০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইভি নীতির পরিবর্তনে কেঁপে উঠেছে বৈশ্বিক বাজার পাহাড়ি নদীতে ভাসমান জাম্বুরা—প্রকৃতি, ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যকর্মী সংকট মোকাবিলায় নতুন শিক্ষা মডেল ইউক্রেন সংকট ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা: কেজিবি প্রধানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা কীভাবে আপনার জন্য উপযুক্ত যোগব্যায়াম [ yoga ] ক্লাস নির্বাচন করবেন? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ‘আমি জানি কে আমি, তবে সেটি গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’- ভারতীয় সিনেমার নব্যা নায়ের একান্ত কথা কানাডায় তিমিদের জীবনরক্ষা নিয়ে বিতর্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প পথ এখনো খোলা নেপালে অগ্নিকাণ্ড: একটি সমন্বিত ধ্বংসাত্মক অভিযান একটি রাতের আধুনিক আর অ্যান্ড বি সোল: কোরিয়ান ট্রিওর দাপটে কুয়ালালামপুরে বাজল সঙ্গীতের সুর শরীফা হানিস্যার ‘পুনর্জন্ম’

অর্থনৈতিক উত্থানের আড়ালে মরক্কোয় তরুণদের ক্ষোভে জ্বলে উঠল রাজপথ

দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো বিনিয়োগ আর আন্তর্জাতিক প্রশংসার মাঝেও মরক্কোর তরুণ প্রজন্মের একাংশ রয়ে গেছে বেকারত্ব, বৈষম্য ও সামাজিক অবহেলার শিকার। সেই হতাশাই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রূপ নিয়েছে ব্যাপক তরুণ-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে, যা দেশটির অর্থনৈতিক মডেলের ভেতরের গভীর অসাম্যকে উন্মোচন করেছে।


সারাংশ

  • গরিবি ও সামাজিক সেবা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেই সম্প্রতি মরক্কোতে তরুণ-নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়ায়।
  • স্তরহীন বিতর্ক থেকে শুরু করে সশস্ত্র সংঘর্ষ পর্যন্ত পরিস্থিতি গড়ায়।
  • “GenZ 212” নামে একটি স্বল্পসংখ্যক, গোপন সংগঠন প্রধান ভূমিকা নিয়েছে অনলাইন মাধ্যমে জনসংগঠনে।
  • বিক্ষোভকারীরা চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, সাম্যবিচার এবং অবিচারের বিরুদ্ধে দাবি তুলেছে।
  • প্রধানমন্ত্রী আলোচনাকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছেন।

১. প্রেক্ষিত ও বিস্তৃতি

মরক্কো গত কয়েক বছরে রাস্তাঘাট, রেল, বন্দর, নবায়নযোগ্য শক্তি ও উৎপাদন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে।
গণপরিসংখ্যানে দেখা গেছে গরিবি প্রায় অর্ধেক কমেছে এবং দেশটির কিছু এলাকায় জীবনের মান এমন, যা ইউরোপের সঙ্গে তুলনীয়।
চলতি বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৬ শতাংশ ধরা হয়েছে—গত বছরের ৩.৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি। S&P রেটিং এজেন্সি মরক্কোকে “ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড” মর্যাদা দিয়েছে।

তবুও, এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুরো দেশে সমভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। অনেক তরুণ বেকার এবং সামাজিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
গণতান্ত্রিক সংস্থা CESE জানায়, ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় এক চতুর্থাংশ শিক্ষা, চাকরি বা প্রশিক্ষণ—কোনোটিতেই নেই।
আব্বাসী কার্যত সমাজের নিম্নস্তরের এই জনসমষ্টির মধ্যেই মনে হচ্ছিল, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি তাদের উপেক্ষা করেছে।


২. দাবিসূচক আন্দোলন এবং রোগী-ডাক্তারদের চিৎকার

বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি ছিল—

  • উচ্চমানের চিকিৎসাসেবা
  • উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা

এই দাবি আরও জোরালোভাবে উঠে আসে যখন কয়েকজন মারা যায় একটি হাসপাতালে প্রসবকালে, তখন তারা জানান:
“আমরা বিশ্বকাপ চাই না, আগে স্বাস্থ্য।”

এক ব্যক্তি, নাজিব আছুই (২৪), যিনি এক জরুরি বিভাগের ডাক্তার হিসাবে কাজ করেছেন, বললেন:
“পাবলিক হাসপাতালে মৌলিক উপকরণ যেমন সিটি স্ক্যানেরই অভাব। দরিদ্র মানুষ প্রতিদিন কষ্টে ভুগছেন।”

যিহানে রতমা, ১৯ বছরের ছাত্রী, বলেন:
“উভয় — শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী ও সশস্ত্র উত্তাল — সবাইই একটি দুর্নীতিমূলক নীতির শিকার।”


৩. অনলাইন সংগঠন ও আন্দোলনের গতি

সর্বপ্রথম সরকার বিক্ষোভ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশের বাধার মুখে জনসভার আয়োজন ব্যাহত হয়। কিন্তু একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়; শত শত যানবাহন লুট হয়, ভবন ধ্বংস করা হয়।

এখানে বড় ভূমিকা নেয় “GenZ 212” নামে একটি গোপন সংগঠন।
এই গ্রুপ Discord, TikTok ও Instagram ব্যবহার করে তরুণদের সংগঠিত করেছে। Discord সার্ভারে সদস্য সংখ্যা, মাত্র এক সপ্তাহে ৩,০০০ থেকে বেড়ে ১,৮৮,০০০ হয়ে যায়।

সরকার ও সংসদ সদস্যরা “হাত চুপিয়ে বসে ছিলেন, গোয়েন্দা বাহিনীই ফলাফল মোকাবিলা করেছে”—এমন অভিযোগ উঠেছে।


৪. গ্রামীণ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ল

গ্রামীণ এলাকায়, যেমন আয়িত আমিরা, উত্তাল অবস্থা বিশেষভাবে চোখে পড়ে।
গত কয়েক দশকে এখানে জনগণ চারগুণ বেড়েছে, কিন্তু মৌলিক সেবা তাৎক্ষণিকভাবে উন্নয়ন পায়নি।
বেকারত্বের হার বেশি, অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় আমাজিগ ভাষার পরিবর্তে মরোক্কান আরবি হয়ে উঠেছে।

এক সমাজবিজ্ঞানী বলেন, “আয়িত আমিরা ছিল এমন একটা টানিয়ে রাখা বিস্ফোরণ …”

রাষ্ট্রীয় রাজনীতির প্রতি আস্থা কমেছে—একটি জরিপে দেখা যায় ২০২৩ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা ৩৩ শতাংশ, যা এক বছর আগে ছিল ৫০ শতাংশ।


৫. সহিংসতা ও সরকারি প্রতিক্রিয়া

বিক্ষোভ সবচেয়ে বিস্তৃত হয়েছিল ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর।
২০১৬ সালের রিফ অঞ্চল আন্দোলনের পর এই বিক্ষোভই সবচেয়ে সহিংস।

বিক্ষোভ থামার পর সরকার হঠাৎ নম্র সুর নেয়।
বেকারত্ব মন্ত্রীর দাবি ছিল, বিক্ষোভকারীদের দাবি “সত্যবাদী।”
প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানুচ বলেন, আলোচনাই এখন একমাত্র পথ।

অনেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, রাজা মোহাম্মেদ ষষ্ঠ কী বলবেন সংসদ উদ্বোধনী ভাষণে।
GenZ 212 একটি বিবৃতিতে ২০১৭ সালের এক ভাষণ উদ্ধৃত করেছে, যেখানে রাজার বক্তব্য ছিল:
“আপনার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করুন, অন্যথায় সরে যান।”


