০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াত আমিরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচনপ্রত্যাশীদের জন্য অনলাইনে কর রিটার্ন দাখিলে বিশেষ ব্যবস্থা এনবিআরের মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তারেক রহমান

নীতিগত পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রে নবায়নযোগ্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইইএ; বৈশ্বিক সৌর ধারাই এগিয়ে

পূর্বাভাসের বদল, জটিলতা, এবং পরের প্রবৃদ্ধি কোথায়

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) ২০৩০ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সক্ষমতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়েছে। সংস্থার ব্যাখ্যায়—ফেডারেল পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তন, করছাড়/ইনসেনটিভের অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টিকারী অনুমোদন-সংক্রান্ত জট একসঙ্গে প্রভাব ফেলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাময়িক মন্থরতা বৈশ্বিক ছবিকে পাল্টায় না: ইউটিলিটি-স্কেল থেকে রুফটপ—বিশ্বজুড়ে সৌরশক্তি আগের মতোই প্রধান চালক এবং মোট সক্ষমতা দশকের মধ্যে দ্বিগুণের পথে। যুক্তরাষ্ট্রে আইইএ বলছে, এখন গতি অনেকটাই নির্ভর করছে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রোগ্রাম, করপোরেট পাওয়ার-পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং স্থানীয় গ্রিড-আপগ্রেডের ওপর। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনটি বাধা বেশি চোখে পড়ছে। প্রথমত, গ্রিড সংযোগের লাইনে বছরজুড়ে অপেক্ষা—ট্রান্সমিশন স্টাডি ও কিউ ব্যবস্থাপনা বিলম্ব সৃষ্টি করছে। দ্বিতীয়ত, সুদের হার উঁচু থাকায় সোলার-উইন্ডের মতো মূলধন-নিবিড় প্রকল্পে অর্থায়ন ব্যয় বেড়েছে; মডিউলের দাম কমলেও মার্জিন চাপে। তৃতীয়ত, সাইটিং/পারমিট ও বিশেষত ট্রান্সমিশন করিডর কিংবা অফশোর উইন্ডে পরিবেশগত ও সামাজিক অনুমোদন-প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা সময়সূচি পিছিয়ে দিচ্ছে। আমদানি-নিষেধাজ্ঞা ও দেশীয় কনটেন্ট-নীতির প্রভাবে সাপ্লাই-চেইনও পুনর্গঠিত হচ্ছে—দেশীয় উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি স্বল্পমেয়াদে খরচ ও মজুত পরিকল্পনায় জটিলতাও বাড়ে। সামগ্রিক ফলাফল—যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপনা বাড়বে, তবে পথটি হবে খানিকটা ধাক্কাধাক্কির, আর প্রযুক্তিগত শেখার বক্ররেখা মডিউল-ইনভার্টারের খরচকে ধীরে ধীরে নামিয়েই রাখবে।

Workers clean solar panels in Gujarat, India.

