১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা শহরে সড়ক ও বৃক্ষের ঘাটতি: নগরজীবনের সংকট ও সম্ভাবনা

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। প্রতিদিন প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ এখানে বাস করছে, কাজ করছে এবং চলাচল করছে। কিন্তু শহরের অবকাঠামো সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে সড়ক এবং বৃক্ষ আচ্ছাদনের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি শহরের মোট এলাকার অন্তত ২৫ শতাংশ সড়ক এবং ২০-২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকা উচিত। অথচ ঢাকায় সড়কের পরিমাণ ৭-৮ শতাংশের বেশি নয় এবং সবুজ আচ্ছাদনও নগণ্য।

এই ঘাটতির কারণে যানজট, বায়ুদূষণ, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নগরবাসীকে প্রতিনিয়ত ভুগতে হচ্ছে। ঢাকা এখন এমন এক নগরীতে পরিণত হয়েছে যেখানে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা কেবল কষ্টকর নয়, বরং স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণও।

সড়ক ঘাটতির ভয়াবহ প্রভাব

ঢাকার সড়ক সংকট কেবল যানজটের কারণ নয়; এটি নগর অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যানজটের কারণে ঢাকার প্রতিদিন প্রায় ৩.২ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এই ক্ষতির অর্থমূল্য বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সমান।

যানজটের ফলে জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, এবং পুলিশও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। ফলে অনেক সময় প্রাণহানি ঘটে বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়।

রাজধানীর যানজটে আড়াই শতাংশ প্রবৃদ্ধি হারাচ্ছে দেশ - DesheBideshe

উদাহরণস্বরূপ, গত বছরের একটি অগ্নিকাণ্ডে দমকল বাহিনী যানজটে আটকে থাকায় সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি, যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।

এছাড়া সরু ও অপরিকল্পিত সড়ক ঢাকার সামগ্রিক পরিবহন ব্যবস্থাকে অচল করে রেখেছে। মেট্রোরেল বা ফ্লাইওভার তৈরি হলেও মূল সড়কগুলো প্রশস্ত না হওয়ায় যানবাহনের চাপ কমছে না।

সড়ক বৃদ্ধির সম্ভাব্য সমাধান

ঢাকার সড়ক সমস্যার সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল তুলে ধরা হলো:

১. পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ
পুরোনো সরু সড়কগুলোকে প্রশস্ত করতে হবে। অবৈধ দখল ও স্থাপনা অপসারণ করে রাস্তার জায়গা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করলেই ঢাকার প্রধান সড়কের প্রস্থ অন্তত ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি সম্ভব।

২. নতুন সড়ক নেটওয়ার্ক
বর্তমান অবকাঠামোর পাশাপাশি নতুন রিং রোড, বাইপাস এবং সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। এতে শহরের ভেতরের যানবাহনের চাপ অনেকটা কমবে। টোকিও, ব্যাংকক বা কুয়ালালামপুরের মতো শহরে এই ধরনের সমাধান কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

৩. স্মার্ট নগর পরিকল্পনা
কেবল মোটরযান নয়, পায়ে হাঁটার পথ, সাইকেল লেন এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (BRT) ব্যবস্থা চালু করা দরকার। এটি যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে সড়কের কার্যকারিতা বাড়াবে।

করোনাভাইরাস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অর্থায়ন স্থগিত করছে যুক্তরাষ্ট্র - BBC News বাংলা

বৃক্ষ আচ্ছাদনের সংকট ও জলবায়ু প্রভাব

ঢাকায় সবুজ আচ্ছাদনের ঘাটতি শুধু নান্দনিকতার সমস্যা নয়, এটি সরাসরি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। শহরে পর্যাপ্ত গাছ না থাকায় বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মানদণ্ডের তুলনায় ঢাকার বাতাসে দূষণকারী উপাদানের মাত্রা কয়েক গুণ বেশি।

এছাড়া বৃক্ষের অভাব শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। গবেষণা বলছে, ঢাকার কেন্দ্রীয় এলাকায় তাপমাত্রা আশেপাশের গ্রামীণ এলাকার তুলনায় গড়ে ৩-৫ ডিগ্রি বেশি। এটিকে বলা হয় আর্বান হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট। এই পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী ও পথবাসীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে।

বৃক্ষ আচ্ছাদন বৃদ্ধির কার্যকর পদক্ষেপ

১. রাস্তাঘাটে বৃক্ষরোপণ
প্রতিটি সড়কের দুই পাশে বড় গাছ যেমন রেইনট্রি, অশ্বত্থ, কদমসহ ফুল ও ফলের গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এসব গাছ কেবল ছায়া দেয় না, বরং বায়ুদূষণ কমাতেও ভূমিকা রাখে।

২. পার্ক ও সবুজ এলাকা সংরক্ষণ
ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি পার্ক বা খেলার মাঠ নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে অনেক পার্ক অবৈধ দখলে রয়েছে, যা সরিয়ে নতুন সবুজ এলাকা তৈরি করা জরুরি।