মোট কথা, মরক্কোর এই তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন দেখিয়ে দিয়েছে যে, আধুনিক স্টেডিয়াম ও মহাপরিকল্পনা সবকিছু সমাধান করতে পারে না—মানুষের মৌলিক সেবা, ন্যায্যতা ও সুযোগ এখনই তাদের দাবি।


#মরক্কো #বিক্ষোভ #তরুণআন্দোলন #অর্থনীতি #সামাজিকবৈষম্য #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের ইভি নীতির পরিবর্তনে কেঁপে উঠেছে বৈশ্বিক বাজার

অর্থনৈতিক উত্থানের আড়ালে মরক্কোয় তরুণদের ক্ষোভে জ্বলে উঠল রাজপথ

০১:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো বিনিয়োগ আর আন্তর্জাতিক প্রশংসার মাঝেও মরক্কোর তরুণ প্রজন্মের একাংশ রয়ে গেছে বেকারত্ব, বৈষম্য ও সামাজিক অবহেলার শিকার। সেই হতাশাই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রূপ নিয়েছে ব্যাপক তরুণ-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে, যা দেশটির অর্থনৈতিক মডেলের ভেতরের গভীর অসাম্যকে উন্মোচন করেছে।


সারাংশ

  • গরিবি ও সামাজিক সেবা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেই সম্প্রতি মরক্কোতে তরুণ-নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়ায়।
  • স্তরহীন বিতর্ক থেকে শুরু করে সশস্ত্র সংঘর্ষ পর্যন্ত পরিস্থিতি গড়ায়।
  • “GenZ 212” নামে একটি স্বল্পসংখ্যক, গোপন সংগঠন প্রধান ভূমিকা নিয়েছে অনলাইন মাধ্যমে জনসংগঠনে।
  • বিক্ষোভকারীরা চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, সাম্যবিচার এবং অবিচারের বিরুদ্ধে দাবি তুলেছে।
  • প্রধানমন্ত্রী আলোচনাকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে তুলে ধরেছেন।

১. প্রেক্ষিত ও বিস্তৃতি

মরক্কো গত কয়েক বছরে রাস্তাঘাট, রেল, বন্দর, নবায়নযোগ্য শক্তি ও উৎপাদন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে।
গণপরিসংখ্যানে দেখা গেছে গরিবি প্রায় অর্ধেক কমেছে এবং দেশটির কিছু এলাকায় জীবনের মান এমন, যা ইউরোপের সঙ্গে তুলনীয়।
চলতি বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.৬ শতাংশ ধরা হয়েছে—গত বছরের ৩.৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি। S&P রেটিং এজেন্সি মরক্কোকে “ইনভেস্টমেন্ট গ্রেড” মর্যাদা দিয়েছে।

তবুও, এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুরো দেশে সমভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। অনেক তরুণ বেকার এবং সামাজিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
গণতান্ত্রিক সংস্থা CESE জানায়, ১৫–২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় এক চতুর্থাংশ শিক্ষা, চাকরি বা প্রশিক্ষণ—কোনোটিতেই নেই।
আব্বাসী কার্যত সমাজের নিম্নস্তরের এই জনসমষ্টির মধ্যেই মনে হচ্ছিল, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি তাদের উপেক্ষা করেছে।


২. দাবিসূচক আন্দোলন এবং রোগী-ডাক্তারদের চিৎকার

বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি ছিল—

  • উচ্চমানের চিকিৎসাসেবা
  • উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা

এই দাবি আরও জোরালোভাবে উঠে আসে যখন কয়েকজন মারা যায় একটি হাসপাতালে প্রসবকালে, তখন তারা জানান:
“আমরা বিশ্বকাপ চাই না, আগে স্বাস্থ্য।”

