১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ভাতা–ভাড়াভাতা সমতায় দাবিতে এমপিও শিক্ষকদের ‘সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে ফিরতে হতে পারে বেশির ভাগ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে সারাদেশে ২৭০ রেস্টুরেন্টে বিকাশে পেমেন্টে পিৎজায় সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ছাড় এবারে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে দিল্লিতে তালেবান মন্ত্রীর নতুন সাংবাদিক সম্মেলন বান্দরবানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় সিএমএইচে স্থানান্তর ফারিয়া ইয়াসমিন হচ্ছেন বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাকসু কি ডাকসু ও জাকসুর পথেই হাঁটছে?—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের হাওয়া, উত্তেজনায় শিক্ষার্থীরা এক বছরে ৬৪ বার—ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২,১৩,৭১৯ টাকায় বরিশালে বিএনপি নেতা স্বামীর হাতে যুব মহিলা লীগের নেত্রী খুনের অভিযোগ প্রধান উপদেষ্টার রোম সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

বাহ্যিক হুমকি ছাড়া টহল আকারে সেনাবাহিনী মোতায়েন চান না অধিকাংশ আমেরিকান

অনুসন্ধান ও জরিপ সারাংশ

একটি রয়টার্স/ইপসোস জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৫৮ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন যে রাষ্ট্রপতির উচিত সশস্ত্র বাহিনী কেবল তখনই পাঠানো, যখন বাস্তব কোনো বাহ্যিক হুমকি থাকে।

এই ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ৭০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও ৫০ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার।

জরিপে আরও উঠে এসেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনসমর্থন নেমে এসেছে ৪০ শতাংশে। তার অপরাধ মোকাবিলা ও জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

ট্রাম্পের পদক্ষেপ ও জনমতের প্রতিক্রিয়া

শহরগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাম্পের 'সম্ভাব্য' উত্তরসূরির নাম ঘোষণা

ট্রাম্প বিভিন্ন ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন শহরে ন্যাশনাল গার্ড সেনা পাঠিয়েছেন, যেমন ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেসে। এক বিরল সামরিক বৈঠকে তিনি মন্তব্য করেন, “আমেরিকার একটি অভ্যন্তরীণ শত্রু আছে।”

রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও চ্যালেঞ্জ

ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এসব মোতায়েন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে ট্রাম্প সেনা পাঠানোর আদেশ দেন, যা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প হুমকি দেন, তিনি ১৮ শতকের একটি বিদ্রোহবিরোধী আইন প্রয়োগ করে আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করতে পারেন।

অন্যান্য ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত

  • • মেক্সিকো সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, অপরাধী ও অবৈধ অভিবাসীরা দেশ দখল করছে।
  • • ভেনিজুয়েলার উপকূলে সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের নৌকায় গুলি চালানোর নির্দেশ দেন—প্রক্রিয়া বা বিচারের সুযোগ ছাড়াই।
  • • সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “যারা আমাকে সহ্য করবে না, তারা তাদের পদে থাকবে না।”

Most Americans don't want troops deployed without an external threat,  Reuters/Ipsos poll finds | Reuters

সামরিক নিরপেক্ষতা ও জনমতের চাহিদা

আমেরিকার সামরিক প্রথা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে জড়িত না থাকা উচিত। জনমতও তেমনই—৮৩ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, সেনাবাহিনীর উচিত রাজনৈতিক বিতর্কে কোনো পক্ষ না নেওয়া।

মাত্র ১০ শতাংশ চান সেনা প্রেসিডেন্টের নীতিগত অবস্থানকে সমর্থন করুক, আর রিপাবলিকানদের মধ্যে প্রায় এক পঞ্চমাংশ এমন মত পোষণ করেন।

অন্যান্য জরিপ ও অনুমান

  • • ট্রাম্পের অপরাধ মোকাবিলা বিষয়ক রেটিং ৪৩ শতাংশ থেকে নেমে ৪১ শতাংশে এসেছে।
  • • তার সামগ্রিক অনুমোদনও ৪৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।

Most Americans don't want troops deployed without an external threat,  Reuters/Ipsos poll finds | The Business Standard

  • • জরিপটি অনলাইনভাবে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে ১,১৫৪ জন আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্ক অংশ নেন। সম্ভাব্য ত্রুটি ±৩ শতাংশ।

