জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম ছোড়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা৷ তবে তারা বলছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশেরবিভিন্ন আদালত প্রাঙ্গনেযে অনেকের ওপর ডিম ও জুতা ছোড়া হয়েছে, সেগুলোও নিন্দনীয়৷
নিউইয়র্ক ও তার আগে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন আদালতে পুরুষ তো বটেই, এমনকি নারীদের ওপরও ডিম, জুতা ইত্যাদি ছোড়ার ঘটনাগুলো স্মরণ করে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন,”আপনি যে সংস্কৃতি তৈরি করবেন, তা আপনার ওপরই আবার ফিরে আসবে। এটাই নিয়ম।”
মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন,” এটা তো সংক্রামক। এখান থেকে ওখানে গেছে৷”
ছাড়া পেয়েছেন মিজানুর রহমান
আখতার হোসেনের ওপর ডিম হামলাকারী যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে নিউইয়র্ক পুলিশ অন্য একটি মামলায় আটক করলেও তিনি ইতিমধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়ছেন। এদিকে আখতারের ওপর ডিম হামলার প্রতিত্রিয়ায় সিলেটে মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়িতে ডিম হামলা চালিয়েছে কিছু লোক। ঢাকায় শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতেও কতিপয় ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ডিম ছুড়তে দেখা গেছে ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর আখতারের ওপর ডিম হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও জানিয়েছে নিন্দা ও প্রতিবাদ। এনসিপি নেতারা নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি মঙ্গলবার ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিলও করেছেন। তারা মনে করে, এই ডিম হামলার মধ্য দিয়ে আবারো আওয়ামী লীগ তার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়েছে।
অবশ্য এর আগেও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন বিদেশ সফরে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তবে ডিম হামলার ঘটনা ২০২৪ সালে গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পর বিদেশের মাটিতে এবারই প্রথম।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আখতারের ওপর ডিম হামলা হলেও তার সঙ্গে থাকা এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারার ওপর হামলা হয়নি। বরং হামলার সময় হামলাকারীদের একজনকে বলতে শোনা গেছে, ‘‘আপার উপরে মারিছ না৷” তবে ডিম না ছোড়া হলেও ডা. জারাকে তখন গালাগাল করা হয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে সুইজারল্যান্ডে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আওয়ামী লীগ কর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। আইএলওর একটি বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা হয়।লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাড়িতে বের হওয়ার সময় তার ওপর ওই হামলার প্রচেষ্টা হয়।একটি গাড়িতে ডিম ছোড়া হয় তখন৷ তবে লন্ডন দূতাবাস দাবি করেম গাড়িতে উপদেষ্টা মাহফুজ ছিলেন না।
এর আগেও একবার বিদেশে তিনি হেনস্তার শিকার হন। গত ২৫ আগস্ট নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেটের সামনে বিক্ষোভ করার সময় কনসুলেটের দরজা ভেঙে ফেলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তখন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসের সামনে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা করে। ওই ঘটনাগুলোর পর বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ছয়জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন। তারা হলেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান তারেক, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসমিন জারা।
ডিম নিক্ষেপের বাংলাদেশ পর্ব
