০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৮) রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

আফগানিস্তানে ‘অর্থনৈতিক ঝড়’, ক্ষুধা, মৃত্যু আর অসুস্থতা নিত্যসঙ্গী

হঠাৎ ভেঙে পড়া জীবিকা

দক্ষিণ ইরানে প্রতিদিন ছয় ডলার আয় করতেন আফগান নির্মাণশ্রমিক গুলাম আলি হুসাইনি। সেই সামান্য আয়ে ভাড়া করা ছোট্ট ঘরে মা ও অসুস্থ ভাইকে নিয়ে নিশ্চিন্তে দিন কাটছিল। কিন্তু এখন চাকরি, বাসা এমনকি তিনবেলা খাবারের নিশ্চয়তাও নেই। গত জুলাইয়ে পরিবারসহ তাঁকে ইরান থেকে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি একটি আত্মীয়ের বাড়িতে অস্থায়ীভাবে থাকছেন।

দুই দিক থেকে বড় আঘাত

তালেবান শাসনের চার বছরে আফগানিস্তান এখন দুই দিক থেকে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে।
প্রথমত, ইরান ও পাকিস্তান লাখ লাখ আফগানকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠাচ্ছে। শত্রুভাবাপন্ন জনমত ও রাজনৈতিক চাপের কারণে এ নীতি নেওয়া হয়েছে। কাজহীন ও গৃহহীন হয়ে ফেরত আসা এ মানুষগুলো এমন এক দেশে ঠাঁই পাচ্ছে যেখানে ৪২ মিলিয়ন মানুষের অর্ধেকের বেশি আগে থেকেই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

দ্বিতীয়ত, বিদেশি সাহায্য হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড বন্ধ হওয়ার ফলে এ বছরের শুরু থেকে ৪০০-র বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ খাদ্য সহায়তা হারিয়েছে। তালেবান সরকারের অর্থাভাব এতটাই বেড়েছে যে হাজার হাজার কর্মচারী ও প্রতিরক্ষা সদস্যকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের বিশ্লেষক ইব্রাহিম বাহিস মন্তব্য করেছেন, “এই সংকটগুলো একে অপরকে বাড়িয়ে দিয়ে অর্থনীতিকে ভয়াবহ অবস্থায় ফেলছে।” জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এক কথায়, নিখুঁত অর্থনৈতিক ঝড়।”

পুনরুদ্ধারের মাঝেই বিপর্যয়

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর অর্থনীতি এক-চতুর্থাংশ সংকুচিত হয়েছিল। তবে গত বছর প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ২.৫ শতাংশে। কর ও খনিজ থেকে রাজস্ব বেড়েছিল, বিদেশি পর্যটক আসা শুরু হয়েছিল, নতুন সড়ক ও ভবন নির্মাণ হচ্ছিল।

সম্প্রতি তালেবান সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক একটি জ্বালানি কোম্পানির সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি করেছে। চীন চিলগোজা বাদাম, ডালিম ও খনিজ আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাশিয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় আরও অর্থনৈতিক সহায়তার আশায় ছিল কাবুল।

কিন্তু বিশ্বব্যাংক বলছে, এত অল্প প্রবৃদ্ধি মানুষের জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারেনি। ২০০১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেত আফগানিস্তান। এখন জিডিপি ২০১১ সালের তুলনায়ও কম।

দুর্দশার চিত্র

জাতিসংঘের হিসেবে ৭৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা বা আশ্রয়ের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ৩৫ লাখ শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে—এটি আফগান ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত শিশুর অপুষ্টির বৃদ্ধি।

বিদেশে নারীরা কাজে যুক্ত হতে পারলেও আফগানিস্তানে নারীর কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যত অর্ধেক শ্রমশক্তিকে অচল করে দিয়েছে।

১৯ বছরের এলাহা ইরানে এক সৌন্দর্য স্যালনে কাজ করতেন। কিন্তু ফেরত আসার পর থেকে তিনি ঘরে বসে আছেন। তাঁর ভাই ও বাবাও এখন বেকার। বিদেশে কাজ করে দেশে অর্থ পাঠাতেন অনেকেই—যা ছিল গ্রামীণ অর্থনীতির বড় ভরসা। এখন সেই রেমিট্যান্সও বন্ধ।

বিতাড়ন ও আশ্রয়ের সংকট

ইরান থেকে বিতাড়িত নকিবুল্লাহ এব্রাহিমি জানালেন, তিনি মাসে ৩০০ ডলার আয় করতেন এবং বেশিরভাগ অর্থ দেশে পাঠাতেন। এখন তিনি কাবুলে নিঃস্ব। অনেক ফেরত আসা মানুষ ব্যাংকে জমা রাখা টাকা তুলতে পারছেন না বা বাড়িওয়ালার কাছ থেকে অগ্রিম ফেরত পাচ্ছেন না।