সব দিক বিবেচনায়, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান জনমত স্পষ্ট—অধিকাংশ আমেরিকান চান না বাহ্যিক হুমকি ছাড়া সেনাবাহিনীকে দেশীয় কাজে ব্যবহার করা হোক। তারা সামরিক প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত রাখতে আগ্রহী, বিশেষ করে যখন স্থানীয় সরকার বা পরিস্থিতি তার বিপরীতে থাকে।

 

#যুক্তরাষ্ট্র #রয়টার্স #ট্রাম্প #আমেরিকান_জনমত #সেনা_মোতায়েন #রাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাতা–ভাড়াভাতা সমতায় দাবিতে এমপিও শিক্ষকদের ‘সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা

বাহ্যিক হুমকি ছাড়া টহল আকারে সেনাবাহিনী মোতায়েন চান না অধিকাংশ আমেরিকান

০৪:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

অনুসন্ধান ও জরিপ সারাংশ

একটি রয়টার্স/ইপসোস জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৫৮ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করেন যে রাষ্ট্রপতির উচিত সশস্ত্র বাহিনী কেবল তখনই পাঠানো, যখন বাস্তব কোনো বাহ্যিক হুমকি থাকে।

এই ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ৭০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও ৫০ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার।

জরিপে আরও উঠে এসেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনসমর্থন নেমে এসেছে ৪০ শতাংশে। তার অপরাধ মোকাবিলা ও জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

ট্রাম্পের পদক্ষেপ ও জনমতের প্রতিক্রিয়া

শহরগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্রাম্পের 'সম্ভাব্য' উত্তরসূরির নাম ঘোষণা

ট্রাম্প বিভিন্ন ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন শহরে ন্যাশনাল গার্ড সেনা পাঠিয়েছেন, যেমন ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেসে। এক বিরল সামরিক বৈঠকে তিনি মন্তব্য করেন, “আমেরিকার একটি অভ্যন্তরীণ শত্রু আছে।”

রাজনৈতিক ব্যাখ্যা ও চ্যালেঞ্জ

ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এসব মোতায়েন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে ট্রাম্প সেনা পাঠানোর আদেশ দেন, যা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়।

প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প হুমকি দেন, তিনি ১৮ শতকের একটি বিদ্রোহবিরোধী আইন প্রয়োগ করে আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করতে পারেন।

অন্যান্য ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত

  • • মেক্সিকো সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, অপরাধী ও অবৈধ অভিবাসীরা দেশ দখল করছে।
  • • ভেনিজুয়েলার উপকূলে সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের নৌকায় গুলি চালানোর নির্দেশ দেন—প্রক্রিয়া বা বিচারের সুযোগ ছাড়াই।
  • • সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “যারা আমাকে সহ্য করবে না, তারা তাদের পদে থাকবে না।”

Most Americans don't want troops deployed without an external threat,  Reuters/Ipsos poll finds | Reuters

সামরিক নিরপেক্ষতা ও জনমতের চাহিদা

আমেরিকার সামরিক প্রথা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে জড়িত না থাকা উচিত। জনমতও তেমনই—৮৩ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, সেনাবাহিনীর উচিত রাজনৈতিক বিতর্কে কোনো পক্ষ না নেওয়া।

মাত্র ১০ শতাংশ চান সেনা প্রেসিডেন্টের নীতিগত অবস্থানকে সমর্থন করুক, আর রিপাবলিকানদের মধ্যে প্রায় এক পঞ্চমাংশ এমন মত পোষণ করেন।

অন্যান্য জরিপ ও অনুমান

  • • ট্রাম্পের অপরাধ মোকাবিলা বিষয়ক রেটিং ৪৩ শতাংশ থেকে নেমে ৪১ শতাংশে এসেছে।
  • • তার সামগ্রিক অনুমোদনও ৪৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে।

Most Americans don't want troops deployed without an external threat,  Reuters/Ipsos poll finds | The Business Standard

  • • জরিপটি অনলাইনভাবে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে ১,১৫৪ জন আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্ক অংশ নেন। সম্ভাব্য ত্রুটি ±৩ শতাংশ।

সব দিক বিবেচনায়, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান জনমত স্পষ্ট—অধিকাংশ আমেরিকান চান না বাহ্যিক হুমকি ছাড়া সেনাবাহিনীকে দেশীয় কাজে ব্যবহার করা হোক। তারা সামরিক প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত রাখতে আগ্রহী, বিশেষ করে যখন স্থানীয় সরকার বা পরিস্থিতি তার বিপরীতে থাকে।

 

#যুক্তরাষ্ট্র #রয়টার্স #ট্রাম্প #আমেরিকান_জনমত #সেনা_মোতায়েন #রাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট