০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ডেভনে আবার ফিরতে পারে বন্য বিড়াল: দুই বছরের গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭) নন-প্রফিট কাঠামোতে যাচ্ছে মাষ্টডন, সিইও পদ ছাড়ছেন প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন রখকো” ইউটিউবে রেকর্ড ভিউ, তবু ‘বেবি শার্ক’ নির্মাতার আয় সীমিত কেন” চীনের এআই দৌড়ে তীব্র প্রতিযোগিতা, লোকসানে কেঁপে উঠল বাইদু গোপন সসের নিরাপত্তায় নতুন জোর দিচ্ছে রেইজিং কেইন’স  সিডনিতে জমজমাট ২০২৫ এআরআইএ অ্যাওয়ার্ড, এগিয়ে নিনাজারাচি ও ডম ডোলা তাইওয়ানের স্যাটেলাইট যুগের সূচনা: স্পেসএক্স উৎক্ষেপণে বড় অগ্রগতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৯) শেয়ারবাজারে টানা উত্থান, বিনিয়োগকারীদের মনোভাব আরও ইতিবাচক

বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ক্ষতি বছরে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার

রেমিট্যান্স খাতে বড় ক্ষতি

আন্তর্জাতিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান নালা (NALA) জানিয়েছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা) রেমিট্যান্স খাতে হারাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো উচ্চ সার্ভিস চার্জ, গোপন খরচ এবং প্রতিকূল বিনিময় হার। এই পরিমাণ ক্ষতি দেশের জাতীয় বাজেটের ২.০২৫ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.৩৩ শতাংশের সমান।

বৈশ্বিক চিত্র

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০৫ বিলিয়ন ডলার। তবে এর মধ্যে প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়ে গেছে বিভিন্ন ফি, গোপন খরচ এবং অপ্রত্যাশিত বিনিময় হারের কারণে।

নালার প্রতিশ্রুতি

শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে নালা আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। নালার বাংলাদেশ প্রধান (হেড অব গ্রোথ) মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত, নিরাপদে এবং বিনা খরচে দেশে পৌঁছে দেওয়া। আমরা জানি, প্রবাসীরা কত কষ্ট করে দেশের মানুষের জন্য টাকা পাঠান। তাদের প্রতিটি ডলার পরিবারকে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে। নালা অপ্রয়োজনীয় খরচ, গোপন চার্জ ও দেরি দূর করতে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু অর্থ পাঠানো নয়, প্রতিটি লেনদেনে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই প্রবাসীরা গর্ব করে বলুক—‘আমাদের টাকা নিরাপদে, দ্রুত এবং বিনা খরচে দেশে পৌঁছাচ্ছে।’ এর মাধ্যমে আমরা রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও জোরদার করতে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চাই।”

কার্যক্রম ও সম্প্রসারণ

নালার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের মোট ২১টি দেশ থেকে সরাসরি বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো সম্ভব। ২০২১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে নালা অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা বিশ্বব্যাপী ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।

অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যম

অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন টমা রশিদ।

সেপ্টেম্বরের প্রথম তিন দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ

নালার তথ্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম তিন দিনেই বাংলাদেশে ৩৪৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

যেসব দেশ থেকে নালা মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো যায়

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেভনে আবার ফিরতে পারে বন্য বিড়াল: দুই বছরের গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা

বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ক্ষতি বছরে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার

০৫:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রেমিট্যান্স খাতে বড় ক্ষতি

আন্তর্জাতিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান নালা (NALA) জানিয়েছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা) রেমিট্যান্স খাতে হারাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো উচ্চ সার্ভিস চার্জ, গোপন খরচ এবং প্রতিকূল বিনিময় হার। এই পরিমাণ ক্ষতি দেশের জাতীয় বাজেটের ২.০২৫ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.৩৩ শতাংশের সমান।

বৈশ্বিক চিত্র

২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০৫ বিলিয়ন ডলার। তবে এর মধ্যে প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার হারিয়ে গেছে বিভিন্ন ফি, গোপন খরচ এবং অপ্রত্যাশিত বিনিময় হারের কারণে।

নালার প্রতিশ্রুতি

শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে নালা আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। নালার বাংলাদেশ প্রধান (হেড অব গ্রোথ) মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত, নিরাপদে এবং বিনা খরচে দেশে পৌঁছে দেওয়া। আমরা জানি, প্রবাসীরা কত কষ্ট করে দেশের মানুষের জন্য টাকা পাঠান। তাদের প্রতিটি ডলার পরিবারকে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে। নালা অপ্রয়োজনীয় খরচ, গোপন চার্জ ও দেরি দূর করতে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু অর্থ পাঠানো নয়, প্রতিটি লেনদেনে বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই প্রবাসীরা গর্ব করে বলুক—‘আমাদের টাকা নিরাপদে, দ্রুত এবং বিনা খরচে দেশে পৌঁছাচ্ছে।’ এর মাধ্যমে আমরা রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও জোরদার করতে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চাই।”

কার্যক্রম ও সম্প্রসারণ

নালার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের মোট ২১টি দেশ থেকে সরাসরি বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো সম্ভব। ২০২১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে নালা অ্যাপের ব্যবহারকারী সংখ্যা বিশ্বব্যাপী ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।

অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যম

অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন টমা রশিদ।

সেপ্টেম্বরের প্রথম তিন দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ

নালার তথ্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম তিন দিনেই বাংলাদেশে ৩৪৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

যেসব দেশ থেকে নালা মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো যায়

অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।