০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির প্রভাব: ভারতের বিয়ের বাজারে পরিবর্তন ডেঙ্গু দুর্যোগে নতুন শঙ্কা: কী বলছে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৫ বছরে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে দেশের পুঁজি বাজার  ধর্ষণ মামলার হাজারো ডিএনএ ‘ম্যাচ’ কার্যকর হয় না: নতুন নির্দেশনা থাকলেও মিল হারিয়ে যায়, ফাইলবন্দি থাকে বা উপেক্ষিত হয় “ঈশ্বর আমাকে বলেছিল, তাই আমি করেছিলাম”: সিজেআই ব্রি গাভাইকে জুতা ছোড়ার ঘটনায় আইনজীবী রাকেশ কিশোরের অস্বীকার, প্রতিবাদে উত্তাল দেশ জুবিন গার্গ মৃত্যুর তদন্তে আসাম পুলিশের কর্মকর্তা সান্দীপন গার্গ গ্রেপ্তার, সিঙ্গাপুরের ইয়ট পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন গাজা থেকে আমেরিকান সেনা সদস্যের মায়ের উদ্ধার: গোপন অপারেশন সফল গাজার সংঘর্ষের মাঝে এক বছর পর ইসরায়েলি জনগণের স্মরণ অনুষ্ঠান ইউরোপে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে: ফ্রান্স ও জার্মানির অর্থনৈতিক সংকট গাজার শোকগ্রস্ত নারীর দুঃখভরা যাত্রা—যুদ্ধের ক্ষত, পরিবারের হারানো এবং অন্ধকার ভবিষ্যৎ

ট্রাম্পকে প্রশংসা ও ‘নোবেল’ মন্তব্যে তাইওয়ান প্রেসিডেন্টকে বেইজিংয়ের তিরস্কার

জাতীয় দিবসের প্রাক্কালে কূটনৈতিক বাকযুদ্ধ, লাইয়ের মন্তব্য ও চীনের সতর্কবার্তা

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশংসা করে এবং তিনি যদি চীনকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ স্থায়ীভাবে ত্যাগ করাতে পারেন তবে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্য—এমন মন্তব্যের পর তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে চীন। বেইজিংয়ের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর লাইকে “বিদেশি শক্তির কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া” এবং “বিচ্ছিন্নতাবাদী অপপ্রচার” চালানোর অভিযোগ তোলে, যা দীর্ঘদিনের বাকযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাইপের জবাব, গণতান্ত্রিক নেতারা আন্তর্জাতিক অডিয়েন্সে কথা বলার অধিকার রাখেন; নীতি অপরিবর্তিত—রক্ষণাত্মক প্রস্তুতি, উসকানি নয়, শর্তহীন আলোচনার দরজা খোলা। ঘটনাটি ১০ অক্টোবর জাতীয় দিবসের ঠিক আগে, যখন ভাষণ ও সামরিক প্রদর্শনীকে উদ্দেশ্য-ইঙ্গিতের মাপকাঠি ধরা হয়। দ্বীপের চারপাশে চীনা বিমান-নৌ টহল নিয়মিতই চলছে; তাইপের ভাষ্য, এটি চাপ সৃষ্টির কৌশল হলেও তা অস্বাভাবিক নয়। বিশ্লেষকদের মতে, ‘নোবেল’ ইঙ্গিতটি প্রতিরোধকে শান্তি-উদ্যোগের পরিভাষায় সাজানোর কৌশল, আর বেইজিং সেটিকেই “বৈদেশিক পৃষ্ঠপোষকতা”র প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। তাৎক্ষণিক বাজার প্রতিক্রিয়া সীমিত থাকলেও বীমা, শিপিং ও টেক-সাপ্লাই চেইন শিরোনাম-ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীল। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জন্য এটি আরেকটি উদাহরণ—দেশটির রাজনীতি কীভাবে এশিয়ার নিরাপত্তা বার্তায় প্রতিধ্বনি তোলে, যেখানে দুই পক্ষই বিশ্বাসযোগ্যতা ও সংকল্পের গল্প শুনিয়ে যায়।

নিরাপত্তা সংকেত, মার্কিন নীতির ইঙ্গিত ও এখন নজর কোথায়

স্বল্পমেয়াদে তিনটি সূচকে নজর দেওয়া জরুরি। প্রথমত, ১০ অক্টোবরের সপ্তাহে তাইওয়ান ঘিরে পিএলএ ফ্লাইট-টহলের মাত্রা ও ঘনত্ব, যা প্রতীকী প্রদর্শনীতে পরিণত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, লাইয়ের জাতীয় দিবসের ভাষণে আকাশ প্রতিরক্ষা, রিজার্ভ সংস্কার, ড্রোন-বিরোধী সক্ষমতা ও সেমিকন্ডাক্টর স্থিতিস্থাপকতা—এসব বিষয়ে হালনাগাদ সংকেত, যেগুলো সাম্প্রতিক বাজেটে বাস্তব রূপ পেয়েছে। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ—নৌ চলাচল, রপ্তানি-নিয়ন্ত্রণ আপডেট এবং আগেই অনুমোদিত অস্ত্র প্যাকেজের সরবরাহ টাইমলাইন। এককভাবে এ পদক্ষেপগুলো শক্তির ভারসাম্য বদলায় না, কিন্তু সম্মিলিতভাবে বছরশেষ পর্যন্ত সংকট ব্যবস্থাপনার টোন ঠিক করে। রাজনৈতিক ক্যালেন্ডার যখন একসঙ্গে চাপে—তাইওয়ানের আইনসভা, ওয়াশিংটনের নির্বাচনী সময়সূচি এবং বেইজিংয়ের প্রচারচক্র—তখন ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি বাড়ে। এমন সময়ে হটলাইন ও ব্যাকচ্যানেল অনেক বেশি গুরুত্ব পায়; ঠিক তেমনি নিয়মিত সমুদ্র-টহল ও এয়ার-ডিফেন্স অঞ্চলে সংস্পর্শের নীতিমালাও স্পষ্ট থাকা দরকার। ব্যবসায়ীরা আগের মহড়ার অভিজ্ঞতায় প্রস্তুতি ঝালাই করছেন—বিকল্প শিপিং রুট, অতিরিক্ত মজুত, ওয়ার-রিস্ক কভার। দ্বীপবাসীর দৈনন্দিন জীবন শিরোনামের চেয়ে স্থিতিশীল হলেও, জরুরি বার্তার ক্লান্তি সমীক্ষায় ধরা পড়ছে। সর্বোপরি, নিকট ভবিষ্যতের বেসলাইন একই—রেটোরিক জারি থাকবে, ‘রেড লাইন’ ভাঙার সম্ভাবনা কম; তবু বড় বক্তৃতার প্রতিটি বাক্য নীতিপরিবর্তনের ইশারা খুঁজে পড়া হবে। অর্থাৎ, মাটির বাস্তবতা খুব বদলায়নি, কিন্তু রাজনৈতিক সীমা আরও শক্ত হয়েছে; আঞ্চলিক কূটনীতিতে প্রতিরোধ-বার্তাই মুখ্য রয়ে গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির প্রভাব: ভারতের বিয়ের বাজারে পরিবর্তন

ট্রাম্পকে প্রশংসা ও ‘নোবেল’ মন্তব্যে তাইওয়ান প্রেসিডেন্টকে বেইজিংয়ের তিরস্কার

০৩:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় দিবসের প্রাক্কালে কূটনৈতিক বাকযুদ্ধ, লাইয়ের মন্তব্য ও চীনের সতর্কবার্তা

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশংসা করে এবং তিনি যদি চীনকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ স্থায়ীভাবে ত্যাগ করাতে পারেন তবে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্য—এমন মন্তব্যের পর তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে চীন। বেইজিংয়ের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর লাইকে “বিদেশি শক্তির কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া” এবং “বিচ্ছিন্নতাবাদী অপপ্রচার” চালানোর অভিযোগ তোলে, যা দীর্ঘদিনের বাকযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাইপের জবাব, গণতান্ত্রিক নেতারা আন্তর্জাতিক অডিয়েন্সে কথা বলার অধিকার রাখেন; নীতি অপরিবর্তিত—রক্ষণাত্মক প্রস্তুতি, উসকানি নয়, শর্তহীন আলোচনার দরজা খোলা। ঘটনাটি ১০ অক্টোবর জাতীয় দিবসের ঠিক আগে, যখন ভাষণ ও সামরিক প্রদর্শনীকে উদ্দেশ্য-ইঙ্গিতের মাপকাঠি ধরা হয়। দ্বীপের চারপাশে চীনা বিমান-নৌ টহল নিয়মিতই চলছে; তাইপের ভাষ্য, এটি চাপ সৃষ্টির কৌশল হলেও তা অস্বাভাবিক নয়। বিশ্লেষকদের মতে, ‘নোবেল’ ইঙ্গিতটি প্রতিরোধকে শান্তি-উদ্যোগের পরিভাষায় সাজানোর কৌশল, আর বেইজিং সেটিকেই “বৈদেশিক পৃষ্ঠপোষকতা”র প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। তাৎক্ষণিক বাজার প্রতিক্রিয়া সীমিত থাকলেও বীমা, শিপিং ও টেক-সাপ্লাই চেইন শিরোনাম-ঝুঁকির প্রতি সংবেদনশীল। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জন্য এটি আরেকটি উদাহরণ—দেশটির রাজনীতি কীভাবে এশিয়ার নিরাপত্তা বার্তায় প্রতিধ্বনি তোলে, যেখানে দুই পক্ষই বিশ্বাসযোগ্যতা ও সংকল্পের গল্প শুনিয়ে যায়।

নিরাপত্তা সংকেত, মার্কিন নীতির ইঙ্গিত ও এখন নজর কোথায়

স্বল্পমেয়াদে তিনটি সূচকে নজর দেওয়া জরুরি। প্রথমত, ১০ অক্টোবরের সপ্তাহে তাইওয়ান ঘিরে পিএলএ ফ্লাইট-টহলের মাত্রা ও ঘনত্ব, যা প্রতীকী প্রদর্শনীতে পরিণত হতে পারে। দ্বিতীয়ত, লাইয়ের জাতীয় দিবসের ভাষণে আকাশ প্রতিরক্ষা, রিজার্ভ সংস্কার, ড্রোন-বিরোধী সক্ষমতা ও সেমিকন্ডাক্টর স্থিতিস্থাপকতা—এসব বিষয়ে হালনাগাদ সংকেত, যেগুলো সাম্প্রতিক বাজেটে বাস্তব রূপ পেয়েছে। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ—নৌ চলাচল, রপ্তানি-নিয়ন্ত্রণ আপডেট এবং আগেই অনুমোদিত অস্ত্র প্যাকেজের সরবরাহ টাইমলাইন। এককভাবে এ পদক্ষেপগুলো শক্তির ভারসাম্য বদলায় না, কিন্তু সম্মিলিতভাবে বছরশেষ পর্যন্ত সংকট ব্যবস্থাপনার টোন ঠিক করে। রাজনৈতিক ক্যালেন্ডার যখন একসঙ্গে চাপে—তাইওয়ানের আইনসভা, ওয়াশিংটনের নির্বাচনী সময়সূচি এবং বেইজিংয়ের প্রচারচক্র—তখন ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি বাড়ে। এমন সময়ে হটলাইন ও ব্যাকচ্যানেল অনেক বেশি গুরুত্ব পায়; ঠিক তেমনি নিয়মিত সমুদ্র-টহল ও এয়ার-ডিফেন্স অঞ্চলে সংস্পর্শের নীতিমালাও স্পষ্ট থাকা দরকার। ব্যবসায়ীরা আগের মহড়ার অভিজ্ঞতায় প্রস্তুতি ঝালাই করছেন—বিকল্প শিপিং রুট, অতিরিক্ত মজুত, ওয়ার-রিস্ক কভার। দ্বীপবাসীর দৈনন্দিন জীবন শিরোনামের চেয়ে স্থিতিশীল হলেও, জরুরি বার্তার ক্লান্তি সমীক্ষায় ধরা পড়ছে। সর্বোপরি, নিকট ভবিষ্যতের বেসলাইন একই—রেটোরিক জারি থাকবে, ‘রেড লাইন’ ভাঙার সম্ভাবনা কম; তবু বড় বক্তৃতার প্রতিটি বাক্য নীতিপরিবর্তনের ইশারা খুঁজে পড়া হবে। অর্থাৎ, মাটির বাস্তবতা খুব বদলায়নি, কিন্তু রাজনৈতিক সীমা আরও শক্ত হয়েছে; আঞ্চলিক কূটনীতিতে প্রতিরোধ-বার্তাই মুখ্য রয়ে গেছে।