ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক গর্ভবতী নারী ও তার পাঁচ বছরের ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের পরিচয়
নিহতরা হলেন সুমাইয়া আক্তার (২২) এবং তার ছেলে হুযাইফা। সুমাইয়া নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর তার সিজারিয়ান ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল। হুযাইফা ছিলেন সুমাইয়া ও তার স্বামী রামজান মুনশির একমাত্র সন্তান।
ঘটনার বর্ণনা
পরিবার জানায়, রামজান মুনশি দুই বছর আগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন এবং আবারও বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
রামজানের বাবা মতলেব মুনশি জানান, তিনি গরুকে খাওয়াচ্ছিলেন, হঠাৎ ঘর থেকে চিৎকার শুনে দৌড়ে যান। ঘরে গিয়ে দেখেন নাতির গলা কাটা এবং পুত্রবধূ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
পরে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সম্পর্ক ও প্রতিবেশীদের বক্তব্য
মতলেব মুনশি দাবি করেন, রামজান ও সুমাইয়ার সম্পর্ক ভালো ছিল, কোনো বড় ধরনের ঝগড়া ছিল না। তবে কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, তারা মাঝে মাঝে দম্পতির মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুনেছেন।
পুলিশি পদক্ষেপ
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) আসিফ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সদরপুর থানার ওসি সুধেব রায় বলেন, রামজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি, কারণ তিনি বর্তমানে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে আছেন।
তিনি আরও জানান, তদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।