সহায়তাকারীরা বলছেন, জোরপূর্বক ফেরত আসাদের জন্য যে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। শীত এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। পাকিস্তান সরকার আরও ১৩ লাখ আফগানকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

সরকার ও মানুষের লড়াই

তালেবান সরকার নতুন শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। রাজধানী কাবুলে জমিদাররা ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করে ফেরত আসা আত্মীয়দের জায়গা দিচ্ছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, “এটি গুরুতর সমস্যা।” তবে তিনি এটিকে পুনর্গঠনের সুযোগ হিসেবেও দেখার আহ্বান জানান।

অর্থকষ্টে থাকা সরকার ৯০ হাজার বেসামরিক ও সামরিক চাকরি কমানোর পরিকল্পনা করেছে। অনেক কর্মকর্তা ট্যাক্সি চালক বা অন্য কাজে নেমেছেন, এমনকি দিনে দুই বেলা খাওয়াতেও বাধ্য হচ্ছেন। হাজার হাজার সেনা ও নিরাপত্তাকর্মীকে “সক্রিয় রিজার্ভে” পাঠানো হয়েছে—তারা আর বেতন পাচ্ছেন না।

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

ফেরত আসা গুলাম আলি হুসাইনি প্রথমে একটি ট্রানজিট ক্যাম্পে জায়গা পান। এক সপ্তাহ পর নতুন আগতদের জন্য জায়গা ছাড়তে হয়। পরে আত্মীয়ের ঘরে ছোট্ট কক্ষে ওঠেন। কিছুদিন পর আবার অন্যদের সঙ্গে ১৮ বর্গ মিটারের একটি কক্ষে থাকতে শুরু করেছেন। কিন্তু সেটিও অনিশ্চিত, কারণ ঘরটির মালিক ইরানে বসবাসরত আরেক আফগান। তিনি ফিরে এলে জায়গাটি চাইবেন।

আফগানিস্তান এখন ভয়াবহ দোদুল্যমানতায় দাঁড়িয়ে আছে। অর্থনৈতিক ঝড়ে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত ও দুর্বিষহ।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৮)

আফগানিস্তানে ‘অর্থনৈতিক ঝড়’, ক্ষুধা, মৃত্যু আর অসুস্থতা নিত্যসঙ্গী

১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হঠাৎ ভেঙে পড়া জীবিকা

দক্ষিণ ইরানে প্রতিদিন ছয় ডলার আয় করতেন আফগান নির্মাণশ্রমিক গুলাম আলি হুসাইনি। সেই সামান্য আয়ে ভাড়া করা ছোট্ট ঘরে মা ও অসুস্থ ভাইকে নিয়ে নিশ্চিন্তে দিন কাটছিল। কিন্তু এখন চাকরি, বাসা এমনকি তিনবেলা খাবারের নিশ্চয়তাও নেই। গত জুলাইয়ে পরিবারসহ তাঁকে ইরান থেকে ফেরত পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি একটি আত্মীয়ের বাড়িতে অস্থায়ীভাবে থাকছেন।

দুই দিক থেকে বড় আঘাত

তালেবান শাসনের চার বছরে আফগানিস্তান এখন দুই দিক থেকে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে।
প্রথমত, ইরান ও পাকিস্তান লাখ লাখ আফগানকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠাচ্ছে। শত্রুভাবাপন্ন জনমত ও রাজনৈতিক চাপের কারণে এ নীতি নেওয়া হয়েছে। কাজহীন ও গৃহহীন হয়ে ফেরত আসা এ মানুষগুলো এমন এক দেশে ঠাঁই পাচ্ছে যেখানে ৪২ মিলিয়ন মানুষের অর্ধেকের বেশি আগে থেকেই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

দ্বিতীয়ত, বিদেশি সাহায্য হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড বন্ধ হওয়ার ফলে এ বছরের শুরু থেকে ৪০০-র বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ খাদ্য সহায়তা হারিয়েছে। তালেবান সরকারের অর্থাভাব এতটাই বেড়েছে যে হাজার হাজার কর্মচারী ও প্রতিরক্ষা সদস্যকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংকট গ্রুপের বিশ্লেষক ইব্রাহিম বাহিস মন্তব্য করেছেন, “এই সংকটগুলো একে অপরকে বাড়িয়ে দিয়ে অর্থনীতিকে ভয়াবহ অবস্থায় ফেলছে।” জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এক কথায়, নিখুঁত অর্থনৈতিক ঝড়।”

