০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইভি নীতির পরিবর্তনে কেঁপে উঠেছে বৈশ্বিক বাজার পাহাড়ি নদীতে ভাসমান জাম্বুরা—প্রকৃতি, ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যকর্মী সংকট মোকাবিলায় নতুন শিক্ষা মডেল ইউক্রেন সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা: কেজিবি প্রধানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা কীভাবে আপনার জন্য উপযুক্ত যোগব্যায়াম [ yoga ] ক্লাস নির্বাচন করবেন? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ‘আমি জানি কে আমি, তবে সেটি গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’- ভারতীয় সিনেমার নব্যা নায়ের একান্ত কথা কানাডায় তিমিদের জীবনরক্ষা নিয়ে বিতর্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প পথ এখনো খোলা নেপালে অগ্নিকাণ্ড: একটি সমন্বিত ধ্বংসাত্মক অভিযান একটি রাতের আধুনিক আর অ্যান্ড বি সোল: কোরিয়ান ট্রিওর দাপটে কুয়ালালামপুরে বাজল সঙ্গীতের সুর শরীফা হানিস্যার ‘পুনর্জন্ম’

ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক: ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকার নিরাপত্তা সবার আগে

দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় পরিবর্তন

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি ঋণ, পুঁজির ঘাটতি ও অনিয়মের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে শরীয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংকের দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। এই অবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি দক্ষ প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে। সরকারের মতে, এটি আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার একটি বড় পদক্ষেপ।


দুই লাখ টাকার নিচে আমানতকারীরা আগে টাকা পাবেন

নতুন ব্যাংক গঠনের পর প্রথমেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে দুই লাখ টাকার নিচে আমানত থাকা গ্রাহকদের। প্রশাসক নিয়োগ ও সরকারি তহবিল থেকে অর্থ ছাড়ের পর এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ক্ষুদ্র আমানতকারীরা একবারেই তাদের পুরো টাকা তুলতে পারবেন। তবে দুই লাখ টাকার বেশি যাদের আমানত, তাদের টাকা ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়া হবে।


পাঁচ ব্যাংকের ঋণ সংকট ও আর্থিক দুরবস্থা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের বেশির ভাগ ঋণই খেলাপি।

  • ইউনিয়ন ব্যাংক: ৯৮%
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ৯৬%
  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ৮৬%
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: ৬২%
  • এক্সিম ব্যাংক: ৪৮%

সব মিলিয়ে এই পাঁচ ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটির বেশি খেলাপি—অর্থাৎ শতকরা প্রায় ৭৭ শতাংশ।

এছাড়া পুঁজির ঘাটতিও মারাত্মক। মোট মূলধন মাত্র ৫,৮১৯ কোটি টাকা, যা দায়ের তুলনায় অতি অল্প। ফলে একীভূতকরণ সফল না হলে পুরো ব্যাংকিং খাত বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে।


নতুন ব্যাংকের কাঠামো ও মূলধন

নতুন ব্যাংকটি সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন অভিজ্ঞ ব্যাংকার, শরীয়াহ বিশেষজ্ঞ ও সরকারি প্রতিনিধি।

পুরনো মালিকদের শেয়ার বাতিল করা হবে, কারণ তাদের ব্যাংকগুলোর সম্পদ ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। তবে ঋণ ও দায় নতুন ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক শতভাগ সরকারি মালিকানায় নতুন শেয়ার ইস্যু করবে।

নতুন ব্যাংকের মূলধন হবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা—

  • সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • আমানত বিমা তহবিল দেবে ১২ হাজার কোটি টাকা
  • প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দেবে ৩ হাজার কোটি টাকা

এই অর্থ আসবে বাজেট, বৈদেশিক ঋণ এবং আমানত বিমা তহবিল থেকে।


আমানত ফেরত ও নতুন নিয়ম

গ্রাহকদের আমানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে তারা টাকা তুলতে পারবেন। প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের নগদ ফেরতের পরিবর্তে নতুন ব্যাংকের শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাবও আছে।

