮১১ (১২১৮), ১৮৪৬ (১২৪৩), ১৮৫০ (১২৫৭), ১৮৫২ (১২৫৯), ১৮৬৩ (১২৭০) ১৮৭৬ (১২৮৩), ১৮৮৩ (১২৯০), ১৮৯০ (১২৯৭) এবং ১৮৯৭ (১৩০৪)। এর মধ্যে গুরুতর ছিল ১৭৭৪ ও ১৮১১ সালের ভূমিকম্প।’

এখন যে ভূমিকম্পটির কথা বলছি সেটি হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ জুন, রোববার বিকেল ৫.১৫ মিনিটে এবং মাসখানেক এই কম্পনের রেশ ছিল। প্রথমে দেখা যাক এর অভিঘাত কেমন ছিল। সরকারি বিবরণ, ঐতিহাসিক ও ব্যক্তির বিবরণ ও স্থানীয় সংবাদপত্রের সংবাদসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখেছি তাতে তারতম্য আছে। নিচের কিছু বিবরণী পড়লে এই তারতম্যগুলো বোঝা যাবে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮১)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮১)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮২)

০৭:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

অধিকাংশ দুর্যোগ সম্পর্কে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি, যা পাওয়া গেছে ১৮৮৮ সালের প্রবল টর্নেডো ও ১৮৯৭সালের ভূমিকম্প নিয়ে।

জলরংয়ের সব মাধুর্য পাওয়া যাবে জেবেকের ছবিতে, ওয়াশের কারিকুরি নেই বটে কিন্তু জলরংয়ের আমেজাট বর্তমান। দৃঢ় রেখায় নমনীয় রংঙের তিনি প্রত্নসম্পদের সঙ্গে যুক্ত নষ্টালজিয়া ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। পিকচারেস্কের কিছু রেখা থাকলেও ইম্প্রেসেনিজমের প্রভাবটি বেশি।

বিন্যাসে নাটকীয়তা আনতে চেয়েছেন আগের প্রতিফলন দেখিয়ে। নিজামি আমাদের ফটকেটি ফ্ল্যাট হয়ে যেন যদি না কিছু ফিগারের স্থান থাকত। বিন্যাসে বৈচিত্র্য এনেছেন ফিগার প্রতিস্থাপনে। ইতিহাসের দিক থেকে এই জলরংটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফেবেকের অন্যান্য জলরংয়ের। বৈশিষ্ট্যগুলি এতে বিদ্যমান।

পূর্ববঙ্গ নিয়ে বেশি জলরং পাই মোলসওয়ার্থের যার প্রতিচিত্রগুলি শামীমের বইতে ছাপা হয়েছে। ১৪টি জলরং। এর মধ্যে ঢাকা ও তার আশেপাশের দৃশ্য নিয়ে আছে ১১টি জলরং।

এখানে উল্লিখিত বিভিন্ন শিল্পীর জলরংয়ের। ছবিগুলি ছাপা হয়েছে অখণ্ড সংস্করণে।

ঢাকার ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্প

ঢাকায় এ পর্যন্ত যত ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পটিই ছিল প্রবল। এত প্রবল ছিল যে তা নিয়ে কয়েক বছর আলোচনা চলছিল। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভারতেরও কয়েকটি অঞ্চলে তাও হয়েছিল যা ‘দি গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থ কোয়েক’ নামে পরিচিত।

ঢাকার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিল না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে হতো না তা নয়, তবে তার পৌনঃপুনিকতা ছিল কম। এর চেয়ে ঘনঘন হতো, প্রায় প্রতিবছরই, কলেরা আর বসন্তের মহামারি। শহর ছেড়ে তখন অনেকে পালিয়ে যেত গ্রামে। ঐসব প্রাকৃতিক দুর্যোগসমূহকে আমরা জানি কম কারণ তাসাধ অভাব। উনিশ শতকের শেষার্থে পত্র-পত্রিকার আবির্ভাবের কারণে কিছু তথ্য পাই। কারণ, তখ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল একটি ঘটনা ও পত্র-পত্রিকার বিষয়বস্তু। সরকারি রিপোর্ট এবং পাত্র-পত্রিকায় কিছু বিধরণও পাই। তবে, পূর্ববঙ্গ ঢাকা যেতে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকার হদিস এখন পাওয়া যায় না। তবে যা কিছু আছে তাই সেসব দুর্যোগ সম্পর্তে জানার আমাদের একমাত্র উপায়।

ঢাকায় আঠারো ও উনিশ শতকে টর্নেডো ও ভূমিকম্প হয়েছে। তবে, অধিকাংশ দুর্যোগ সম্পর্কে কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি, যা পাওয়া গেছে ১৮৮৮ সালের প্রবল টর্নেডো ও ১৮৯৭সালের ভূমিকম্প নিয়ে। টর্নেডোর যেরকম ক্ষতি হয়েছিল ভূমিকম্পে তেমন নয়। সেজন্য ১৮৮৮ সালের টর্নেডো নিয়ে কিছু হলেও জানতে পারি, ভূমিকম্প সম্পর্কে সামান্য।

আঠারো ও উনিশ শতকে ঢাকায় ১৩টি ভূমিকম্পের খবর পাই। ভূমিকম্পের বছরগুলি হলো-১৭৩১ (১১৩৮), ১৭৬১ (১১৬৮), ১৭৭৪ (১১৮১), ১৮১১ (১২১৮), ১৮৪৬ (১২৪৩), ১৮৫০ (১২৫৭), ১৮৫২ (১২৫৯), ১৮৬৩ (১২৭০) ১৮৭৬ (১২৮৩), ১৮৮৩ (১২৯০), ১৮৯০ (১২৯৭) এবং ১৮৯৭ (১৩০৪)। এর মধ্যে গুরুতর ছিল ১৭৭৪ ও ১৮১১ সালের ভূমিকম্প।’

এখন যে ভূমিকম্পটির কথা বলছি সেটি হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ জুন, রোববার বিকেল ৫.১৫ মিনিটে এবং মাসখানেক এই কম্পনের রেশ ছিল। প্রথমে দেখা যাক এর অভিঘাত কেমন ছিল। সরকারি বিবরণ, ঐতিহাসিক ও ব্যক্তির বিবরণ ও স্থানীয় সংবাদপত্রের সংবাদসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখেছি তাতে তারতম্য আছে। নিচের কিছু বিবরণী পড়লে এই তারতম্যগুলো বোঝা যাবে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮১)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮১)