আধুনিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা
দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহার সময় বাজারে প্রায় ৮০ হাজার পশু প্রবেশ করতে পারে। এ পরিস্থিতি সামলাতে চারটি সরকারি জবাইখানায় (আল গুসাইস, আল কুওজ, আল লিসাইলি ও হাট্টা) আধুনিক প্রযুক্তি, জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা, অভিজ্ঞ পশুচিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত কসাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এখানে কোরবানির পশু জবাই হবে দ্রুত ও সুরক্ষিতভাবে। প্রতিটি পশুর জবাইয়ের আগে ও পরে বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। উন্নত জীবাণুনাশক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে মাংসের সুরক্ষা।
স্মার্ট অ্যাপের সুবিধা
নাগরিকদের জন্য দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে, যেখানে সহজেই কোরবানির পশু বুকিং, অর্থ পরিশোধ ও মাংস গ্রহণ করা যাবে। এর ফলে বাজার বা জবাইখানায় না গিয়েও মানুষ কোরবানির মাংস পেতে পারবেন।
প্রশিক্ষিত কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ যানবাহনে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেবেন।
সময়সূচি ও নিয়ন্ত্রণ
ঈদের দিনগুলোতে সব জবাইখানা সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বিশেষ টিম নিয়োজিত থাকবে পশুর মান যাচাই, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। বিশেষ করে আরাফাত দিবস ও ঈদের মূল দিনগুলোতে এই নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।
অননুমোদিত জবাই থেকে সতর্কতা
দুবাই মিউনিসিপ্যালিটি আবারও সবাইকে সতর্ক করেছে যে, সরকারি অনুমোদিত জবাইখানার বাইরে পশু জবাই করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ক্ষতি হতে পারে। তাই জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে স্মার্ট সার্ভিস ও অনুমোদিত জবাইখানার মাধ্যমে কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।