গ্রিড বাস্তবতা, দামের প্রভাব, এবং শিল্প-ভোক্তার সংকেত

বিশ্বব্যাপী আইইএ আশাবাদী অবস্থান বজায় রেখেছে: চীন এখনও স্থাপনায় শীর্ষে এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সময়ের আগেই ছোঁয়ার পথে; ভারত ও ইউরোপে ইউটিলিটি-পার্ক, রুফটপ এবং স্টোরেজ-হাইব্রিড মিলিয়ে ধারাবাহিক গতি আছে। এই গতি সরঞ্জাম দামের জন্য ইতিবাচক—কারখানা ব্যবহারযোগ্যতা ভালো থাকলে অতীতের মতো আকস্মিক দামের লাফালাফি কমে, আর নির্মাতারা উচ্চ-কার্যকারিতা সেল ও পাওয়ার-ইলেকট্রনিক্সে বিনিয়োগ বাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে সংশোধিত ট্রাজেক্টরি মানে খুচরা বিল এখন বেশি নির্ভর করবে স্থানীয় গ্রিড সীমাবদ্ধতা ও গ্যাস-বেঞ্চমার্কের ওপর। যেখানে ট্রান্সমিশন সীমিত, সেখানে কার্টেইলমেন্ট-কনজেশন চার্জ সস্তা দুপুরের সৌরবিদ্যুতের উপকার কমিয়ে দিতে পারে; আর যেখানে গ্যাসই মার্জিনাল জেনারেটর, মৌসুমি দোলাচল বিলেও প্রতিফলিত হয়। নীতিনির্ধারকদের জন্য বার্তাটি বাস্তববাদী: করছাড়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো পারমিট ও ইন্টারকানেকশন সংস্কার—স্টাডি স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, বন্যপ্রাণী-প্রভাব মূল্যায়নের একরূপতা এবং কমিউনিটি-বেনিফিট ফ্রেমওয়ার্ক সময় বাঁচাতে পারে, সুরক্ষা শিথিল না করেই। ডেভেলপারদের জন্য ‘কী’ শব্দটি স্টোরেজ। চার থেকে আট ঘণ্টার ব্যাটারি বিকেলের চাহিদায় সৌরকে কার্যকর করে, “ডাক কার্ভ” চাপ কমায়; সোলারের সাথে সহ-অবস্থান ইন্টারকানেকশন অনুমোদনও সহজ করে। করপোরেট ক্রেতারা ২৪/৭ ক্লিন-পাওয়ার কৌশল—ঘণ্টাভিত্তিক মেলানো বাতাস-সৌর-হাইড্রো-স্টোরেজের ঝুড়ি—অধিক ব্যবহার করতে পারে, যাতে নির্দিষ্ট সাবস্টেশনে চাপ না বাড়িয়ে ডিকার্বনাইজেশন এগোয়। গৃহস্থালি পর্যায়ে শিক্ষা পরিষ্কার। নির্ভরযোগ্য ইনস্টলার, পূর্বানুমেয় নেট-বিলিং আর ছোট ব্যাটারি জোড়া দিলে রুফটপ সোলারের অর্থনীতি শক্তই থাকে; টাইম-অফ-ইউজ ট্যারিফে হিট পাম্প-ইনডাকশন কুকিং জুড়ে দিলে সাশ্রয় আরও বাড়ে—জাতীয় স্থাপনার গতি কিছুটা কমলেও। সারসংক্ষেপ: বৈশ্বিক চিত্র বিস্তারমুখী, যদিও অঞ্চলভেদে অসম; যুক্তরাষ্ট্রে দৌড় স্প্রিন্ট থেকে ‘স্টেডি রান’-এ, আর বিশ্বে সৌর নতুন রেকর্ড গড়ছে। এখন নজর থাকবে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক পারমিট টাইমলাইন, কিউ-রিফর্ম ও নতুন করপোরেট পিপিএ—এসবই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাঁক ফিরিয়ে দিতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল

নীতিগত পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রে নবায়নযোগ্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল আইইএ; বৈশ্বিক সৌর ধারাই এগিয়ে

০৫:২৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

পূর্বাভাসের বদল, জটিলতা, এবং পরের প্রবৃদ্ধি কোথায়

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) ২০৩০ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সক্ষমতা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়েছে। সংস্থার ব্যাখ্যায়—ফেডারেল পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তন, করছাড়/ইনসেনটিভের অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টিকারী অনুমোদন-সংক্রান্ত জট একসঙ্গে প্রভাব ফেলছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাময়িক মন্থরতা বৈশ্বিক ছবিকে পাল্টায় না: ইউটিলিটি-স্কেল থেকে রুফটপ—বিশ্বজুড়ে সৌরশক্তি আগের মতোই প্রধান চালক এবং মোট সক্ষমতা দশকের মধ্যে দ্বিগুণের পথে। যুক্তরাষ্ট্রে আইইএ বলছে, এখন গতি অনেকটাই নির্ভর করছে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক প্রোগ্রাম, করপোরেট পাওয়ার-পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং স্থানীয় গ্রিড-আপগ্রেডের ওপর। প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনটি বাধা বেশি চোখে পড়ছে। প্রথমত, গ্রিড সংযোগের লাইনে বছরজুড়ে অপেক্ষা—ট্রান্সমিশন স্টাডি ও কিউ ব্যবস্থাপনা বিলম্ব সৃষ্টি করছে। দ্বিতীয়ত, সুদের হার উঁচু থাকায় সোলার-উইন্ডের মতো মূলধন-নিবিড় প্রকল্পে অর্থায়ন ব্যয় বেড়েছে; মডিউলের দাম কমলেও মার্জিন চাপে। তৃতীয়ত, সাইটিং/পারমিট ও বিশেষত ট্রান্সমিশন করিডর কিংবা অফশোর উইন্ডে পরিবেশগত ও সামাজিক অনুমোদন-প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা সময়সূচি পিছিয়ে দিচ্ছে। আমদানি-নিষেধাজ্ঞা ও দেশীয় কনটেন্ট-নীতির প্রভাবে সাপ্লাই-চেইনও পুনর্গঠিত হচ্ছে—দেশীয় উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি স্বল্পমেয়াদে খরচ ও মজুত পরিকল্পনায় জটিলতাও বাড়ে। সামগ্রিক ফলাফল—যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপনা বাড়বে, তবে পথটি হবে খানিকটা ধাক্কাধাক্কির, আর প্রযুক্তিগত শেখার বক্ররেখা মডিউল-ইনভার্টারের খরচকে ধীরে ধীরে নামিয়েই রাখবে।

Workers clean solar panels in Gujarat, India.

