প্রথম ধরা মাছেই ইতিবাচক সংকেত
মিয়াগি প্রদেশের ওনাগাওয়া বন্দরে মৌসুমের প্রথম সানমাছ ধরা পড়েছে। স্থানীয় পাইকারি বাজারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগস্টের শেষদিকে ধরা পড়া মাছগুলো গত বছরের তুলনায় গড়ে প্রায় দেড়গুণ বড়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ছোট ও স্বল্প পরিমাণে ধরা পড়ার পর এ বছর বড় আকারের সানমাছ জেলেদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে।

মৌসুম শুরুর আগেভাগে যাত্রা
এই মৌসুমের মাছ ধরার অভিযান শুরু হয় ১০ আগস্ট, যা সাধারণত প্রতি বছরের তুলনায় ১০ দিন আগে। সানমাছ মূলত হোক্কাইডো ও তোহোকু অঞ্চলে নামানো হয়। স্থানীয় এক শিল্প কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বছর স্পষ্টভাবেই বড় আকারের সানমাছ ধরা পড়ছে।

সাগরে ভালোভাবে বেড়ে ওঠা মাছ
মৌসুমের শুরুতেই গভীর সমুদ্র থেকে দ্রুত হারে মাছ ওঠানো হচ্ছে। জাপান ফিশারিজ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন এজেন্সির ধারণা, বসন্ত থেকেই সানমাছ প্রচুর খাবার পেয়ে বেড়ে উঠেছে। তাদের গবেষণায় এ বছর বড় আকারের মাছের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনার কথা আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তবে সংস্থাটি মনে করছে, অভিবাসী সানমাছের মোট সংখ্যা গত বছরের মতোই কম থাকতে পারে।
বড় মাছের বাজারে আগমন
টোকিওর কোতো ওয়ার্ডের তোয়োসু পাইকারি বাজারে প্রতিদিনই সানমাছ পাঠানো হচ্ছে। আগস্টের শেষদিকে ধরা পড়া মাছের ওজন ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রাম, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১.৪ গুণ বেশি। এমনকি এ বছর ২০০ গ্রামের বেশি ওজনের সানমাছও ধরা পড়েছে—যে আকার প্রায় নয় বছর আগে টোকিওর পুরনো সুকিজি বাজারে প্রধান আকার হিসেবে পাওয়া যেত। এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, “এবারের মাছগুলো বেশি চর্বিযুক্ত ও সুস্বাদু, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ক্রেতাদের সুপারিশ করা যায়।”

দাম কমলেও স্বস্তি
গত সপ্তাহে সানমাছের পাইকারি দাম দাঁড়ায় প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১,০০০ ইয়েন (প্রায় ৩.৪০ থেকে ৬.৮০ ডলার), যা গত বছরের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশও নয়। গত বছর মাছের স্বল্পতার কারণে দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। যদিও সামগ্রিকভাবে এ বছরও মাছের সংখ্যা কম থাকতে পারে, তবে বড় আকারের মাছ ধরা পড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
সামনে শরৎ মৌসুমে প্রত্যাশা
আশা করি, শরতের মূল মৌসুমে আরও বেশি সানমাছ নামানো যাবে।”
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