যেহেতু এই ব্যাংক সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন হবে, তাই প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের আগ্রহও বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এতে সাধারণ গ্রাহকের সঞ্চয় নিরাপদ থাকবে।


আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ

বর্তমান আমানত বিমা আইনে কেবল ব্যাংক বন্ধ হলে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরতের বিধান আছে। এবার ব্যাংক একীভূত হলেও যেন ক্ষুদ্র আমানতকারীরা টাকা ফেরত পান, সে লক্ষ্যে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ফেরতের সীমা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হবে।

এই খসড়া ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করা হয়েছে।


বিশেষজ্ঞদের মতামত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, “ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভয় না কাটলে নতুন ব্যাংকের সফলতা সম্ভব হবে না।”


আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা

অন্য দেশেও ব্যাংক একীভূতকরণের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলার নজির রয়েছে।

  • ভারত (২০১৭–২০২০): ১০টির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক একীভূত করে শক্তিশালী ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে তোলা হয়। এখন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক।
  • ইন্দোনেশিয়া (২০২১): তিনটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে “ইন্দোনেশিয়া ইসলামী ব্যাংক” গঠন করা হয়, যা আন্তর্জাতিক ইসলামী ফাইন্যান্সে সফলভাবে কাজ করছে।
  • পাকিস্তান: ন্যাশনালাইজেশনের সময় একীভূতকরণ ঘটলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দুর্বল তদারকির কারণে সফলতা আসেনি।

বাংলাদেশ যদি ভারতের মতো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয় এবং ইন্দোনেশিয়ার মডেল অনুসরণ করে, তবে এই উদ্যোগ সফল হতে পারে। তবে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়লে ব্যর্থতার ঝুঁকি রয়ে যাবে।


বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে চলমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ গঠন একটি সাহসী পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনা সফল হলে ক্ষুদ্র আমানতকারীরা নিশ্চিন্ত হবেন এবং ব্যাংকিং খাতে আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।


#টাকা_ফেরত #ইউনাইটেড_ইসলামী_ব্যাংক #বাংলাদেশ_ব্যাংক #খেলাপি_ঋণ #ব্যাংক_একীভূতকরণ #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের ইভি নীতির পরিবর্তনে কেঁপে উঠেছে বৈশ্বিক বাজার

ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক: ক্ষুদ্র আমানতকারীদের টাকার নিরাপত্তা সবার আগে

১২:০৪:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় পরিবর্তন

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘদিন ধরে খেলাপি ঋণ, পুঁজির ঘাটতি ও অনিয়মের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে শরীয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংকের দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। এই অবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক—একীভূত করে নতুন ব্যাংক ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি দক্ষ প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়াও চলছে। সরকারের মতে, এটি আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার একটি বড় পদক্ষেপ।


দুই লাখ টাকার নিচে আমানতকারীরা আগে টাকা পাবেন

নতুন ব্যাংক গঠনের পর প্রথমেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে দুই লাখ টাকার নিচে আমানত থাকা গ্রাহকদের। প্রশাসক নিয়োগ ও সরকারি তহবিল থেকে অর্থ ছাড়ের পর এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ক্ষুদ্র আমানতকারীরা একবারেই তাদের পুরো টাকা তুলতে পারবেন। তবে দুই লাখ টাকার বেশি যাদের আমানত, তাদের টাকা ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়া হবে।


পাঁচ ব্যাংকের ঋণ সংকট ও আর্থিক দুরবস্থা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের বেশির ভাগ ঋণই খেলাপি।

  • ইউনিয়ন ব্যাংক: ৯৮%
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ৯৬%
  • গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ৮৬%
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: ৬২%
  • এক্সিম ব্যাংক: ৪৮%

সব মিলিয়ে এই পাঁচ ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটির বেশি খেলাপি—অর্থাৎ শতকরা প্রায় ৭৭ শতাংশ।

