০৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংবিধান সংক্রান্ত নয়, এমন সংস্কার করতে পারে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ

সমকালের একটি শিরোনাম “সংবিধান সংক্রান্ত নয়, এমন সংস্কার করতে পারে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ”

অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে জুলাই সনদে যেসব সংস্কার করা যাবে, সেগুলো সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কমিশন সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতি আলোচনায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক মতামত দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সংবিধান সংশোধনী-সংক্রান্ত ১৯টি মৌলিক বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যায়, সেই বিষয়ে মতামতের জন্য কমিশন বৈঠক ডেকেছিলেন। প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতামত দিয়েছেন। সনদে যেসব সংস্কার রয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে রাখবে ও সনদের অঙ্গীকারে সই করবে। যারাই নির্বাচিত হবে, তারা পরবর্তী দুবছরে সংশোধনীগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের পথ নেই। এখানে প্রশ্ন আসছে, সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে সংশোধনীগুলোকে এখনই কার্যকর করা যায় কিনা? কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদাহরণ দিচ্ছেন। যেকোনো রকমের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাংবিধানিক সংশোধনের বিষয়ে যেন আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিই।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাকসু নির্বাচন: অভিযোগ-বর্জনে ম্লান ভোট উৎসব”

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তার শেষটা ম্লান হলো অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জাল ভোটসহ নানা অভিযোগে। গতকাল দুপুরের পরই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেল।

কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচন বাতিল ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে ‘অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। রাত সোয়া ৯টার দিকে বের হওয়া মিছিলটি নতুন কলাভবন এলাকা থেকে শুরু হয়ে সিনেট ভবন ও পরিবহন এলাকা ঘুরে চৌরঙ্গীতে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ‘প্রহসনের জাকসু, মানি না মানব না’, ‘বয়কট বয়কট, জাকসু বয়কট’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ভোট গণনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম জানিয়েছেন, ফলাফল পেতে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে (হাতে) ভোট গণনা করা হবে। ফলাফল পেতে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল বা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’

নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সমর্থিত প্যানেলও। অনিয়মের অভিযোগ করে নির্বাচন চলার সময় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনজন শিক্ষক। এদিকে নতুন তফসিল দিয়ে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করে রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে ছাত্রদল।

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করেছে উৎসবের আমেজ। নির্বাচনে চারটি পূর্ণাঙ্গ ও চারটি আংশিক প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো শিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, বাগছাস-সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল। এ ছাড়া আংশিক প্যানেলের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট-সমর্থিত স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে স্বতন্ত্র ঐক্য সম্মিলন, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত সংশপ্তক পর্ষদ ও ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) সমর্থিত প্যানেল।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “প্রবাসীদের ভোটের জন্য তৈরি হচ্ছে অ্যাপ”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (স্মার্ট কার্ড) প্রবাসী বাংলাদেশীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এজন্য ‘পোস্টাল ব্যালট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ তৈরির কাজ চলমান বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল প্রকাশিত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, টরন্টো আয়োজিত ‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং প্রবাসীদের ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ’ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেছেন সিইসি।

কানাডায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশের নির্বাচনের সামগ্রিক চিত্র ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার নিবন্ধন ও নির্বাচনে তারা কীভাবে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা কানাডা সফরে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের মতবিনিময় সভা আয়োজন করায় কনস্যুলেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ভিন্ন ভিন্ন মত”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে। তবে কোন পদ্ধতি বেছে নেয়া হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঐকমত্য তৈরি হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের হাতে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা নেই। তারা শুধু বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবেন। বিএনপি বলছে, সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত বিষয় বাদে বাকি যেসব বিষয়গুলো আশু বাস্তবায়ন সম্ভব। সেসব বিষয় নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। জামায়াতে ইসলামী বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। আবার কেউ গণভোট, কেউ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বা উচ্চ আদালতের মতামত নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ফলে জুলাই সনদ কার্যকরের সামনে আপাতত পাঁচটি সম্ভাব্য পথ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে।
ওদিকে গতকাল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সনদে স্বাক্ষরের জন্য শনিবারের মধ্যে প্রত্যেক দলের দুইজন করে ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যটি আজ রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হবে। ৩১শে জুলাইয়ের পর অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দিতে বলেছিলাম। সেগুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সকলের মতের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। সকলের বক্তব্য একটি সনদে ধারণ করা যাবে না। দুই দফায় আলোচনার মধ্যদিয়ে আমরা একটি বিষয়ে আসতে পেরেছি বলে মনে হয়েছে। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেন সনদে স্বাক্ষরের জন্য দলগুলো দুজন ব্যক্তির নাম কমিশনে পাঠান।

তিনি বলেন, ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করেছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও নেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে ৬ ধরনের প্রস্তাব। পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তার কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতার বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বাস্তবায়ন করা, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা, ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই সনদ বাস্তবায়ন করবেন, সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা।

 

সংবিধান সংক্রান্ত নয়, এমন সংস্কার করতে পারে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ

০৮:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সংবিধান সংক্রান্ত নয়, এমন সংস্কার করতে পারে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ”

অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশে জুলাই সনদে যেসব সংস্কার করা যাবে, সেগুলো সরকার বাস্তবায়ন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, কমিশন সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতি আলোচনায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক মতামত দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সংবিধান সংশোধনী-সংক্রান্ত ১৯টি মৌলিক বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করা যায়, সেই বিষয়ে মতামতের জন্য কমিশন বৈঠক ডেকেছিলেন। প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতামত দিয়েছেন। সনদে যেসব সংস্কার রয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহারে রাখবে ও সনদের অঙ্গীকারে সই করবে। যারাই নির্বাচিত হবে, তারা পরবর্তী দুবছরে সংশোধনীগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের পথ নেই। এখানে প্রশ্ন আসছে, সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে সংশোধনীগুলোকে এখনই কার্যকর করা যায় কিনা? কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদাহরণ দিচ্ছেন। যেকোনো রকমের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাংবিধানিক সংশোধনের বিষয়ে যেন আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিই।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাকসু নির্বাচন: অভিযোগ-বর্জনে ম্লান ভোট উৎসব”

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তার শেষটা ম্লান হলো অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জাল ভোটসহ নানা অভিযোগে। গতকাল দুপুরের পরই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেল।

কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচন বাতিল ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে ‘অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। রাত সোয়া ৯টার দিকে বের হওয়া মিছিলটি নতুন কলাভবন এলাকা থেকে শুরু হয়ে সিনেট ভবন ও পরিবহন এলাকা ঘুরে চৌরঙ্গীতে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে ‘প্রহসনের জাকসু, মানি না মানব না’, ‘বয়কট বয়কট, জাকসু বয়কট’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ভোট গণনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম জানিয়েছেন, ফলাফল পেতে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে (হাতে) ভোট গণনা করা হবে। ফলাফল পেতে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল বা দুপুর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।’

নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সমর্থিত প্যানেলও। অনিয়মের অভিযোগ করে নির্বাচন চলার সময় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনজন শিক্ষক। এদিকে নতুন তফসিল দিয়ে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করে রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে ছাত্রদল।

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক মাস ধরেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করেছে উৎসবের আমেজ। নির্বাচনে চারটি পূর্ণাঙ্গ ও চারটি আংশিক প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। পূর্ণাঙ্গ প্যানেলগুলো হলো শিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, বাগছাস-সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল। এ ছাড়া আংশিক প্যানেলের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট-সমর্থিত স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে স্বতন্ত্র ঐক্য সম্মিলন, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত সংশপ্তক পর্ষদ ও ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) সমর্থিত প্যানেল।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “প্রবাসীদের ভোটের জন্য তৈরি হচ্ছে অ্যাপ”

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (স্মার্ট কার্ড) প্রবাসী বাংলাদেশীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এজন্য ‘পোস্টাল ব্যালট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ তৈরির কাজ চলমান বলেও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল প্রকাশিত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, টরন্টো আয়োজিত ‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং প্রবাসীদের ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ’ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেছেন সিইসি।

কানাডায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশের নির্বাচনের সামগ্রিক চিত্র ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটার নিবন্ধন ও নির্বাচনে তারা কীভাবে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা কানাডা সফরে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের মতবিনিময় সভা আয়োজন করায় কনস্যুলেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ভিন্ন ভিন্ন মত”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে। তবে কোন পদ্ধতি বেছে নেয়া হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঐকমত্য তৈরি হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের হাতে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা নেই। তারা শুধু বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবেন। বিএনপি বলছে, সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত বিষয় বাদে বাকি যেসব বিষয়গুলো আশু বাস্তবায়ন সম্ভব। সেসব বিষয় নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। জামায়াতে ইসলামী বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের দাবি তুলেছে। আবার কেউ গণভোট, কেউ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বা উচ্চ আদালতের মতামত নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ফলে জুলাই সনদ কার্যকরের সামনে আপাতত পাঁচটি সম্ভাব্য পথ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে।
ওদিকে গতকাল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সনদে স্বাক্ষরের জন্য শনিবারের মধ্যে প্রত্যেক দলের দুইজন করে ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্যটি আজ রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হবে। ৩১শে জুলাইয়ের পর অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত দিতে বলেছিলাম। সেগুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সকলের মতের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে। সকলের বক্তব্য একটি সনদে ধারণ করা যাবে না। দুই দফায় আলোচনার মধ্যদিয়ে আমরা একটি বিষয়ে আসতে পেরেছি বলে মনে হয়েছে। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেন সনদে স্বাক্ষরের জন্য দলগুলো দুজন ব্যক্তির নাম কমিশনে পাঠান।

তিনি বলেন, ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করেছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও নেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এসেছে ৬ ধরনের প্রস্তাব। পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তার কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতার বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বাস্তবায়ন করা, নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা, ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এই সনদ বাস্তবায়ন করবেন, সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা।