নতুন শুল্কের ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এক নতুন দফা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্র্যান্ডেড ওষুধে ১০০ শতাংশ, ভারী ট্রাক আমদানিতে ২৫ শতাংশ, রান্নাঘরের আলমারি ও বাথরুম ভ্যানিটিতে ৫০ শতাংশ এবং গদি-আসবাবে ৩০ শতাংশ শুল্ক। এসব নতুন শুল্ক আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
বাণিজ্য চুক্তির সীমা
যুক্তরাষ্ট্রের জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিগুলোতে কিছু পণ্যের শুল্ক-সীমা নির্ধারিত আছে। এর মধ্যে গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধ অন্তর্ভুক্ত। ফলে জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তিতে ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক চুক্তির সীমার বাইরে যাওয়ার কথা নয়।
ইইউ-এর সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রকে গাড়ি, যন্ত্রাংশ, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। জাপানের সঙ্গেও একই ধরনের শর্ত বহাল রয়েছে।
চীনা রপ্তানির ওপর প্রভাব
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পারস্পরিক পণ্যে শুল্ক না-বাড়ানোর একটি সমঝোতা করে, যা নভেম্বর ১০ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বর্তমানে চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৩০ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে চীনের শুল্ক ১০ শতাংশ। তবে ট্রাম্পের ঘোষিত নতুন শুল্ক এগুলোর অতিরিক্ত হবে, নাকি আলাদাভাবে আরোপিত হবে—তা এখনো পরিষ্কার নয়।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৫.৫ বিলিয়ন ডলারের আসবাব-পত্র আমদানি হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ এসেছিল ভিয়েতনাম ও চীন থেকে।
আইনি জটিলতা ও সুপ্রিম কোর্ট
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে আইনি ভিত্তি আরও মজবুত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক নীতির বৈধতা নিয়ে একটি মামলা বিচারাধীন।
সুপ্রিম কোর্ট ৯ই সেপ্টেম্বর মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং ৫ নভেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে। এটি ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির অন্যতম বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।