এছাড়া পুঁজির ঘাটতিও মারাত্মক। মোট মূলধন মাত্র ৫,৮১৯ কোটি টাকা, যা দায়ের তুলনায় অতি অল্প। ফলে একীভূতকরণ সফল না হলে পুরো ব্যাংকিং খাত বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে।


নতুন ব্যাংকের কাঠামো ও মূলধন

নতুন ব্যাংকটি সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন অভিজ্ঞ ব্যাংকার, শরীয়াহ বিশেষজ্ঞ ও সরকারি প্রতিনিধি।

পুরনো মালিকদের শেয়ার বাতিল করা হবে, কারণ তাদের ব্যাংকগুলোর সম্পদ ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। তবে ঋণ ও দায় নতুন ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক শতভাগ সরকারি মালিকানায় নতুন শেয়ার ইস্যু করবে।

নতুন ব্যাংকের মূলধন হবে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা—

  • সরকার দেবে ২০ হাজার কোটি টাকা
  • আমানত বিমা তহবিল দেবে ১২ হাজার কোটি টাকা
  • প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দেবে ৩ হাজার কোটি টাকা

এই অর্থ আসবে বাজেট, বৈদেশিক ঋণ এবং আমানত বিমা তহবিল থেকে।


আমানত ফেরত ও নতুন নিয়ম

গ্রাহকদের আমানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ব্যাংকে স্থানান্তরিত হবে। প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে তারা টাকা তুলতে পারবেন। প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের নগদ ফেরতের পরিবর্তে নতুন ব্যাংকের শেয়ার দেওয়ার প্রস্তাবও আছে।

যেহেতু এই ব্যাংক সম্পূর্ণ সরকারি মালিকানাধীন হবে, তাই প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের আগ্রহও বাড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এতে সাধারণ গ্রাহকের সঞ্চয় নিরাপদ থাকবে।


আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ

বর্তমান আমানত বিমা আইনে কেবল ব্যাংক বন্ধ হলে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরতের বিধান আছে। এবার ব্যাংক একীভূত হলেও যেন ক্ষুদ্র আমানতকারীরা টাকা ফেরত পান, সে লক্ষ্যে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ফেরতের সীমা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হবে।

এই খসড়া ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে দাখিল করা হয়েছে।


বিশেষজ্ঞদের মতামত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, “ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভয় না কাটলে নতুন ব্যাংকের সফলতা সম্ভব হবে না।”


আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা

অন্য দেশেও ব্যাংক একীভূতকরণের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলার নজির রয়েছে।

  • ভারত (২০১৭–২০২০): ১০টির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক একীভূত করে শক্তিশালী ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে তোলা হয়। এখন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক।
  • ইন্দোনেশিয়া (২০২১): তিনটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে “ইন্দোনেশিয়া ইসলামী ব্যাংক” গঠন করা হয়, যা আন্তর্জাতিক ইসলামী ফাইন্যান্সে সফলভাবে কাজ করছে।
  • পাকিস্তান: ন্যাশনালাইজেশনের সময় একীভূতকরণ ঘটলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দুর্বল তদারকির কারণে সফলতা আসেনি।

বাংলাদেশ যদি ভারতের মতো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয় এবং ইন্দোনেশিয়ার মডেল অনুসরণ করে, তবে এই উদ্যোগ সফল হতে পারে। তবে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়লে ব্যর্থতার ঝুঁকি রয়ে যাবে।


বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে চলমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ গঠন একটি সাহসী পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনা সফল হলে ক্ষুদ্র আমানতকারীরা নিশ্চিন্ত হবেন এবং ব্যাংকিং খাতে আস্থা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।


#টাকা_ফেরত #ইউনাইটেড_ইসলামী_ব্যাংক #বাংলাদেশ_ব্যাংক #খেলাপি_ঋণ #ব্যাংক_একীভূতকরণ #সারাক্ষণ_রিপোর্ট