অভিজ্ঞ জেনারেলের প্রত্যাবর্তন
অবসরপ্রাপ্ত চার তারকা জেনারেল ও অভিজ্ঞ যুদ্ধবিমান চালক কেনেথ উইলসব্যাককে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩০ সেপ্টেম্বর বিমানবাহিনীর তরফে এ ঘোষণা আসে। এই নিয়োগের মাধ্যমে ট্রাম্প আবারও অভিজ্ঞ সামরিক নেতৃত্বকে সক্রিয় দায়িত্বে ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় পুনরাগমন
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয়বারের মতো কোনো অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলকে দায়িত্বে ফেরানোর ঘটনা। এর আগে জেনারেল ড্যান কেইন, যিনি বর্তমানে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান, তাকেও অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
তবে উইলসব্যাকের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরানো লাগছে না, কারণ তিনি এখনও প্রি-রিটায়ারমেন্ট ছুটিতে আছেন।
দীর্ঘ সামরিক অভিজ্ঞতা ও কৌশলগত ভূমিকা
উইলসব্যাক এফ-১৫, এফ-১৬ এবং এফ-২২ যুদ্ধবিমান চালনায় বিশেষভাবে অভিজ্ঞ। তিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন বিমানবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত আইএসআইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় করেন।
অলভিনের পদত্যাগ ও অভ্যন্তরীণ সংকট
উইলসব্যাক বর্তমান বিমানবাহিনী প্রধান জেনারেল ডেভিড অলভিনের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যদি সেনেট অনুমোদন দেয়। অলভিন আগস্টে আকস্মিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন—তার চার বছরের মেয়াদের মাত্র দুই বছর পার হওয়ার পর। ধারণা করা হচ্ছে, বাহিনীর পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
মনোনয়ন প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা
বিমানবাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্র ও স্ট্র্যাটেজিক বোমারু ইউনিটের প্রধান জেনারেল থমাস বুসিয়েরও প্রধান পদটির সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। তবে গ্রীষ্মে ট্রাম্প তাঁকে উপপ্রধান হিসেবে মনোনয়ন দেন, যা আগস্টে প্রত্যাহার করা হয়। পরে ১ অক্টোবর তিনি অবসর নেন।
শৃঙ্খলা ও নীতিমালায় কঠোর অবস্থান
২০২৪ সালের শেষভাগে, উইলসব্যাক দাড়ি রাখার ছাড়পত্র ও পোশাকবিধি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। যদিও এই নীতি আগের প্রশাসনের সময় শুরু হয়েছিল, বর্তমান প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের নীতির সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে জানা গেছে।
দায়িত্ব পেলে প্রতিশ্রুতি
এক বিবৃতিতে উইলসব্যাক বলেন, “আমি আমাদের যোদ্ধা মানসিকতা আরও দৃঢ় করতে চাই এবং এমন একটি শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলতে চাই, যারা সব সময় প্রস্তুত থাকবে দেশ রক্ষা ও বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিরোধে।”
তিনি আরও যোগ করেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী সর্বদা “বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন।”
স্ত্রী সিনথিয়া উইলসব্যাকের হোয়াইট হাউস সংযোগ
সিনথিয়া উইলসব্যাক ট্রাম্প প্রশাসনের উভয় মেয়াদেই হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ দপ্তরে কাজ করেছেন। ১ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে তাঁকে প্রেসিডেন্সিয়াল চিঠিপত্রের সিনিয়র লেখক হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা তাঁর আগের দায়িত্বের সঙ্গে মিলে যায়।
তবে হোয়াইট হাউস, তাঁর বর্তমান চাকরির অবস্থান সম্পর্কে, ইউএসএ টুডের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়নি।
সেনেট অনুমোদনের অপেক্ষা
উইলসব্যাকের মনোনয়ন কার্যকর হতে সেনেটের সশস্ত্র পরিষেবা কমিটি ও পূর্ণাঙ্গ সেনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমোদন পেলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
#ট্রাম্প #উইলসব্যাক #মার্কিনবিমানবাহিনী #জেনারেলমনোনয়ন #মার্কিনরাজনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট