ছোট আকারের বৃদ্ধি, সামষ্টিক প্রভাব ও ডলারের চাপ
উৎপাদন বৃদ্ধিকে সীমিত রাখার বার্তায় ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই প্রায় ১% করে ওঠে। প্রায় ১.৩৭ লাখ ব্যারেল/দিনের মতো সীমিত বাড়তি সরবরাহ বাজারকে আশ্বস্ত করেছে, এশিয়ায় চাহিদা স্থিত থাকায় তলানিতে ‘ফ্লোর’ তৈরি হয়। শক্ত ডলার দক্ষিণ এশিয়ার আমদানিকারকদের জন্য দামবৃদ্ধি আংশিক পুষিয়ে দেয়। শিপিং তথ্য রপ্তানি স্থিত দেখায়—মানে র্যালি সরবরাহ শক নয়, অনুভূতিনির্ভর। শিল্পখাতে প্রাথমিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রুড মজুত বাড়লেও গ্যাসোলিন-ডিস্টিলেটে ড্র প্রদর্শিত—রিফাইনারি মার্জিন সহায়ক।
নভেম্বরের দিকে নজরদারি তালিকা
ওপেক+ শৃঙ্খলা, রুশ তেলপ্রবাহ ও ইআইএ মজুত রিপোর্ট—এগুলোই দিকনির্ণায়ক। শৃঙ্খলা বজায় থাকলে বছরশেষে বাজার টাইট হলেও নিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে; ইউরোপে চাহিদা দুর্বলতা বা চীনের মন্থরতা হলে উর্ধ্বমুখী ধারা থমকে যেতে পারে। আমদানিনির্ভর অর্থনীতিতে খুচরা দামের সবচেয়ে বড় চালক থাকবে বিনিময় হার। প্রয়োজনে সরকারগুলো কর-সামঞ্জস্য বা রিজার্ভ ছাড়ের মতো পদক্ষেপ বিবেচনা করতে পারে। আপাতত বার্তাটি সময় কিনেছে—ভয়ের চেয়ে কম সরবরাহ, স্থিত চাহিদা এবং শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ।