১৮০৬ সালে ফাররুখসিয়ার যখন ঢাকার উপশাসনকর্তা তখন কাজী ইবাদুল্লাহর নির্দেশে জনৈক খান মহম্মদ মৃধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
ঢাকার অদূতে মঠটি বেশ সময় ধরে করেছেন। শ্যামপুরের পোলটিও। এ দুটি ড্রইংয়ে পিক চারেখ রীতি আভাস বিদ্যমান। ফ্রেডেরিক উইলিয়াম আলেকজান্ডার ডি ফেবেকের ঢাকার ওপর পাঁচটি জলরং পাওয়া গেছে। ১৮৮৩ সালে ঢাকায় এসে বুড়িগঙ্গা, বড়কাটরা, নিমতলি প্রাসাদ ও খান মো, মৃধার মসজিদের জলরং করেছিলেন। ঢাকার ওশয় যারা জলরং করেছেন তাদের মধ্যে ফেবেকই শ্রেষ্ঠ এ মন্তব্য অত্যুক্তি হবে না। ফেবেকের প্রথম দুটি জলরং নিয়ে আলোচনা আছে আমার পূর্বোক্ত গ্রন্থে। এখানে নিমতলি প্রাসাদের ফটক আর মসজিদ নিয়ে আলোচনা করব।
ঢাকার নায়েব নাজিমদের বাসভবন ছিল নিমতলি প্রাসাদ বা কুঠি। এমন কোন আহামরি প্রাসাদ ছিল নাতা। বলা যেতে পারে ১৮২৪ সালের আগে নির্মিত ইটের সাধারণ একটি ইমারত। জেসারত খাঁ ছিলেন এর প্রথম বাসিন্দা। নিমতলি কুঠিতে প্রথম ঢাকা বর্তমানে জাতীয় জাদুঘর স্থাপিত হয়। এর ফটক ও তার কিছু অংশ এখন এশিয়াটিক সোসাইটির কার্যালয়।
মুঘল আমলে নির্মিত সুন্দর ও বৈশিষ্ট্যময় একটি মসজিদ হচ্ছে আতশখানার খান মোহাম্মদ মৃধার মসজিদ। ১৮০৬ সালে ফাররুখসিয়ার যখন ঢাকার উপশাসনকর্তা তখন কাজী ইবাদুল্লাহর নির্দেশে জনৈক খান মহম্মদ মৃধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ইবাদুল্লাহ ছিলেন খুব সম্ভব ঢাকার কাজি।
এই তিন গম্বুজঅলা মসজিদটির একটি বিশেষত্ব আছে। প্রায় ১৭ ফুট উঁচু একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর এর ভিত্তি। মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৪৮ ফুট, প্রন্থে ২৪ ফুট। প্ল্যাটফর্মের নিচে টানা করিডোর। পাশে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ। এখানে আলোছায়ার খেলা মনোমুগ্ধকর।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















