০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ডেভনে আবার ফিরতে পারে বন্য বিড়াল: দুই বছরের গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭) নন-প্রফিট কাঠামোতে যাচ্ছে মাষ্টডন, সিইও পদ ছাড়ছেন প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রখকো” ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন” চীনের এআই দৌড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা, লোকসানে কেঁপে উঠল বাইদু গোপন সসের নিরাপত্তায় নতুন জোর দিচ্ছে রেইজিং কেইন’স  সিডনিতে জমজমাট ২০২৫ এআরআইএ অ্যাওয়ার্ড, এগিয়ে নিনাজারাচি ও ডম ডোলা তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেওয়ানবাগ শরীফে বর্ণাঢ্য আয়োজন

বিশাল শোভাযাত্রা ও সম্মেলন

রাজধানীর আরামবাগে সুফিধারার আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান দেওয়ানবাগ শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন।
শনিবার লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের নেতৃত্ব

এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদী ইসলামের ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা হুজুর
তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ১৫শ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করেন।

সম্মেলন ভোর রাতে মোরাকাবা ও মিলাদ শরীফ দিয়ে শুরু হয়ে বিকেলে ড. কুদরত এ খোদার বক্তব্য ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
শেষে একটি জমকালো র‌্যালি বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

মূল বক্তব্য

ড. কুদরত এ খোদা তার বক্তব্যে বলেন—

  • পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের দিন হলো ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), কারণ এদিন জগৎসমূহের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন।
  • মহানবীর (সা.) সুপারিশ ছাড়া মুসলিম উম্মাহর মুক্তি সম্ভব নয়। তাই তার জন্মদিনে আনন্দ প্রকাশ করা বরকতময়।
  • মুসলিম জাতি ভুলবশত এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই তিনি আহ্বান জানান, পরিবারের জন্য নতুন কাপড়, ভালো খাবার ও অধিনস্তদের বোনাস দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে।

তিনি আরও ঐতিহাসিক দলিলের আলোকে উল্লেখ করেন—

  • হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ৮১তম দিনে ওফাত লাভ করেন।
  • আখেরি চাহার সোম্বারের পর তিনি আর কোনো বুধবার পাননি।
  • তাই ১লা রবিউল আউয়ালই তার ওফাত দিবস, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সামাজিক আহ্বান

র‌্যালি শুরু হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন—

  • রাসুলপ্রেমিকদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
  • মুসলিম জাতিকে এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আলেম-উলামা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট আলেমগণ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া শিল্পীগণ নাত ও দরুদ পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের পরিবেশ আরও আধ্যাত্মিক করে তোলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেভনে আবার ফিরতে পারে বন্য বিড়াল: দুই বছরের গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দেওয়ানবাগ শরীফে বর্ণাঢ্য আয়োজন

০৪:০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশাল শোভাযাত্রা ও সম্মেলন

রাজধানীর আরামবাগে সুফিধারার আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান দেওয়ানবাগ শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজন।
শনিবার লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণে আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের নেতৃত্ব

এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদী ইসলামের ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা হুজুর
তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ১৫শ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করেন।

সম্মেলন ভোর রাতে মোরাকাবা ও মিলাদ শরীফ দিয়ে শুরু হয়ে বিকেলে ড. কুদরত এ খোদার বক্তব্য ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
শেষে একটি জমকালো র‌্যালি বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

মূল বক্তব্য

ড. কুদরত এ খোদা তার বক্তব্যে বলেন—

  • পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের দিন হলো ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), কারণ এদিন জগৎসমূহের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন।
  • মহানবীর (সা.) সুপারিশ ছাড়া মুসলিম উম্মাহর মুক্তি সম্ভব নয়। তাই তার জন্মদিনে আনন্দ প্রকাশ করা বরকতময়।
  • মুসলিম জাতি ভুলবশত এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই তিনি আহ্বান জানান, পরিবারের জন্য নতুন কাপড়, ভালো খাবার ও অধিনস্তদের বোনাস দিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে।

তিনি আরও ঐতিহাসিক দলিলের আলোকে উল্লেখ করেন—

  • হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ৮১তম দিনে ওফাত লাভ করেন।
  • আখেরি চাহার সোম্বারের পর তিনি আর কোনো বুধবার পাননি।
  • তাই ১লা রবিউল আউয়ালই তার ওফাত দিবস, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সামাজিক আহ্বান

র‌্যালি শুরু হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন—

  • রাসুলপ্রেমিকদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
  • মুসলিম জাতিকে এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আলেম-উলামা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট আলেমগণ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া শিল্পীগণ নাত ও দরুদ পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের পরিবেশ আরও আধ্যাত্মিক করে তোলেন।

অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান