২০২৫-এর উন্নতি, পরের বছরে সতর্কবার্তা
বিশ্বব্যাংক চীনের ২০২৫ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৪.০% থেকে বাড়িয়ে ৪.৮% করেছে—যদিও ২০২৬-এ তা ৪.২%-এ নামার ইঙ্গিত দিয়েছে। পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ২০২৫-এ ৪.৪% ধরা হয়েছে। ব্যাংক বলছে, পরের বছরের মন্থরতার পেছনে রয়েছে দুর্বল বৈদেশিক চাহিদা, সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রণোদনা কমার সম্ভাবনা, এবং সম্পত্তি খাত ও জনসংখ্যাগত কাঠামোর মতো দীর্ঘমেয়াদি বাধা। বেইজিংয়ের জন্য বার্তাটি দ্বিমুখী: সীমিত প্রণোদনা ২০২৫-কে মসৃণ করতে পারে, কিন্তু স্থিতির জন্য উৎপাদনশীলতা, সামাজিক নিরাপত্তা ও বাজার-সংস্কারের মতো কাঠামোগত পদক্ষেপ জরুরি। বাজার এখন দেখছে—‘প্রায় ৫%’ লক্ষ্য বাস্তবসম্মত নাকি ছাদের মতো সীমা।
এশিয়া, সরবরাহশৃঙ্খল ও প্রভাব
২০২৫-এর দৃঢ়তা আসিয়ান রপ্তানিকারক থেকে পণ্য-সরবরাহকারীদের পর্যন্ত চাহিদা স্থির রাখতে পারে। তবু ২০২৬-এর সতর্কতা চীন-নির্ভর বৃহৎ বিনিয়োগে বোর্ডরুমগুলোকে সাবধানী রাখবে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য রিপোর্টটি শুল্ক-বাধার ঝুঁকি তুলে ধরে—বৈচিত্র্য ও লজিস্টিক উন্নয়নই সুরক্ষা। বৈশ্বিক সাপ্লাই-চেইনে মিশ্র ছবি: ইলেকট্রনিক্স ও অটোতে স্বল্পমেয়াদি রিস্টকিং সহায়ক হতে পারে, কিন্তু সম্পত্তি খাত দুর্বল থাকলে নির্মাণসামগ্রী চাপে। বিনিয়োগকারীরা মাসিক ডেটা খতিয়ে দেখবেন—সার্ভিস, ভোক্তা ব্যয় ও সেমিকন্ডাক্টর কি বাহ্যিক চাহিদার ঘাটতি পুষিয়ে দিতে পারে, এবং সংস্কার কত দ্রুত অগ্রসর হয়—প্রণোদনা ক্লান্তি ও শক্তি-সীমাবদ্ধতার আগেই।