পুনরুদ্ধারের মাঝেই বিপর্যয়

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর অর্থনীতি এক-চতুর্থাংশ সংকুচিত হয়েছিল। তবে গত বছর প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ২.৫ শতাংশে। কর ও খনিজ থেকে রাজস্ব বেড়েছিল, বিদেশি পর্যটক আসা শুরু হয়েছিল, নতুন সড়ক ও ভবন নির্মাণ হচ্ছিল।

সম্প্রতি তালেবান সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক একটি জ্বালানি কোম্পানির সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি করেছে। চীন চিলগোজা বাদাম, ডালিম ও খনিজ আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাশিয়ার স্বীকৃতি পাওয়ায় আরও অর্থনৈতিক সহায়তার আশায় ছিল কাবুল।

কিন্তু বিশ্বব্যাংক বলছে, এত অল্প প্রবৃদ্ধি মানুষের জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারেনি। ২০০১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেত আফগানিস্তান। এখন জিডিপি ২০১১ সালের তুলনায়ও কম।

দুর্দশার চিত্র

জাতিসংঘের হিসেবে ৭৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা বা আশ্রয়ের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ৩৫ লাখ শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে—এটি আফগান ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত শিশুর অপুষ্টির বৃদ্ধি।

বিদেশে নারীরা কাজে যুক্ত হতে পারলেও আফগানিস্তানে নারীর কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যত অর্ধেক শ্রমশক্তিকে অচল করে দিয়েছে।

১৯ বছরের এলাহা ইরানে এক সৌন্দর্য স্যালনে কাজ করতেন। কিন্তু ফেরত আসার পর থেকে তিনি ঘরে বসে আছেন। তাঁর ভাই ও বাবাও এখন বেকার। বিদেশে কাজ করে দেশে অর্থ পাঠাতেন অনেকেই—যা ছিল গ্রামীণ অর্থনীতির বড় ভরসা। এখন সেই রেমিট্যান্সও বন্ধ।

বিতাড়ন ও আশ্রয়ের সংকট

ইরান থেকে বিতাড়িত নকিবুল্লাহ এব্রাহিমি জানালেন, তিনি মাসে ৩০০ ডলার আয় করতেন এবং বেশিরভাগ অর্থ দেশে পাঠাতেন। এখন তিনি কাবুলে নিঃস্ব। অনেক ফেরত আসা মানুষ ব্যাংকে জমা রাখা টাকা তুলতে পারছেন না বা বাড়িওয়ালার কাছ থেকে অগ্রিম ফেরত পাচ্ছেন না।

সহায়তাকারীরা বলছেন, জোরপূর্বক ফেরত আসাদের জন্য যে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। শীত এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। পাকিস্তান সরকার আরও ১৩ লাখ আফগানকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

সরকার ও মানুষের লড়াই

তালেবান সরকার নতুন শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। রাজধানী কাবুলে জমিদাররা ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করে ফেরত আসা আত্মীয়দের জায়গা দিচ্ছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, “এটি গুরুতর সমস্যা।” তবে তিনি এটিকে পুনর্গঠনের সুযোগ হিসেবেও দেখার আহ্বান জানান।

অর্থকষ্টে থাকা সরকার ৯০ হাজার বেসামরিক ও সামরিক চাকরি কমানোর পরিকল্পনা করেছে। অনেক কর্মকর্তা ট্যাক্সি চালক বা অন্য কাজে নেমেছেন, এমনকি দিনে দুই বেলা খাওয়াতেও বাধ্য হচ্ছেন। হাজার হাজার সেনা ও নিরাপত্তাকর্মীকে “সক্রিয় রিজার্ভে” পাঠানো হয়েছে—তারা আর বেতন পাচ্ছেন না।

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

ফেরত আসা গুলাম আলি হুসাইনি প্রথমে একটি ট্রানজিট ক্যাম্পে জায়গা পান। এক সপ্তাহ পর নতুন আগতদের জন্য জায়গা ছাড়তে হয়। পরে আত্মীয়ের ঘরে ছোট্ট কক্ষে ওঠেন। কিছুদিন পর আবার অন্যদের সঙ্গে ১৮ বর্গ মিটারের একটি কক্ষে থাকতে শুরু করেছেন। কিন্তু সেটিও অনিশ্চিত, কারণ ঘরটির মালিক ইরানে বসবাসরত আরেক আফগান। তিনি ফিরে এলে জায়গাটি চাইবেন।

আফগানিস্তান এখন ভয়াবহ দোদুল্যমানতায় দাঁড়িয়ে আছে। অর্থনৈতিক ঝড়ে সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত ও দুর্বিষহ।