১১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
হামাসের গুলিতে দুই সেনা নিহতের ঘটনায় গাজায় তীব্র বিমান ও ট্যাংক হামলা—সহায়তা স্থগিত, যুদ্ধবিরতি ভাঙার অভিযোগে নতুন উত্তেজনা স্কুলে সহিংসতা রোধে বেত্রাঘাত পুনরুজ্জীবনের ভাবনা — মালয়েশিয়ায় বিতর্ক অনবোর্ডিংয়ের প্রথম দিনেই লন্ডনের রাস্তাঘাট, অফিস কফি আর চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কেরালায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি, নদীর পানি উপচে পড়ায় শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন হামলা নিয়ে বিতর্ক প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ফিলিপাইন, হাজারো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ইরান–রাশিয়া চুক্তি কৌশলগত সহযোগিতার নতুন আইনি ভিত্তি স্থাপন করেছে রাশিয়া–ইরান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে অর্থনৈতিক গভীরতার ওপর থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় চাকরির প্রতিশ্রুতিতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা শ্রমিকদের গ্রেপ্তার থাইল্যান্ডে ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া দমন অভিযানে বড় অগ্রগতি

পাকিস্তানের পারমাণবিক ছাতা

পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্কের নতুন মোড়

বহু বছর ধরে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি চলছিল। সৌদি আরবের ছিল বিপুল অর্থ, কিন্তু সামরিক শক্তি কম। অন্যদিকে পাকিস্তান অর্থকষ্টে ভুগলেও সামরিকভাবে সমৃদ্ধ ছিল। এই ভারসাম্যের মধ্যে সৌদি আরব পাকিস্তানকে অর্থ জুগিয়েছে, আর পাকিস্তান সৌদিদের দিয়েছে সেনা, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা।

এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেল ১৭ সেপ্টেম্বর, যখন দুই দেশ ঘোষণা করল—”যে কোনো এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন মানে হবে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।” এর ফলে সৌদি আরবকে রক্ষায় পাকিস্তানের প্রায় ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও তৈরি হলো। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ প্রথমে এ ইঙ্গিত দিলেও পরে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে সৌদি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই এটিকে পারমাণবিক ছাতা হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। এটি হবে প্রথমবার যখন পরমাণু অস্ত্রধারী কোনো দেশ, যারা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর স্বীকৃত পাঁচ শক্তির বাইরে, অন্য রাষ্ট্রকে এভাবে প্রতিরক্ষা দেবে।

দীর্ঘ সহযোগিতার ইতিহাস

১৯৬০-এর দশকেই পাকিস্তানি সেনারা ইয়েমেন সংকটকালে সৌদি সীমান্তে মোতায়েন হয়েছিল। এখনো প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা সৌদি আরবে আছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৯৮ সালে ভারত পারমাণবিক পরীক্ষা করলে পাকিস্তানকেও পাল্টা পরীক্ষা চালাতে সহায়তা দিতে সৌদি আরব প্রতিদিন ৫০ হাজার ব্যারেল বিনা মূল্যে তেল সরবরাহ করেছিল। এক বছর পর সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স সুলতান পাকিস্তানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি পরিদর্শন করেছিলেন।

আর্থিক সহায়তা ও গোপন সন্দেহ

পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির ইতিহাস লিখেছেন সাবেক কর্মকর্তা ফেরোজ হাসান খান। তার মতে সৌদিরা পাকিস্তানকে অর্থ দিলেও সরাসরি কোনো পারমাণবিক সহযোগিতা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দারা বরাবরই সন্দেহ করেছেন, সৌদিরা “আগেই বোমার দাম মিটিয়ে ফেলেছে।” ২০১৩ সালে ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান অ্যামোস ইয়াদলিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায়, সৌদিরা পাকিস্তানের দ্বারস্থ হবে।

নতুন চুক্তির পেছনের প্রেক্ষাপট

সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা এ চুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল হামাস নেতাদের বৈঠকে কাতারের দোহায় বিমান হামলা চালায়। এর কয়েক মাস আগেই ইরান আমেরিকার বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ ধরনের হামলার আতঙ্ক থেকেই সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষার পথে হাঁটছে। সৌদি দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ চুক্তি ইরানসহ আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কৌশল পাল্টাতে বাধ্য করতে পারে।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রাপ্তি

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য এ চুক্তি নতুন অর্থ সহায়তা বয়ে আনতে পারে। কয়েক মাস আগে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর কাছ থেকে বেইলআউট নিয়েছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ২৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং খাদ্য উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি সাহায্য পাকিস্তানের জন্য বড় সহায়তা হবে।

ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কূটনৈতিক বার্তা

এ চুক্তি ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলো ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, মোদি তিনবার সৌদি সফর করেছেন এবং ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে। কিন্তু নতুন চুক্তি পাকিস্তানকে আঞ্চলিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, বরং সমর্থিত হিসেবে তুলে ধরছে। সৌদি কর্মকর্তাদের বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কেও এটির প্রভাব পড়তে পারে।

সামরিক নেতৃত্বের প্রভাব

চুক্তির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ও ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। নির্বাচিত সরকার থাকলেও পাকিস্তানে বাস্তব সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনী। মুনিরকে অনেকে ১৯৯৯-২০০৭ সময়কালের সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের পর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা নেতা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাকে গুরুত্ব দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, বিশেষত যখন আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক শুল্ক ও কূটনৈতিক উত্তেজনায় টানাপড়েনে ছিল।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