গ্রিড বাস্তবতা, দামের প্রভাব, এবং শিল্প-ভোক্তার সংকেত

বিশ্বব্যাপী আইইএ আশাবাদী অবস্থান বজায় রেখেছে: চীন এখনও স্থাপনায় শীর্ষে এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সময়ের আগেই ছোঁয়ার পথে; ভারত ও ইউরোপে ইউটিলিটি-পার্ক, রুফটপ এবং স্টোরেজ-হাইব্রিড মিলিয়ে ধারাবাহিক গতি আছে। এই গতি সরঞ্জাম দামের জন্য ইতিবাচক—কারখানা ব্যবহারযোগ্যতা ভালো থাকলে অতীতের মতো আকস্মিক দামের লাফালাফি কমে, আর নির্মাতারা উচ্চ-কার্যকারিতা সেল ও পাওয়ার-ইলেকট্রনিক্সে বিনিয়োগ বাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে সংশোধিত ট্রাজেক্টরি মানে খুচরা বিল এখন বেশি নির্ভর করবে স্থানীয় গ্রিড সীমাবদ্ধতা ও গ্যাস-বেঞ্চমার্কের ওপর। যেখানে ট্রান্সমিশন সীমিত, সেখানে কার্টেইলমেন্ট-কনজেশন চার্জ সস্তা দুপুরের সৌরবিদ্যুতের উপকার কমিয়ে দিতে পারে; আর যেখানে গ্যাসই মার্জিনাল জেনারেটর, মৌসুমি দোলাচল বিলেও প্রতিফলিত হয়। নীতিনির্ধারকদের জন্য বার্তাটি বাস্তববাদী: করছাড়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো পারমিট ও ইন্টারকানেকশন সংস্কার—স্টাডি স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, বন্যপ্রাণী-প্রভাব মূল্যায়নের একরূপতা এবং কমিউনিটি-বেনিফিট ফ্রেমওয়ার্ক সময় বাঁচাতে পারে, সুরক্ষা শিথিল না করেই। ডেভেলপারদের জন্য ‘কী’ শব্দটি স্টোরেজ। চার থেকে আট ঘণ্টার ব্যাটারি বিকেলের চাহিদায় সৌরকে কার্যকর করে, “ডাক কার্ভ” চাপ কমায়; সোলারের সাথে সহ-অবস্থান ইন্টারকানেকশন অনুমোদনও সহজ করে। করপোরেট ক্রেতারা ২৪/৭ ক্লিন-পাওয়ার কৌশল—ঘণ্টাভিত্তিক মেলানো বাতাস-সৌর-হাইড্রো-স্টোরেজের ঝুড়ি—অধিক ব্যবহার করতে পারে, যাতে নির্দিষ্ট সাবস্টেশনে চাপ না বাড়িয়ে ডিকার্বনাইজেশন এগোয়। গৃহস্থালি পর্যায়ে শিক্ষা পরিষ্কার। নির্ভরযোগ্য ইনস্টলার, পূর্বানুমেয় নেট-বিলিং আর ছোট ব্যাটারি জোড়া দিলে রুফটপ সোলারের অর্থনীতি শক্তই থাকে; টাইম-অফ-ইউজ ট্যারিফে হিট পাম্প-ইনডাকশন কুকিং জুড়ে দিলে সাশ্রয় আরও বাড়ে—জাতীয় স্থাপনার গতি কিছুটা কমলেও। সারসংক্ষেপ: বৈশ্বিক চিত্র বিস্তারমুখী, যদিও অঞ্চলভেদে অসম; যুক্তরাষ্ট্রে দৌড় স্প্রিন্ট থেকে ‘স্টেডি রান’-এ, আর বিশ্বে সৌর নতুন রেকর্ড গড়ছে। এখন নজর থাকবে অঙ্গরাজ্যভিত্তিক পারমিট টাইমলাইন, কিউ-রিফর্ম ও নতুন করপোরেট পিপিএ—এসবই দশকের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাঁক ফিরিয়ে দিতে পারে।