চল না নদী হই আমরা সকলে
মিশে যাই সাগরে-
যারা মৃত্যুকে মনে করে জীবনের অবসান
তারা না হয় থাকুক-
নিরাপদ ছাঁদের নীচে।
প্রকান্ড গলিত লাভার এ পৃথিবীতে
কে কবে বলেছে, নিরাপদ ছাঁদ আছে-
যেখানে একরাতে প্রবল ঝড়ে
ছোট্ট পাখির ছানাটি পা উঁচু করে পড়ে
থাকে নিথর মায়ের শরীরের পাশে।
এসব দেখেও কি তুমি বলবে
চল বসি,
দেখি ফুলের শোভা
আর শুনি পাখির কাকলি-
অথচ দেখ না নদী-
বাঁকে বাঁকে গড়ে কত কীর্তি
যদি কখনও হারায় ধারা
জল তার বয়ে যায়
অন্য ধারা বেয়ে সাগরের জলে।
জন্মদাতাকে ভুলে বসে থাকবে
তুমি ফুলের সুবাসের আশায়-
বরং নদী হও- নদী হই-
সব নদী মেশে সাগরে
সব জীবন মেশে মৃত্যুতে।
বন্দরে বন্দরে গড়ে তোলা
চূড়া কেবলই শুধু আকাশ ছোঁয়-
পিগমিরা তাকালেও দেখতে পায় না সে চূড়া।
আর ইঁদুরেরা কেবল গর্ত খোঁড়ে
গর্তে ঢুকে জীবন বাঁচাতে চায়।
বাঁচে কি ইঁদুর!
তার চেয়ে কুয়াশা ঠেলে ফেলে-
রোদ, জল, ঝড় ও শিশিরকে
সঙ্গে নিয়ে-
চল না নদী হই-
বুকে ঝরুক তীব্র সূর্য রশ্মি
ঝড়ে হই উদ্দাম-
কী এত ভয়-
ধরো হাত সবাই একসাথে –
চল না নদী হই সবাই।