৩. ছাদ ও উল্লম্ব বাগান
আধুনিক শহরে ছাদবাগান এবং উল্লম্ব বাগান (ভের্টিক্যাল গার্ডেন) জনপ্রিয় সমাধান হিসেবে দেখা দিয়েছে। ঢাকার বহুতল ভবনগুলোতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করলে সবুজ আচ্ছাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।

নীতি, আইন এবং নাগরিক সচেতনতা

সড়ক ও বৃক্ষ আচ্ছাদনের ঘাটতি সমাধানে কেবল সরকার নয়, নাগরিকদেরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।

১. আইন প্রয়োগ
সড়ক এবং সবুজ এলাকার জন্য নির্ধারিত শতাংশকে বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়ম ভাঙলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. নাগরিক অংশগ্রহণ
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, অবৈধ দখল প্রতিরোধ এবং সড়ক পরিষ্কার রাখতে স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে।

স্যাটেলাইট ছবি কোথায় পাবেন এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন? – Global Investigative Journalism Network

৩. প্রযুক্তির ব্যবহার
স্যাটেলাইট ম্যাপ এবং জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন এলাকায় সড়ক ও সবুজ আচ্ছাদনের ঘাটতি রয়েছে তা নির্ধারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।

টেকসই নগর উন্নয়নের পথে ঢাকা

ঢাকা এমন এক শহর যেখানে প্রতিদিন লাখো মানুষের স্বপ্ন, কর্মযজ্ঞ এবং সংগ্রাম একসাথে মিশে যায়। কিন্তু সড়ক এবং বৃক্ষ আচ্ছাদনের ঘাটতি সেই স্বপ্নকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে।

যদি পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় এবং নাগরিকরা সচেতন হন, তবে ঢাকা একদিন আরও স্বাস্থ্যকর, বাসযোগ্য এবং সুন্দর শহরে পরিণত হবে।

আজই সময়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই নগর উন্নয়নের পথ তৈরি করার। সড়ক সম্প্রসারণ এবং সবুজায়ন সমান্তরালে এগোলে কেবল যানজটই কমবে না, বরং নগরজীবনের গুণগত মানও অনেক উন্নত হবে।

সূর্যালোকের সুফল: ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি ছাড়িয়ে স্বাস্থ্য উপকারিতা কি বেশি?

ঢাকা শহরে সড়ক ও বৃক্ষের ঘাটতি: নগরজীবনের সংকট ও সম্ভাবনা

০৭:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। প্রতিদিন প্রায় দুই কোটিরও বেশি মানুষ এখানে বাস করছে, কাজ করছে এবং চলাচল করছে। কিন্তু শহরের অবকাঠামো সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে সড়ক এবং বৃক্ষ আচ্ছাদনের ক্ষেত্রে ঢাকার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি শহরের মোট এলাকার অন্তত ২৫ শতাংশ সড়ক এবং ২০-২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা থাকা উচিত। অথচ ঢাকায় সড়কের পরিমাণ ৭-৮ শতাংশের বেশি নয় এবং সবুজ আচ্ছাদনও নগণ্য।

এই ঘাটতির কারণে যানজট, বায়ুদূষণ, অতিরিক্ত তাপমাত্রা, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নগরবাসীকে প্রতিনিয়ত ভুগতে হচ্ছে। ঢাকা এখন এমন এক নগরীতে পরিণত হয়েছে যেখানে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা কেবল কষ্টকর নয়, বরং স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণও।

সড়ক ঘাটতির ভয়াবহ প্রভাব

ঢাকার সড়ক সংকট কেবল যানজটের কারণ নয়; এটি নগর অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যানজটের কারণে ঢাকার প্রতিদিন প্রায় ৩.২ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এই ক্ষতির অর্থমূল্য বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সমান।

যানজটের ফলে জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, এবং পুলিশও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। ফলে অনেক সময় প্রাণহানি ঘটে বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়।

রাজধানীর যানজটে আড়াই শতাংশ প্রবৃদ্ধি হারাচ্ছে দেশ - DesheBideshe

উদাহরণস্বরূপ, গত বছরের একটি অগ্নিকাণ্ডে দমকল বাহিনী যানজটে আটকে থাকায় সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি, যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।

এছাড়া সরু ও অপরিকল্পিত সড়ক ঢাকার সামগ্রিক পরিবহন ব্যবস্থাকে অচল করে রেখেছে। মেট্রোরেল বা ফ্লাইওভার তৈরি হলেও মূল সড়কগুলো প্রশস্ত না হওয়ায় যানবাহনের চাপ কমছে না।

সড়ক বৃদ্ধির সম্ভাব্য সমাধান

ঢাকার সড়ক সমস্যার সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল তুলে ধরা হলো:

১. পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণ
পুরোনো সরু সড়কগুলোকে প্রশস্ত করতে হবে। অবৈধ দখল ও স্থাপনা অপসারণ করে রাস্তার জায়গা ফিরিয়ে আনা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করলেই ঢাকার প্রধান সড়কের প্রস্থ অন্তত ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি সম্ভব।

২. নতুন সড়ক নেটওয়ার্ক
বর্তমান অবকাঠামোর পাশাপাশি নতুন রিং রোড, বাইপাস এবং সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। এতে শহরের ভেতরের যানবাহনের চাপ অনেকটা কমবে। টোকিও, ব্যাংকক বা কুয়ালালামপুরের মতো শহরে এই ধরনের সমাধান কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

৩. স্মার্ট নগর পরিকল্পনা
কেবল মোটরযান নয়, পায়ে হাঁটার পথ, সাইকেল লেন এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (BRT) ব্যবস্থা চালু করা দরকার। এটি যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে সড়কের কার্যকারিতা বাড়াবে।

করোনাভাইরাস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অর্থায়ন স্থগিত করছে যুক্তরাষ্ট্র - BBC News বাংলা

বৃক্ষ আচ্ছাদনের সংকট ও জলবায়ু প্রভাব

ঢাকায় সবুজ আচ্ছাদনের ঘাটতি শুধু নান্দনিকতার সমস্যা নয়, এটি সরাসরি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। শহরে পর্যাপ্ত গাছ না থাকায় বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মানদণ্ডের তুলনায় ঢাকার বাতাসে দূষণকারী উপাদানের মাত্রা কয়েক গুণ বেশি।

এছাড়া বৃক্ষের অভাব শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। গবেষণা বলছে, ঢাকার কেন্দ্রীয় এলাকায় তাপমাত্রা আশেপাশের গ্রামীণ এলাকার তুলনায় গড়ে ৩-৫ ডিগ্রি বেশি। এটিকে বলা হয় আর্বান হিট আইল্যান্ড ইফেক্ট। এই পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী ও পথবাসীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ে।

বৃক্ষ আচ্ছাদন বৃদ্ধির কার্যকর পদক্ষেপ

১. রাস্তাঘাটে বৃক্ষরোপণ
প্রতিটি সড়কের দুই পাশে বড় গাছ যেমন রেইনট্রি, অশ্বত্থ, কদমসহ ফুল ও ফলের গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। এসব গাছ কেবল ছায়া দেয় না, বরং বায়ুদূষণ কমাতেও ভূমিকা রাখে।

২. পার্ক ও সবুজ এলাকা সংরক্ষণ
ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি পার্ক বা খেলার মাঠ নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে অনেক পার্ক অবৈধ দখলে রয়েছে, যা সরিয়ে নতুন সবুজ এলাকা তৈরি করা জরুরি।

৩. ছাদ ও উল্লম্ব বাগান
আধুনিক শহরে ছাদবাগান এবং উল্লম্ব বাগান (ভের্টিক্যাল গার্ডেন) জনপ্রিয় সমাধান হিসেবে দেখা দিয়েছে। ঢাকার বহুতল ভবনগুলোতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করলে সবুজ আচ্ছাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে।

নীতি, আইন এবং নাগরিক সচেতনতা

সড়ক ও বৃক্ষ আচ্ছাদনের ঘাটতি সমাধানে কেবল সরকার নয়, নাগরিকদেরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।

১. আইন প্রয়োগ
সড়ক এবং সবুজ এলাকার জন্য নির্ধারিত শতাংশকে বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং নিয়ম ভাঙলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. নাগরিক অংশগ্রহণ
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, অবৈধ দখল প্রতিরোধ এবং সড়ক পরিষ্কার রাখতে স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করলে ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে।

স্যাটেলাইট ছবি কোথায় পাবেন এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন? – Global Investigative Journalism Network

৩. প্রযুক্তির ব্যবহার
স্যাটেলাইট ম্যাপ এবং জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন এলাকায় সড়ক ও সবুজ আচ্ছাদনের ঘাটতি রয়েছে তা নির্ধারণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।

টেকসই নগর উন্নয়নের পথে ঢাকা

ঢাকা এমন এক শহর যেখানে প্রতিদিন লাখো মানুষের স্বপ্ন, কর্মযজ্ঞ এবং সংগ্রাম একসাথে মিশে যায়। কিন্তু সড়ক এবং বৃক্ষ আচ্ছাদনের ঘাটতি সেই স্বপ্নকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে।

যদি পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় এবং নাগরিকরা সচেতন হন, তবে ঢাকা একদিন আরও স্বাস্থ্যকর, বাসযোগ্য এবং সুন্দর শহরে পরিণত হবে।

আজই সময়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই নগর উন্নয়নের পথ তৈরি করার। সড়ক সম্প্রসারণ এবং সবুজায়ন সমান্তরালে এগোলে কেবল যানজটই কমবে না, বরং নগরজীবনের গুণগত মানও অনেক উন্নত হবে।