- • সম্প্রতি হংকং-এ নিযুক্ত নতুন যুক্তরাষ্ট্রের কনসুল জেনারেল জুলি ইদাহ-কে চীনের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক কুই জিয়ানচুন একটি ঘোষণা পাঠান, যাতে তিনি হংকংয়ের কার্যক্রমে “হস্তক্ষেপ” না করার নিন্দা জানান।
- • কুই তার অফিসের ওয়েবসাইটে যে বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন, তাতে ইদাহকে “আদর্শ কূটনৈতিক আচরণ” মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় এবং ‘চারটি না’ নীতিমালা তুলে ধরা হয়:
- যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কনসুল সাধারণত যোগাযোগ করবে না, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না
- চীনবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করবেন না
- হংকংয়ের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কার্যকলাপে সহায়তা, উৎসাহ বা অর্থস্বরূপ অংশগ্রহণ করবেন না
- হংকং-এ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
- • যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা বিশ্বজুড়ে আমেরিকার স্বার্থ প্রচারে নিয়োজিত থাকেন, এবং এটি তাদের স্বাভাবিক দায়িত্ব — এমনকি হংকং-এ থাকলেও।
- • সংক্ষেপে, যুক্তরাষ্ট্র জানায় তারা বিদেশে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে, এবং এ ধরনের হুঁশিয়ারি তাদের কার্যক্রমকে দমন করতে পারবে না।
অতীত কাণ্ড ও গুরুত্ব
- • ইদাহ নতুন পদে আসার আগে, ২০১৯ সালে তিনি হংকং-এর বিক্ষোভ-নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে চীনা কর্তৃপক্ষের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ওই সময় একটি সংবাদপত্র তার হোটেলের লবিতে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের ছবি প্রকাশ করে।
- • যুক্তরাষ্ট্র তখন চীনের পদক্ষেপকে “দমনমূলক শাসন” হিসেবে অভিহিত করেছিল এবং ছবি ও তথ্য ফাঁসের জন্য চীনকে কঠোরভাবে নিন্দা জানায়।
- • এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত আসে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন একটি বড় বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছিল এবং মাসের শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা ছিল।
বিশ্লেষণ ও নির্দেশনা
- • এই উত্তেজনায় স্পষ্ট যে, হংকং চীনের জন্য কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
- • যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা শুধু বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বেই সীমাবদ্ধ নয় — এতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপাদানও যুক্ত হয়েছে।
- • চীনের “চারটি না” নীতিমালা ইদাহকে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত রাখার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
- • কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট: তারা তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে — ফলে হংকংকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তীব্র হতে পারে।
সামগ্রিক মূল্যায়ন
- • চীনের পক্ষ থেকে দেওয়া এই হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি প্রচেষ্টা।
- • যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দৃঢ় সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
- • এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে হংকং, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে নতুন মোড়ে নিয়ে যেতে পারে।