২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল ডাকসুর তখনকার ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর এসএম হলে ডিম ছোড়ার ঘটনা বেশ আলোচনায় এসেছিল। এসএম হলে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করে নির্যাতনের খবর পেয়ে নুরসহ আরো অনেকে তাকে উদ্ধার করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন তার ওপর ডিম ছুড়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা। তবে তখন এসএম হলের ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন দাবি করেছিলেন, “ছাত্রলীগ নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েতার ওপর ডিম ছুড়েছে।” ওই ঘটনায় তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এরপর ২০২৪ সালের৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর আদালত এলাকায় ডিম হামলার বিষয়টি প্রতিদিনের ঘটনায় পরিণত হয়।শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও আদালত এলকায় ডিম ও জুতা হামলার পাশাপাশি সরাসরি শারীরীকভাবে হামলাও চালানো হয়।
২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকার আদালতে সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর ওপর পচা ডিম ছোড়া হয়।
ওই বছরের ১৪ নভেম্বর খুলনায় আদালত চত্বরে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ওপর ডিম হামলা হয়।
৩১ জানুয়ারি রংপুরে সাবেক সামাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে কারাগার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে তার ওপর ডিম ছোড়া হয়।
গত ২২ এপ্রিল ঢাকার আদালতে হাজিরার জন্য নেয়া হলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ওপর ডিম ও জুতা ছুড়ে মারা হয়।
আটক হওয়ার পর সাবেক সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী মমতাজকে গত ২২ মে মানিকগঞ্জের আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তার ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
৩ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আদালতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে হাজির করা হলে তার ওপর ডিম ছোড়া হয়।
ঢাকার আদালত এলাকায় ডিম মিছিলের রেকর্ডও আছে। ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে ডিম নিয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। ওই দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে আদালতে হাহির করা হয়। তার আগেই তাদের দিকে ছোড়ার জন্য আনা ডিম নিয়ে ওই আইনজীবীরা মিছিল করেন।
আদালত এলাকায় শুধু ডিম হামলা নয়, সরাসরি আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে।
গত ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আদালতে একটি মামলায় রিমান্ড শুনানি শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে নিয়ে যাওয়ার সময় কিল, ঘুষিও মারা হয়। ওইসময় পুলিশ আক্রমণকারীদের প্রতিরোধ না করে তাকে নিয়ে দৌড়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠে।
তবে আগেও আদালত এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ২২ জুলাই কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। ওই হামলার ঘটনার ছয় বছর পর ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়।

ডিম হামলার বিস্তার
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন,”আমি কোনোভাবেই ডিম নিক্ষেপের পক্ষে নই। যেভাবে এটা হচ্ছে, সেটা হওয়া উচিত নয়। আপনার যা বলার মুখে বলেন। কিন্তু আমাদের এখানে যখন ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রহার করা হয়েছে- ওটাকে ‘আমরা’ বলেছি মব। সরকারের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন প্রেসার গ্রুপ। এটা যদি প্রেসার হয়, কার ওপরে প্রেসার? আদালতের ওপর প্রেসার দেয়া ঠিক? ডিম, জুতা সব নিক্ষেপই তো এখানে দেখেছি। ”
“অপনি যে কালচার ক্রিয়েট করেছেন, সেই কালচারই আপনাকে এক সময় বিপর্যস্ত করবে। এটাই সারা দুনিয়ার নিয়ম। এখানে আপনি যা করেছেন, ওখানে আপনি তার শিকার হচ্ছেন। এখানে আওয়ামী লীগকে আপনি কথা বলতে দিচ্ছেন না। ওখানে আওয়ামী লীগ অস্থির ভাষায় কথা বলছে। এখানে আপনি যতটুকু গণতন্ত্র হত্যা করবেন, ওখানে ক্ষতিগ্রস্তরা আপনার ওপরে…. করবে,” বলেন তিনি৷ তার কথা, ” মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলেছিলেন, আমরা যদি চোখের বদলে চোখ নিই, তাহলে অচিরেই আমরা একটা অন্ধদের দেশে পরিণত হবো।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমানের কথা হলো,”যে-কোনো অপরাধ সব সময়ই অপরাধ। কেনেডি বিমান বন্দরে যা ঘটলো তা যেমন অপরাধ, তেমনি শেখ হাসিনার পতনের পর আদালত এলাকায় যা ঘটেছে তা-ও অপরাধ। আদালত এলাকায় তো পুলিশের উপস্থিতিতে ডিম, জুতা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারা তো পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। তারপরও শিকার হয়েছেন। আমি এটা আগেও বলেছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিল, কারা করেছে তা সবাই দেখেছে, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া যেতো।”
বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত প্রাঙ্গনের পর এবার নিউইয়র্কেও ডিম ছোড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, “কেনো খারাপ কাজকে সবার নিন্দা করা উচিত, যার দ্বারাই হোক না কেন। যে-কোনো অন্যায়ই অন্যায়, সেটা নিউইয়র্কে হোক আর বাংলাদেশে হোক। বাংলাদেশের আদালত পাড়ায় যখন বন্দিকে হাজির করা হয় তখন ডিম ছোড়ে, এটা তো সংক্রামক, সংক্রামিত হয়ে যায়। এটা যে দেশ থেকে দেশান্তরে সংক্রামিত হয়ে যায় তার প্রমাণ এখন যা ঘটছে।”
আর সমাজ বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার বলেন,” রাজনৈতিক প্রতিবাদ দেশের বাইরে আমরা আগেও দেখেছি। তবে এবার (দেশের বাইরে) যেটা নতুন, সেটা হলো, ডিম ছোড়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয় এটা আমরা গ্রহণ করেছি। কারণ এর আগে আমাদের দেশের বিভিন্ন আদালতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং এটা থেকেই ওইখানে একই ঘটনা ঘটেছে। এইগুলো আমাদের এখানে যেহেতু ‘কাস্টমে’ পরিণত হয়েছে, তাই ওখানে নিশ্চয়ই ব্যত্যয় ঘটবে না। আমাদের এখানে তো আদালতে নারীদের ওপরও ডিম ছোড়া হয়েছে। তবে আশার কথা হলো, এখনো দেশের বাইরে সেটা হয়নি।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”সরকার নিউইয়র্কের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়ে ঠিকই করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের আদালত পাড়ার অব্যাহত ঘটনায় নিন্দা প্রতিবাদ জানায়নি, ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ সরকার মনে করেছে এগুলো ঠিক আছে।”
রোখসানা খন্দকার আরো বলেন ,” তবে আরো একটি আশঙ্কার দিক হলো খালি ডিম ছোড়া হয় না। অশ্লীল গালাগালও করা হয়। সেটা এখানে যেমন হচ্ছে, দেশের বাইরেও হচ্ছে। আসলে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটা ঢুকে পড়ছে।” তার কথা,” সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সভা-সমাবেশে অশ্লীল কথা বলা হয়। আগে এটা প্রকাশ্যে ছিল না।”
মাসুদ কামাল বলেন,” এমন এমন সব অশ্লীল কথা বলা হয় যা মুখে আনা যায় না। কেউ কেউ এটাকেই আবার প্রতিবাদের ভাষা বলছেন। কিছু ইউটিউবার আছেন, তাদের কথাই তাদের সেন্সর করে ছাড়তে হয়। তারাই আবার এই সরকারের গুডবুকে আছেন।”

“আসলে এর মধ্য দিয়ে এই নেতিবাচক ভাষাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমরা কোন দিকে যাচ্ছি জানি না। প্রতিবাদের নামে অশ্লীলতার চর্চা হচ্ছে,” বলেন তিনি।
আর জাহেদ উর রহমান মনে করেন,” আসলে দীর্ঘদিন অপ্রেশনে থাকার পর এখন ক্ষোভের ভাষা, প্রতিবাদের ভাষায় একটা পরিবর্তন এসেছে। অগ্রহণযোগ্য ভাষার ব্যবহার বেড়েছে। হয়তো আমাদের আরো কিছুদিন এটা দেখতে হবে।”
‘নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল’
সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী নিউইয়র্কের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,” এর আগেও তো প্রতিবাদ হয়েছে বিদেশে। সরকারের একাধিক উপদেষ্টা প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন। হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এবার ডিম ছুড়ে মারা হয়েছে। আসলে সরকারের আগেই এটা চিন্তা করা উচিত ছিল। আমার মনে হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না। আমাদের দূতাবাস সেটা করতে পারতো ওখানে তো ভাড়ায় নিরাপত্তা পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা যেতো। সেটা করলে এই অপ্রীতিকর অবস্থা এড়ানো যেতো।”
“আর যুক্তরাষ্ট্রে ডিম ছোড়াকে তেমন কোনো অপরাধ হিসাবে দেখা হয় না। ওটা প্রতিবাদের ভাষা। ডিম ছোড়া, ময়দার দলা ছুড়ে মারা, মাথায় দুধ ঢেলে দেয়া – এগুলো প্রতিবাদ হিসাবে দেখা হয়। কারণ এতে কোনো শারীরিক ক্ষতি হয় না। আমাদের এখানেও তো এটা হয়েছে। তারপরও হয়তো এটা মান হানিকর। তাই সরকার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। ওখানকার পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছে।”
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















