ছোট সমুদ্রতীরবর্তী শহর থেকে বৈশ্বিক শহর
মাত্র তিন দশকে দুবাই একসময়ের ছোট সমুদ্রতীরবর্তী শহর থেকে ২১ শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক শহরে পরিণত হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান এবং উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এ পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। তবুও, বিশেষজ্ঞদের মতে, দুবাইয়ের সেরা দিনগুলো এখনও সামনে রয়েছে।
ভূরাজনীতি ও বাণিজ্যে নতুন সুযোগ
বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও বাণিজ্য সুরক্ষাবাদের পরিবেশ সেই বিশ্বায়ন ধারা থেকে ভিন্ন, যা একসময় দুবাইয়ের উত্থানকে সহায়তা করেছিল। তবে এই পরিবর্তিত বাস্তবতাই দুবাইয়ের জন্য নতুন কৌশলগত সুবিধা তৈরি করছে।
বহুমুখী উন্নয়ন
দুবাইয়ের নেতৃত্ব রিয়েল এস্টেট, আর্থিক খাত, নৌপরিবহন, বিমান চলাচল ও পর্যটনকে কেন্দ্র করে বহুমুখী উন্নয়ন করেছে। এক প্রজন্মের ভেতরেই শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন, ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বহুজাতিক কোম্পানির আঞ্চলিক সদর দপ্তরের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে।
বৈশ্বিক সূচকে অগ্রগতি
Oliver Wyman Forum-এর “The Cities Shaping The Future” সূচক অনুযায়ী, এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ১,৫০০ শহরের মধ্যে দুবাই বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ৮ম স্থানে রয়েছে। এছাড়া, মানুষ ও পণ্যের চলাচল সহজ করার সক্ষমতায় বা “মোবিলিটি কানেক্টর” হিসেবে দুবাই ৪র্থ স্থানে রয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনীতির নতুন প্রবণতা
এই শক্ত ভিত্তি থেকে দুবাই দুইটি বড় প্রবণতা কাজে লাগাতে পারে:
১. বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলার পুনর্গঠন, যা এখন স্থিতিশীলতা ও টেকসই কাঠামো খুঁজছে।
২. এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যম-মানের শহরগুলোর দ্রুত উত্থান, যাদের বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের জন্য একটি পরিশীলিত কেন্দ্র প্রয়োজন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে দুবাই শীর্ষস্থানীয় এশীয় মেগাসিটিগুলোকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে। বৈশ্বিক সংযোগ, বহুমুখী খাতের উন্নয়ন এবং উদীয়মান শহরগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ার কৌশল দুবাইকে আগামী দিনের অন্যতম শক্তিশালী বৈশ্বিক নগরীতে রূপ দিতে পারে।