লেখক, গবেষক এবং জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে গণফোরাম। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন।
পরিবারকে সমবেদনা
গণফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ৯৪ বছর বয়সে এই প্রবীণ গবেষক ও রাজনৈতিক চিন্তকের মৃত্যুতে দেশ একজন অভিভাবককে হারালো। তাঁরা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বদরুদ্দীন উমরের জীবন ও কর্ম
বদরুদ্দীন উমর শুধু লেখক-গবেষকই নন, তিনি ছিলেন বামপন্থী রাজনীতিকও।
- ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পিপিই ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ফিরে আসেন।
- ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৯৬৮ সালে গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে পূর্ণ সময়ের জন্য রাজনীতি ও লেখালেখিতে যুক্ত হন।
গবেষণা ও রচনা
ভাষা আন্দোলনের ওপর তাঁর লেখা প্রথম গবেষণামূলক গ্রন্থ হলো ‘পূর্ববাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’। এই বই তাকে গবেষক ও চিন্তক হিসেবে আলাদা মর্যাদা এনে দেয়।
রাজনৈতিক ভূমিকা
- একসময় তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
- ২০০৩ সালে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
বদরুদ্দীন উমরের দীর্ঘ জীবন জুড়ে ছিল শিক্ষা, গবেষণা, লেখালেখি এবং রাজনীতির সক্রিয় ভূমিকা। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক অঙ্গন এক বিশিষ্ট অভিভাবককে হারালো।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















