পূর্বাভাসের বদল, জটিলতা, এবং পরের প্রবৃদ্ধি কোথায়
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) ২০৩০ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সক্ষমতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়েছে। সংস্থার ব্যাখ্যায়—ফেডারেল পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তন, করছাড়/ইনসেনটিভের অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টিকারী অনুমোদন-সংক্রান্ত জট একসঙ্গে প্রভাব ফেলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাময়িক মন্থরতা বৈশ্বিক ছবিকে পাল্টায় না: ইউটিলিটি-স্কেল থেকে রুফটপ—বিশ্বজুড়ে সৌরশক্তি আগের মতোই প্রধান চালক এবং মোট সক্ষমতা দশকের মধ্যে দ্বিগুণের পথে। যুক্তরাষ্ট্রে আইইএ বলছে, এখন গতি অনেকটাই নির্ভর করছে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রোগ্রাম, করপোরেট পাওয়ার-পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং স্থানীয় গ্রিড-আপগ্রেডের ওপর। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনটি বাধা বেশি চোখে পড়ছে। প্রথমত, গ্রিড সংযোগের লাইনে বছরজুড়ে অপেক্ষা—ট্রান্সমিশন স্টাডি ও কিউ ব্যবস্থাপনা বিলম্ব সৃষ্টি করছে। দ্বিতীয়ত, সুদের হার উঁচু থাকায় সোলার-উইন্ডের মতো মূলধন-নিবিড় প্রকল্পে অর্থায়ন ব্যয় বেড়েছে; মডিউলের দাম কমলেও মার্জিন চাপে। তৃতীয়ত, সাইটিং/পারমিট ও বিশেষত ট্রান্সমিশন করিডর কিংবা অফশোর উইন্ডে পরিবেশগত ও সামাজিক অনুমোদন-প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা সময়সূচি পিছিয়ে দিচ্ছে। আমদানি-নিষেধাজ্ঞা ও দেশীয় কনটেন্ট-নীতির প্রভাবে সাপ্লাই-চেইনও পুনর্গঠিত হচ্ছে—দেশীয় উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি স্বল্পমেয়াদে খরচ ও মজুত পরিকল্পনায় জটিলতাও বাড়ে। সামগ্রিক ফলাফল—যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপনা বাড়বে, তবে পথটি হবে খানিকটা ধাক্কাধাক্কির, আর প্রযুক্তিগত শেখার বক্ররেখা মডিউল-ইনভার্টারের খরচকে ধীরে ধীরে নামিয়েই রাখবে।
গ্রিড বাস্তবতা, দামের প্রভাব, এবং শিল্প-ভোক্তার সংকেত
বিশ্বব্যাপী আইইএ আশাবাদী অবস্থান বজায় রেখেছে: চীন এখনও স্থাপনায় শীর্ষে এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সময়ের আগেই ছোঁয়ার পথে; ভারত ও ইউরোপে ইউটিলিটি-পার্ক, রুফটপ এবং স্টোরেজ-হাইব্রিড মিলিয়ে ধারাবাহিক গতি আছে। এই গতি সরঞ্জাম দামের জন্য ইতিবাচক—কারখানা ব্যবহারযোগ্যতা ভালো থাকলে অতীতের মতো আকস্মিক দামের লাফালাফি কমে, আর নির্মাতারা উচ্চ-কার্যকারিতা সেল ও পাওয়ার-ইলেকট্রনিক্সে বিনিয়োগ বাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে সংশোধিত ট্রাজেক্টরি মানে খুচরা বিল এখন বেশি নির্ভর করবে স্থানীয় গ্রিড সীমাবদ্ধতা ও গ্যাস-বেঞ্চমার্কের ওপর। যেখানে ট্রান্সমিশন সীমিত, সেখানে কার্টেইলমেন্ট-কনজেশন চার্জ সস্তা দুপুরের সৌরবিদ্যুতের উপকার কমিয়ে দিতে পারে; আর যেখানে গ্যাসই মার্জিনাল জেনারেটর, মৌসুমি দোলাচল বিলেও প্রতিফলিত হয়। নীতিনির্ধারকদের জন্য বার্তাটি বাস্তববাদী: করছাড়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো পারমিট ও ইন্টারকানেকশন সংস্কার—স্টাডি স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, বন্যপ্রাণী-প্রভাব মূল্যায়নের একরূপতা এবং কমিউনিটি-বেনিফিট ফ্রেমওয়ার্ক সময় বাঁচাতে পারে, সুরক্ষা শিথিল না করেই। ডেভেলপারদের জন্য ‘কী’ শব্দটি স্টোরেজ। চার থেকে আট ঘণ্টার ব্যাটারি বিকেলের চাহিদায় সৌরকে কার্যকর করে, “ডাক কার্ভ” চাপ কমায়; সোলারের সাথে সহ-অবস্থান ইন্টারকানেকশন অনুমোদনও সহজ করে। করপোরেট ক্রেতারা ২৪/৭ ক্লিন-পাওয়ার কৌশল—ঘণ্টাভিত্তিক মেলানো বাতাস-সৌর-হাইড্রো-স্টোরেজের ঝুড়ি—অধিক ব্যবহার করতে পারে, যাতে নির্দিষ্ট সাবস্টেশনে চাপ না বাড়িয়ে ডিকার্বনাইজেশন এগোয়। গৃহস্থালি পর্যায়ে শিক্ষা পরিষ্কার। নির্ভরযোগ্য ইনস্টলার, পূর্বানুমেয় নেট-বিলিং আর ছোট ব্যাটারি জোড়া দিলে রুফটপ সোলারের অর্থনীতি শক্তই থাকে; টাইম-অফ-ইউজ ট্যারিফে হিট পাম্প-ইনডাকশন কুকিং জুড়ে দিলে সাশ্রয় আরও বাড়ে—জাতীয় স্থাপনার গতি কিছুটা কমলেও। সারসংক্ষেপ: বৈশ্বিক চিত্র বিস্তারমুখী, যদিও অঞ্চলভেদে অসম; যুক্তরাষ্ট্রে দৌড় স্প্রিন্ট থেকে ‘স্টেডি রান’-এ, আর বিশ্বে সৌর নতুন রেকর্ড গড়ছে। এখন নজর থাকবে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক পারমিট টাইমলাইন, কিউ-রিফর্ম ও নতুন করপোরেট পিপিএ—এসবই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাঁক ফিরিয়ে দিতে পারে।