সমকালের একটি শিরোনাম “বাগেরহাটে হরতাল চলছে, ডিসিকে কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা, নির্বাচন অফিসে তালা”
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি সংসদীয় আসন করে নির্বাচনী সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে জেলাজুড়ে হরতাল চলছে। সড়কপথ অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার সকাল ৮টা থেকে হরতাল ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচি চলবে সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানকে তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। পরে তিনি নিজের অফিসে প্রবেশ না করে জেলা ত্রাণ, দুর্যোগ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
বাগেরহাট সড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়কের ওপর গাড়ি, গাছের গুঁড়ি ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করে রেখেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
হরতালের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা দেন। পরে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান হরতালকারীরা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ফকরুল হাসানের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে তিনি হেঁটে অফিসে যান। নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের সুপারিশ করবে কমিশন”
জুলাই জাতীয় সনদের সাংবিধানিক বিষয়গুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাকি বিষয়গুলো তাঁরা নির্বাহী আদেশ ও অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল রোববার জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা এবং বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেখানেই বিশেষজ্ঞরা তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশন-সংশ্লিষ্ট একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডারের (এসসিও) মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সেটি আমলে নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে বাংলা নামটা ঠিক হয়নি। সোমবার (আজ) তাঁরা আমাদের লিখিতভাবে দেবেন। এরপর জুলাই সনদ ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।’
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। আলোচনায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে পারেনি বিবিএস”
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুসারে গত আগস্টে মোটা চালের দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকার মধ্যে। এ সময়ে সরু চালের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৫-৮৫ টাকায়। সব ধরনের চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আগস্টে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। শুধু মূল্যস্ফীতি নয়, বিবিএস কর্তৃক প্রকাশিত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), মাথাপিছু আয়, দারিদ্র্যের হার, বৈদেশিক বাণিজ্য, শিল্প, শ্রমিক ও শিক্ষা পরিসংখ্যান-সংক্রান্ত তথ্য নিয়েও গবেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার ঘাটতি রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছিল। অনেক অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লষক বলছেন, অতীতের কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে এখন পর্যন্ত নিজেদের প্রকাশিত তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে পারেনি বিবিএস।
দেশের জনমিতি, স্বাস্থ্য, শিল্প ও শ্রম, জাতীয় হিসাব, মূল্য ও মজুরি, শিল্প উৎপাদন ও মূল্যসূচক, দারিদ্র্য, পরিবেশগত, জেন্ডার ও কৃষিবিষয়ক পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও তথ্য পর্যালোচনা করা বিবিএসের মূল কাজ। সংস্থাটির এসব তথ্য-উপাত্তের ওপর নির্ভর করে সরকার ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নীতিকৌশল নির্ধারিত হয়। ফলে এসব তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ও আস্থার সংকট থাকলে এগুলোর ওপর ভিত্তি করে নেয়া নীতিকৌশলও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ত্রুটিপূর্ণ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নেয়া নীতিকৌশলের কার্যকারিতার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ম্যানিপুলেটেড পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এজন্য বছরের পর বছর ধরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), মাথাপিছু আয় ও রফতানির তথ্যে কারসাজি করা হয়। বিশেষ করে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পরও দেশে আশানুরূপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় অর্থনীতির মূল সূচকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ২০১৪ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেয়ার পর পরিসংখ্যান বিভ্রাট আরো প্রকট হয়। মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে পাঁচ-ছয়জনের একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ ওঠে অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকের তথ্য অতিরঞ্জনের। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও বাড়তে থাকে পরিসংখ্যানগত পার্থক্য। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০১৫-১৯ সালের মধ্যে সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেশি দেখানো হয়েছিল। এসব বানোয়াট পরিসংখ্যানের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয় লোটাস কামাল তথা তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামালকে।
মানবজমিনের একটি শিরোন “দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড”
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়ানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি দাম বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৭১৮ টাকা। এতে স্বর্ণের ভরি হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা। দেশে এটি স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। রোববার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন দর অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ২ হাজার ২২৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৯০১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৩ টাকা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণে ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