এক ব্যক্তি, নাজিব আছুই (২৪), যিনি এক জরুরি বিভাগের ডাক্তার হিসাবে কাজ করেছেন, বললেন:
“পাবলিক হাসপাতালে মৌলিক উপকরণ যেমন সিটি স্ক্যানেরই অভাব। দরিদ্র মানুষ প্রতিদিন কষ্টে ভুগছেন।”

যিহানে রতমা, ১৯ বছরের ছাত্রী, বলেন:
“উভয় — শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী ও সশস্ত্র উত্তাল — সবাইই একটি দুর্নীতিমূলক নীতির শিকার।”


৩. অনলাইন সংগঠন ও আন্দোলনের গতি

সর্বপ্রথম সরকার বিক্ষোভ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। পুলিশের বাধার মুখে জনসভার আয়োজন ব্যাহত হয়। কিন্তু একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়; শত শত যানবাহন লুট হয়, ভবন ধ্বংস করা হয়।

এখানে বড় ভূমিকা নেয় “GenZ 212” নামে একটি গোপন সংগঠন।
এই গ্রুপ Discord, TikTok ও Instagram ব্যবহার করে তরুণদের সংগঠিত করেছে। Discord সার্ভারে সদস্য সংখ্যা, মাত্র এক সপ্তাহে ৩,০০০ থেকে বেড়ে ১,৮৮,০০০ হয়ে যায়।

সরকার ও সংসদ সদস্যরা “হাত চুপিয়ে বসে ছিলেন, গোয়েন্দা বাহিনীই ফলাফল মোকাবিলা করেছে”—এমন অভিযোগ উঠেছে।


৪. গ্রামীণ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ল

গ্রামীণ এলাকায়, যেমন আয়িত আমিরা, উত্তাল অবস্থা বিশেষভাবে চোখে পড়ে।
গত কয়েক দশকে এখানে জনগণ চারগুণ বেড়েছে, কিন্তু মৌলিক সেবা তাৎক্ষণিকভাবে উন্নয়ন পায়নি।
বেকারত্বের হার বেশি, অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় আমাজিগ ভাষার পরিবর্তে মরোক্কান আরবি হয়ে উঠেছে।

এক সমাজবিজ্ঞানী বলেন, “আয়িত আমিরা ছিল এমন একটা টানিয়ে রাখা বিস্ফোরণ …”

রাষ্ট্রীয় রাজনীতির প্রতি আস্থা কমেছে—একটি জরিপে দেখা যায় ২০২৩ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা ৩৩ শতাংশ, যা এক বছর আগে ছিল ৫০ শতাংশ।


৫. সহিংসতা ও সরকারি প্রতিক্রিয়া

বিক্ষোভ সবচেয়ে বিস্তৃত হয়েছিল ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর।
২০১৬ সালের রিফ অঞ্চল আন্দোলনের পর এই বিক্ষোভই সবচেয়ে সহিংস।

বিক্ষোভ থামার পর সরকার হঠাৎ নম্র সুর নেয়।
বেকারত্ব মন্ত্রীর দাবি ছিল, বিক্ষোভকারীদের দাবি “সত্যবাদী।”
প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখানুচ বলেন, আলোচনাই এখন একমাত্র পথ।

অনেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, রাজা মোহাম্মেদ ষষ্ঠ কী বলবেন সংসদ উদ্বোধনী ভাষণে।
GenZ 212 একটি বিবৃতিতে ২০১৭ সালের এক ভাষণ উদ্ধৃত করেছে, যেখানে রাজার বক্তব্য ছিল:
“আপনার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করুন, অন্যথায় সরে যান।”


মোট কথা, মরক্কোর এই তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন দেখিয়ে দিয়েছে যে, আধুনিক স্টেডিয়াম ও মহাপরিকল্পনা সবকিছু সমাধান করতে পারে না—মানুষের মৌলিক সেবা, ন্যায্যতা ও সুযোগ এখনই তাদের দাবি।


#মরক্কো #বিক্ষোভ #তরুণআন্দোলন #অর্থনীতি #সামাজিকবৈষম্য #সারাক্ষণরিপোর্ট