০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৯৭) দুবাইয়ে ১৫ কেজি স্বর্ণ আত্মসাত: দুই অংশীদারকে ক্ষতিপূরণের রায় টাকা সাফল্যের নিশ্চয়তা নয়, তবে সুযোগের দুয়ার খুলে দেয় সৌরশক্তিনির্ভর কৃষি পাকিস্তানকে জলসংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রিন্স উইলিয়াম ঘোষণা দিলেন: রাজা হলে রাজতন্ত্রে আসবে বড় পরিবর্তন ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে নতুন অধ্যায় — কৃষিপণ্য ও ওষুধে বাড়ছে রপ্তানি-আমদানির পরিকল্পনা মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৪৯) যুক্তরাজ্যে ইয়ম কিপুর হামলায় কাঁপন: নিহত ২, দেশজুড়ে ইহুদি উপাসনালয়ে কঠোর নিরাপত্তা বিন্দি আর্ভিনের হৃদস্পন্দন আমাদের সুন্দর গ্রহকে রক্ষার জন্য ইসলামাবাদ প্রেসক্লাবে পুলিশের অভিযান

দুবাইয়ে ১৫ কেজি স্বর্ণ আত্মসাত: দুই অংশীদারকে ক্ষতিপূরণের রায়

সারসংক্ষেপ

দুবাইয়ের একটি স্বর্ণ কোম্পানি থেকে ১৫ কেজি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় একজন এশীয় নাগরিককে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর, দেওয়ানি আদালত তার দুই সাবেক অংশীদারকে মোট ৩.১৫ মিলিয়ন দিরহাম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। রায়ে বিলম্ব সুদ হিসেবে বছরে ৫ শতাংশ হারে সুদ, আদালত ফি ও আইনজীবী ব্যয়ও যুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনার পটভূমি

২০২৪ সালের শুরুর দিকে দুই অংশীদার অভিযোগ করেন যে তাদের কোম্পানির তত্ত্বাবধানে থাকা প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন দিরহাম মূল্যের ১৫ কেজি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ওই সহযোগী আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, বিশ্বাসভঙ্গ ও আত্মসাতের মাধ্যমে তিনি কোম্পানির সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে সরিয়ে নেন, ফলে অংশীদাররা সরাসরি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

ফৌজদারি মামলা ও চূড়ান্ত রায়

প্রসিকিউশন বিশ্বাসভঙ্গ ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি আদালতে তোলে। ট্রায়াল কোর্ট আসামিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড, আত্মসাৎকৃত স্বর্ণের সমমূল্যের অর্থদণ্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশান্তরের সাজা দেয়। পরবর্তী ধাপে আপিল কোর্ট ও কোর্ট অব কাসেশন একই রায় বহাল রাখায় এটি চূড়ান্ত হয়।

How a Dubai resident lost Dh700,000 in a gold mining scam | The National

দেওয়ানি ক্ষতিপূরণের আবেদন

ফৌজদারি রায়ের পর দুই অংশীদার দেওয়ানি আদালতে ৪.৫ মিলিয়ন দিরহাম ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তাদের যুক্তি ছিল—স্বর্ণ হারানোর সরাসরি ক্ষতির সঙ্গে সম্ভাব্য বিনিয়োগ-লাভ হারানো, পাশাপাশি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের খরচ এবং সুনামহানিও হয়েছে।

দেওয়ানি আদালতের রায়

দেওয়ানি আদালত মত দেয় যে চূড়ান্ত ফৌজদারি রায় আসামির আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; ফলে আর্থিক ক্ষতি ও সুনামহানির দাবিও প্রমাণিত। আদালত দুই অংশীদারের পক্ষে ৩.১৫ মিলিয়ন দিরহাম ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করে। সঙ্গে রায়ের তারিখ থেকে পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বছরে ৫ শতাংশ হারে সুদ, আদালত ফি এবং আইনি খরচও আদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মূল বার্তা

