০৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা তীব্রতর: হংকং কনসুল জেনারেলকে ঘিরে নতুন দ্বন্দ্ব

  • • সম্প্রতি হংকং-এ নিযুক্ত নতুন যুক্তরাষ্ট্রের কনসুল জেনারেল জুলি ইদাহ-কে চীনের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক কুই জিয়ানচুন একটি ঘোষণা পাঠান, যাতে তিনি হংকংয়ের কার্যক্রমে “হস্তক্ষেপ” না করার নিন্দা জানান।
  • • কুই তার অফিসের ওয়েবসাইটে যে বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন, তাতে ইদাহকে “আদর্শ কূটনৈতিক আচরণ” মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় এবং ‘চারটি না’ নীতিমালা তুলে ধরা হয়:
    1. যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কনসুল সাধারণত যোগাযোগ করবে না, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না
    2. চীনবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করবেন না
    3. হংকংয়ের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কার্যকলাপে সহায়তা, উৎসাহ বা অর্থস্বরূপ অংশগ্রহণ করবেন না
    4. হংকং-এ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না

The State Department Reform Commission: A Once in A Generation Opportunity to Reform American Diplomacy

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

  • • যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা বিশ্বজুড়ে আমেরিকার স্বার্থ প্রচারে নিয়োজিত থাকেন, এবং এটি তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব — এমনকি হংকং-এ থাকলেও।
  • • সংক্ষেপে, যুক্তরাষ্ট্র জানায় তারা বিদেশে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে, এবং এ ধরনের হুঁশিয়ারি তাদের কার্যক্রমকে দমন করতে পারবে না।

অতীত কাণ্ড ও গুরুত্ব

  • • ইদাহ নতুন পদে আসার আগে, ২০১৯ সালে তিনি হংকং-এর বিক্ষোভ-নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে চীনা কর্তৃপক্ষের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ওই সময় একটি সংবাদপত্র তার হোটেলের লবিতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের ছবি প্রকাশ করে।
  • • যুক্তরাষ্ট্র তখন চীনের পদক্ষেপকে “দমনমূলক শাসন” হিসেবে অভিহিত করেছিল এবং ছবি ও তথ্য ফাঁসের জন্য চীনকে কঠোরভাবে নিন্দা জানায়।
  • • এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত আসে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন একটি বড় বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছিল এবং মাসের শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল।

China sanctions two US defence firms for selling Taiwan weapons | Reuters

বিশ্লেষণ ও নির্দেশনা

  • • এই উত্তেজনায় স্পষ্ট যে, হংকং চীনের জন্য কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
  • • যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা শুধু বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বেই সীমাবদ্ধ নয় — এতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপাদানও যুক্ত হয়েছে।
  • • চীনের “চারটি না” নীতিমালা ইদাহকে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত রাখার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
  • • কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট: তারা তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে — ফলে হংকংকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তীব্র হতে পারে।

সামগ্রিক মূল্যায়ন

  • • চীনের পক্ষ থেকে দেওয়া এই হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি প্রচেষ্টা।
  • • যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দৃঢ় সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
  • • এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে হংকং, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন মোড়ে নিয়ে যেতে পারে।
জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা তীব্রতর: হংকং কনসুল জেনারেলকে ঘিরে নতুন দ্বন্দ্ব

০৪:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • • সম্প্রতি হংকং-এ নিযুক্ত নতুন যুক্তরাষ্ট্রের কনসুল জেনারেল জুলি ইদাহ-কে চীনের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক কুই জিয়ানচুন একটি ঘোষণা পাঠান, যাতে তিনি হংকংয়ের কার্যক্রমে “হস্তক্ষেপ” না করার নিন্দা জানান।
  • • কুই তার অফিসের ওয়েবসাইটে যে বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন, তাতে ইদাহকে “আদর্শ কূটনৈতিক আচরণ” মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় এবং ‘চারটি না’ নীতিমালা তুলে ধরা হয়:
    1. যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কনসুল সাধারণত যোগাযোগ করবে না, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না
    2. চীনবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করবেন না
    3. হংকংয়ের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কার্যকলাপে সহায়তা, উৎসাহ বা অর্থস্বরূপ অংশগ্রহণ করবেন না
    4. হংকং-এ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না

The State Department Reform Commission: A Once in A Generation Opportunity to Reform American Diplomacy

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

  • • যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা বিশ্বজুড়ে আমেরিকার স্বার্থ প্রচারে নিয়োজিত থাকেন, এবং এটি তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব — এমনকি হংকং-এ থাকলেও।
  • • সংক্ষেপে, যুক্তরাষ্ট্র জানায় তারা বিদেশে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে, এবং এ ধরনের হুঁশিয়ারি তাদের কার্যক্রমকে দমন করতে পারবে না।

অতীত কাণ্ড ও গুরুত্ব

  • • ইদাহ নতুন পদে আসার আগে, ২০১৯ সালে তিনি হংকং-এর বিক্ষোভ-নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে চীনা কর্তৃপক্ষের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ওই সময় একটি সংবাদপত্র তার হোটেলের লবিতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের ছবি প্রকাশ করে।
  • • যুক্তরাষ্ট্র তখন চীনের পদক্ষেপকে “দমনমূলক শাসন” হিসেবে অভিহিত করেছিল এবং ছবি ও তথ্য ফাঁসের জন্য চীনকে কঠোরভাবে নিন্দা জানায়।
  • • এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত আসে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন একটি বড় বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছিল এবং মাসের শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল।

China sanctions two US defence firms for selling Taiwan weapons | Reuters

বিশ্লেষণ ও নির্দেশনা

  • • এই উত্তেজনায় স্পষ্ট যে, হংকং চীনের জন্য কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
  • • যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা শুধু বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বেই সীমাবদ্ধ নয় — এতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপাদানও যুক্ত হয়েছে।
  • • চীনের “চারটি না” নীতিমালা ইদাহকে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত রাখার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
  • • কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট: তারা তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে — ফলে হংকংকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তীব্র হতে পারে।

সামগ্রিক মূল্যায়ন

  • • চীনের পক্ষ থেকে দেওয়া এই হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি প্রচেষ্টা।
  • • যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দৃঢ় সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
  • • এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে হংকং, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন মোড়ে নিয়ে যেতে পারে।