১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০২)

প্রত্যেক ঢাল তরবারীর আঘাতের সাথে সাথে শেষ হয়ে যেত। এইসব নাচ/মিছিল এ অবশ্যই থাকত ঢোল। শিব-গৌরীর নাচও ছিল বিশেষ ধরনের।

ঢাকার সঙ

ঢাকাতো গানবাজনায় ভরপুর থাকতো। উনিশ শতকে গানবাজনার চর্চার কিছু খবর পাই হাকিম হাবিবুরের লেখায়। মূল ধারার পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব মেলায় বড় বৈশিষ্ট্য ছিল গান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সঙদের ব্যাঙ্গাত্মক গান।

বিশ শতকের প্রথমার্ধে ঢাকার জন্মাষ্টমীর মিছিলের আলোকচিত্র। জন্মাষ্টমীর মিছিলেও সঙ থাকতো

হাকিম হাবিব বলছেন, এ ধরনের গানে এক ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল। বাবুবাজার খালের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বসবাসকারী ঢাকাইয়াদের মধ্যে ছিল প্রবল রেষারেষি। হাকিম লিখেছেন “চৈত্রমাসের শেষে কালী আর শিব গৌরীর সংগম হতো। তার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য যে কালী – নাচে, কালীর দুই হাতে তলোয়ার বা রামদাও থাকতো। এটা একটা বিশেষ নৃত্য, যাতে নাচের সকল হাত রীতিমত আঘাত ও আক্রমণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতো। প্রত্যেক ঢাল তরবারীর আঘাতের সাথে সাথে শেষ হয়ে যেত। এইসব নাচ/মিছিল এ অবশ্যই থাকত ঢোল। শিব-গৌরীর নাচও ছিল বিশেষ ধরনের।

দোলাইখালের উত্তরে গোয়ালঘাট মহল্লায় আছে লালচান মুকিম লেন। লালচানের সমাক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে, অনুমান করে নিতে পারি উনিশ শতকে দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবসা করে বেশ বিত্ত অর্জন করেছিলেন এবং তা প্রকাশ ও সামাজিক প্রতিপত্তি প্রদর্শনের জন্য তিনি একটি মিছিলের প্রবর্তন করেন। জন্মাষ্টমীর পরই এ মিছিল বের হতো। গোয়ালঘাট থেকে বেরিয়ে তা যেত কোতোয়ালি পর্যন্ত। মিছিলে তার মূর্তি প্রদর্শিত হতো, তারপর তা ভাসিয়ে দেওয়া হতো দোলাইখালে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০১)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০১)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০২)

০৭:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যেক ঢাল তরবারীর আঘাতের সাথে সাথে শেষ হয়ে যেত। এইসব নাচ/মিছিল এ অবশ্যই থাকত ঢোল। শিব-গৌরীর নাচও ছিল বিশেষ ধরনের।

ঢাকার সঙ

ঢাকাতো গানবাজনায় ভরপুর থাকতো। উনিশ শতকে গানবাজনার চর্চার কিছু খবর পাই হাকিম হাবিবুরের লেখায়। মূল ধারার পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব মেলায় বড় বৈশিষ্ট্য ছিল গান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সঙদের ব্যাঙ্গাত্মক গান।

বিশ শতকের প্রথমার্ধে ঢাকার জন্মাষ্টমীর মিছিলের আলোকচিত্র। জন্মাষ্টমীর মিছিলেও সঙ থাকতো

হাকিম হাবিব বলছেন, এ ধরনের গানে এক ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল। বাবুবাজার খালের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে বসবাসকারী ঢাকাইয়াদের মধ্যে ছিল প্রবল রেষারেষি। হাকিম লিখেছেন “চৈত্রমাসের শেষে কালী আর শিব গৌরীর সংগম হতো। তার একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য যে কালী – নাচে, কালীর দুই হাতে তলোয়ার বা রামদাও থাকতো। এটা একটা বিশেষ নৃত্য, যাতে নাচের সকল হাত রীতিমত আঘাত ও আক্রমণের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতো। প্রত্যেক ঢাল তরবারীর আঘাতের সাথে সাথে শেষ হয়ে যেত। এইসব নাচ/মিছিল এ অবশ্যই থাকত ঢোল। শিব-গৌরীর নাচও ছিল বিশেষ ধরনের।

দোলাইখালের উত্তরে গোয়ালঘাট মহল্লায় আছে লালচান মুকিম লেন। লালচানের সমাক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে, অনুমান করে নিতে পারি উনিশ শতকে দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবসা করে বেশ বিত্ত অর্জন করেছিলেন এবং তা প্রকাশ ও সামাজিক প্রতিপত্তি প্রদর্শনের জন্য তিনি একটি মিছিলের প্রবর্তন করেন। জন্মাষ্টমীর পরই এ মিছিল বের হতো। গোয়ালঘাট থেকে বেরিয়ে তা যেত কোতোয়ালি পর্যন্ত। মিছিলে তার মূর্তি প্রদর্শিত হতো, তারপর তা ভাসিয়ে দেওয়া হতো দোলাইখালে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০১)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১০১)