এই মামলাটি দেখায় যে কোনো বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বে বিশ্বাসভঙ্গ ও সম্পদ আত্মসাত প্রমাণিত হলে, ফৌজদারি শাস্তির পাশাপাশি দেওয়ানি ক্ষতিপূরণও কঠোরভাবে আরোপ করা হয়। এতে সরাসরি ক্ষতির সঙ্গে সম্ভাব্য আয়হানি ও সুনামহানিও আদালত বিবেচনায় নেয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২৯৭)

দুবাইয়ে ১৫ কেজি স্বর্ণ আত্মসাত: দুই অংশীদারকে ক্ষতিপূরণের রায়

০২:০০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

সারসংক্ষেপ

দুবাইয়ের একটি স্বর্ণ কোম্পানি থেকে ১৫ কেজি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ আত্মসাতের ঘটনায় একজন এশীয় নাগরিককে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার পর, দেওয়ানি আদালত তার দুই সাবেক অংশীদারকে মোট ৩.১৫ মিলিয়ন দিরহাম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। রায়ে বিলম্ব সুদ হিসেবে বছরে ৫ শতাংশ হারে সুদ, আদালত ফি ও আইনজীবী ব্যয়ও যুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনার পটভূমি

২০২৪ সালের শুরুর দিকে দুই অংশীদার অভিযোগ করেন যে তাদের কোম্পানির তত্ত্বাবধানে থাকা প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন দিরহাম মূল্যের ১৫ কেজি ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ওই সহযোগী আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, বিশ্বাসভঙ্গ ও আত্মসাতের মাধ্যমে তিনি কোম্পানির সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে সরিয়ে নেন, ফলে অংশীদাররা সরাসরি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।

ফৌজদারি মামলা ও চূড়ান্ত রায়

প্রসিকিউশন বিশ্বাসভঙ্গ ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি আদালতে তোলে। ট্রায়াল কোর্ট আসামিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড, আত্মসাৎকৃত স্বর্ণের সমমূল্যের অর্থদণ্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশান্তরের সাজা দেয়। পরবর্তী ধাপে আপিল কোর্ট ও কোর্ট অব কাসেশন একই রায় বহাল রাখায় এটি চূড়ান্ত হয়।

How a Dubai resident lost Dh700,000 in a gold mining scam | The National

দেওয়ানি ক্ষতিপূরণের আবেদন

ফৌজদারি রায়ের পর দুই অংশীদার দেওয়ানি আদালতে ৪.৫ মিলিয়ন দিরহাম ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তাদের যুক্তি ছিল—স্বর্ণ হারানোর সরাসরি ক্ষতির সঙ্গে সম্ভাব্য বিনিয়োগ-লাভ হারানো, পাশাপাশি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের খরচ এবং সুনামহানিও হয়েছে।

দেওয়ানি আদালতের রায়

দেওয়ানি আদালত মত দেয় যে চূড়ান্ত ফৌজদারি রায় আসামির আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; ফলে আর্থিক ক্ষতি ও সুনামহানির দাবিও প্রমাণিত। আদালত দুই অংশীদারের পক্ষে ৩.১৫ মিলিয়ন দিরহাম ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করে। সঙ্গে রায়ের তারিখ থেকে পূর্ণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত বছরে ৫ শতাংশ হারে সুদ, আদালত ফি এবং আইনি খরচও আদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মূল বার্তা

এই মামলাটি দেখায় যে কোনো বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বে বিশ্বাসভঙ্গ ও সম্পদ আত্মসাত প্রমাণিত হলে, ফৌজদারি শাস্তির পাশাপাশি দেওয়ানি ক্ষতিপূরণও কঠোরভাবে আরোপ করা হয়। এতে সরাসরি ক্ষতির সঙ্গে সম্ভাব্য আয়হানি ও সুনামহানিও আদালত বিবেচনায় নেয়।