পাকিস্তান আগে NPT স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করায় আমেরিকার সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন টানাপড়েন চলেছে। কিন্তু এবার যদি পাকিস্তান তার পরমাণু শক্তিকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, তবে সেটি হবে এক ঐতিহাসিক মোড়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশও এ ধরনের চুক্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হামাসের গুলিতে দুই সেনা নিহতের ঘটনায় গাজায় তীব্র বিমান ও ট্যাংক হামলা—সহায়তা স্থগিত, যুদ্ধবিরতি ভাঙার অভিযোগে নতুন উত্তেজনা

পাকিস্তানের পারমাণবিক ছাতা

১১:২৪:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্কের নতুন মোড়

বহু বছর ধরে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি চলছিল। সৌদি আরবের ছিল বিপুল অর্থ, কিন্তু সামরিক শক্তি কম। অন্যদিকে পাকিস্তান অর্থকষ্টে ভুগলেও সামরিকভাবে সমৃদ্ধ ছিল। এই ভারসাম্যের মধ্যে সৌদি আরব পাকিস্তানকে অর্থ জুগিয়েছে, আর পাকিস্তান সৌদিদের দিয়েছে সেনা, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা।

এই সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেল ১৭ সেপ্টেম্বর, যখন দুই দেশ ঘোষণা করল—”যে কোনো এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন মানে হবে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।” এর ফলে সৌদি আরবকে রক্ষায় পাকিস্তানের প্রায় ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও তৈরি হলো। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ প্রথমে এ ইঙ্গিত দিলেও পরে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে সৌদি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই এটিকে পারমাণবিক ছাতা হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন। এটি হবে প্রথমবার যখন পরমাণু অস্ত্রধারী কোনো দেশ, যারা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর স্বীকৃত পাঁচ শক্তির বাইরে, অন্য রাষ্ট্রকে এভাবে প্রতিরক্ষা দেবে।

দীর্ঘ সহযোগিতার ইতিহাস

১৯৬০-এর দশকেই পাকিস্তানি সেনারা ইয়েমেন সংকটকালে সৌদি সীমান্তে মোতায়েন হয়েছিল। এখনো প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা সৌদি আরবে আছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৯৮ সালে ভারত পারমাণবিক পরীক্ষা করলে পাকিস্তানকেও পাল্টা পরীক্ষা চালাতে সহায়তা দিতে সৌদি আরব প্রতিদিন ৫০ হাজার ব্যারেল বিনা মূল্যে তেল সরবরাহ করেছিল। এক বছর পর সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স সুলতান পাকিস্তানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি পরিদর্শন করেছিলেন।

আর্থিক সহায়তা ও গোপন সন্দেহ

পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির ইতিহাস লিখেছেন সাবেক কর্মকর্তা ফেরোজ হাসান খান। তার মতে সৌদিরা পাকিস্তানকে অর্থ দিলেও সরাসরি কোনো পারমাণবিক সহযোগিতা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দারা বরাবরই সন্দেহ করেছেন, সৌদিরা “আগেই বোমার দাম মিটিয়ে ফেলেছে।” ২০১৩ সালে ইসরায়েলের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান অ্যামোস ইয়াদলিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র পায়, সৌদিরা পাকিস্তানের দ্বারস্থ হবে।

নতুন চুক্তির পেছনের প্রেক্ষাপট

সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা এ চুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল হামাস নেতাদের বৈঠকে কাতারের দোহায় বিমান হামলা চালায়। এর কয়েক মাস আগেই ইরান আমেরিকার বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এ ধরনের হামলার আতঙ্ক থেকেই সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষার পথে হাঁটছে। সৌদি দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ চুক্তি ইরানসহ আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের কৌশল পাল্টাতে বাধ্য করতে পারে।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রাপ্তি

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের জন্য এ চুক্তি নতুন অর্থ সহায়তা বয়ে আনতে পারে। কয়েক মাস আগে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর কাছ থেকে বেইলআউট নিয়েছিল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ২৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং খাদ্য উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি সাহায্য পাকিস্তানের জন্য বড় সহায়তা হবে।

ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কূটনৈতিক বার্তা

এ চুক্তি ভারতকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলো ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, মোদি তিনবার সৌদি সফর করেছেন এবং ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে। কিন্তু নতুন চুক্তি পাকিস্তানকে আঞ্চলিকভাবে বিচ্ছিন্ন নয়, বরং সমর্থিত হিসেবে তুলে ধরছে। সৌদি কর্মকর্তাদের বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কেও এটির প্রভাব পড়তে পারে।

সামরিক নেতৃত্বের প্রভাব

চুক্তির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ও ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। নির্বাচিত সরকার থাকলেও পাকিস্তানে বাস্তব সিদ্ধান্ত নেয় সেনাবাহিনী। মুনিরকে অনেকে ১৯৯৯-২০০৭ সময়কালের সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের পর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা নেতা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাকে গুরুত্ব দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, বিশেষত যখন আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক শুল্ক ও কূটনৈতিক উত্তেজনায় টানাপড়েনে ছিল।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

পাকিস্তান আগে NPT স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করায় আমেরিকার সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন টানাপড়েন চলেছে। কিন্তু এবার যদি পাকিস্তান তার পরমাণু শক্তিকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, তবে সেটি হবে এক ঐতিহাসিক মোড়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশও এ ধরনের চুক্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।