০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ভুলে না যাওয়ার লড়াই ড্রোন আতঙ্কে কোপেনহেগেন ও অসলো বিমানবন্দর অচল হারিসের আত্মজীবনীতে ক্ষোভ ও সম্পর্কচ্ছেদ: মিত্রদের সমর্থন না পাওয়ার আক্ষেপ উন্মোচন প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক: বিএনপির অভিযোগ, নির্বাচনী প্রেক্ষাপট রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা: চীনের অগ্রগামিতা, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ এখনো পিছিয়ে তেলের দাম কমল ইরাকের রপ্তানি বৃদ্ধি ও চাহিদা নিয়ে আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ক্রিপ্টোকারেন্সি হয়ে উঠছে মানি লন্ডারিংয়ের হাতিয়ার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা জাপানি শহরে দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করা যাবে না

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড: ভরিতে ১,৯১,১৯৬ টাকা

আবারও রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম

বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজারে আবারও নতুন রেকর্ড তৈরি হলো। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি দাম ১,৯১,১৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের দামের তুলনায় ভরি প্রতি বেড়েছে ১,৫৭৪ টাকা। সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায় এবং জানায় যে নতুন দাম মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।

অন্যান্য ক্যারেটের দাম

নতুন তালিকা অনুযায়ী—

  • ২২ ক্যারেট স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,৯১,১৯৬ টাকা
  • ২১ ক্যারেট স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,৮২,৪৯৫ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,৫৬,৪২৬ টাকা
  • ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,২৯,৭৯৭ টাকা

এছাড়া ক্রেতাদের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ মেকিং চার্জ গুনতে হবে। তবে নকশা ও মান অনুযায়ী মেকিং চার্জ ভিন্ন হতে পারে।

বাজারে প্রভাব

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বর্ণ কেনার আগ্রহ হারাচ্ছেন। বিয়ে বা উৎসবকেন্দ্রিক মৌসুমেও অনেক পরিবার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণ এখনো একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

একজন ক্রেতা বলেন, “বিয়ের জন্য গহনা কেনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ায় এখন অর্ধেক কিনতে হচ্ছে।”

বিক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা কমলেও বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে দাম সমন্বয় জরুরি। আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামার কারণে স্থানীয় বাজারেও দ্রুত প্রভাব পড়ে। একজন দোকান মালিক জানান, “আমরা নিজেরা দাম নির্ধারণ করি না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে আমাদেরও সমন্বয় করতে হয়। তবে ক্রেতা ধরে রাখতে বিভিন্ন অফার দেওয়া হচ্ছে।”

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব

স্বর্ণের দামের এমন ঊর্ধ্বগতি কেবল বাংলাদেশে নয়, বৈশ্বিক বাজারেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন, যার সরাসরি প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়ছে।

সাম্প্রতিক পরিবর্তন

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাজুস ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ১,১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১,৮৯,৩০৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানো হলো, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

শিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ভুলে না যাওয়ার লড়াই

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড: ভরিতে ১,৯১,১৯৬ টাকা

১২:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবারও রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম

বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজারে আবারও নতুন রেকর্ড তৈরি হলো। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি দাম ১,৯১,১৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের দামের তুলনায় ভরি প্রতি বেড়েছে ১,৫৭৪ টাকা। সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এ তথ্য জানায় এবং জানায় যে নতুন দাম মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।

অন্যান্য ক্যারেটের দাম

নতুন তালিকা অনুযায়ী—

  • ২২ ক্যারেট স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,৯১,১৯৬ টাকা
  • ২১ ক্যারেট স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,৮২,৪৯৫ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,৫৬,৪২৬ টাকা
  • ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণ: ভরি প্রতি ১,২৯,৭৯৭ টাকা

এছাড়া ক্রেতাদের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ মেকিং চার্জ গুনতে হবে। তবে নকশা ও মান অনুযায়ী মেকিং চার্জ ভিন্ন হতে পারে।

বাজারে প্রভাব

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধারাবাহিকভাবে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বর্ণ কেনার আগ্রহ হারাচ্ছেন। বিয়ে বা উৎসবকেন্দ্রিক মৌসুমেও অনেক পরিবার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীদের কাছে স্বর্ণ এখনো একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

একজন ক্রেতা বলেন, “বিয়ের জন্য গহনা কেনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ায় এখন অর্ধেক কিনতে হচ্ছে।”

বিক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা কমলেও বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে দাম সমন্বয় জরুরি। আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামার কারণে স্থানীয় বাজারেও দ্রুত প্রভাব পড়ে। একজন দোকান মালিক জানান, “আমরা নিজেরা দাম নির্ধারণ করি না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে আমাদেরও সমন্বয় করতে হয়। তবে ক্রেতা ধরে রাখতে বিভিন্ন অফার দেওয়া হচ্ছে।”

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব

স্বর্ণের দামের এমন ঊর্ধ্বগতি কেবল বাংলাদেশে নয়, বৈশ্বিক বাজারেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন যুদ্ধের মতো ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন, যার সরাসরি প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়ছে।

সাম্প্রতিক পরিবর্তন

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বাজুস ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ১,১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১,৮৯,৩০৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়ানো হলো, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে।